বিজ্ঞাপন

শস্য খাতে অগ্রাধিকার বিনিয়োগের ৪ ক্ষেত্র চিহ্নিত

June 26, 2024 | 9:13 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেশের শস্য খাতে সম্ভাব্য বিনিয়োগের অগ্রাধিকার হিসেবে চারটি ক্ষেত্র চিহ্নিত করেছে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)। এর মধ্যে কৃষি প্রক্রিয়াকরণ থেকে শুরু করে রয়েছে জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে কৃষির অভিযোজনের মতো বিষয়ও।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২৬ জুন) কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) মিলনায়তনে শস্য খাতে অগ্রাধিকার বিনিয়োগ পরিকল্পনা শীর্ষক কর্মশালায় এ তথ্য উপস্থাপন করা হয়। কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার।

এফএও শস্য খাতে যে চারটি অগ্রাধিকার বিনিয়োগ ক্ষেত্র চিহ্নিত করেছে সেগুলো হলো— কৃষি প্রক্রিয়াকরণ, মূল্য সংযোজন ও বাজারজাতকর; বিশেষায়িত ও বহুমুখী হিমাগার, উৎপাদন পরবর্তী প্রক্রিয়া ও সরবরাহ ব্যবস্থাপনা; সেচ ও পানি ব্যবস্থাপনা; এবং জলবায়ু স্মার্ট কৃষি (সিএসএ)।

এফএও বলছে, চারটি অগ্রাধিকার বিনিয়োগ এলাকা ছাড়াও ক্রস-কাটিং সমস্যাগুলো এই অগ্রাধিকার পরিকল্পনায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ডিজিটাল প্রযুক্তির ব্যবহার, যান্ত্রিকীকরণ এবং নিশ্চিত করা যে সরবরাহ ও ভ্যালু চেইনের প্রতিটি পর্যায়ে খাদ্য নিরাপত্তা বিধি অনুসরণ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

কর্মশালায় জানানো হয়, ২০২২ সালের জুলাই ও সেপ্টেম্বর মাসে এফএও’র সহযোগিতায় কৃষি মন্ত্রণালয় পরিচালিত সভায় অংশীজনদের কাছ থেকে মতামত নেওয়া হয়। ঢাকা, রাজশাহী, বরিশাল, কুমিল্লা, যশোর ও ময়মনসিংহে আঞ্চলিক পরামর্শ সভায় বেসরকারি খাত, সুশীল সমাজ ও একাডেমিয়ার প্রায় ৭০০ স্থানীয় প্রতিনিধি অংশ নেন।

কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার বলেন, জাতীয় উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও বাংলাদেশের শস্য খাতকে রূপান্তরের জন্য আমরা এফএও’র সঙ্গে একত্রে কাজ করছি।

বাংলাদেশে এফএও’র কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ জিয়াওকুন শি বলেন, ফ্ল্যাগশিপ হ্যান্ড-ইন-হ্যান্ড ইনিশিয়েটিভের অধীনে প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করে শস্য খাতের জন্য অগ্রাধিকার বিনিয়োগ পরিকল্পনার প্রস্তুতিতে এবং টেকসই উন্নয়ন অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশকে সহায়তা করার জন্য এফএও কাজ করে যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, এফএও এবং বাংলাদেশ সরকার চিহিৃত খাতগুলোতে বিনিয়োগের অগ্রাধিকার দিয়ে কৃষকদের আয় বৃদ্ধি এবং ভোক্তাদের স্বাস্থ্য ও পরিবেশ রক্ষায় ভূমিকা রাখবে। এর মাধ্যমে ২০৩০ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে।

সারাবাংলা/ইএইচটি/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন