June 30, 2024 | 6:24 pm
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীর যানজট কমাতে পরীক্ষামূলকভাবে মোবাইল অ্যাপভিত্তিক ডিজিটাল পে-পার্কিং সেবা চালু করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)। শুরুতে নগরীর আগ্রাবাদ এলাকায় সাধারণ মানুষ ‘ইয়েস পার্কিং’ নামে একটি অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করে টাকার বিনিময়ে গাড়ি রাখতে পারবেন।
রোববার (৩০ জুন) নগরীর আগ্রাবাদ হোটেলের ইছামতি হলে পাইলট প্রকল্প কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।
চসিক সূত্রে জানা গেছে, বি-ট্র্যাক সলিউশন নামের একটি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান পে-পার্কিং কার্যক্রমটি পরিচালনা করবে। ইয়েস পার্কিং অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন এবং নগদ টাকা দু’ভাবেই পার্কিংয়ের জায়গা ভাড়া নিতে পারবেন সাধারণ মানুষ। আগ্রাবাদের সিলভার স্পুনের সামনে এবং ডাচ-বাংলা ব্যাংকের সড়কে শুরুতে ১৭৭টি গাড়ির পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করে ঘণ্টায় মাত্র ৩০ টাকার বিনিময়ে তিন চাকা ও চার চাকার এবং ১৫ টাকার বিনিময়ে দুই চাকার বাইক বা স্কুটি পার্ক করতে পারবেন নগরবাসী।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চসিক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘নাগরিক সমস্যা সমাধানে ডিজিটাল সলিউশন আনার চেষ্টা করছি আমি। এর অংশ হিসেবে যানজট কমাতে আগ্রাবাদে পে-পার্কিং চালু করা হল। এই পাইলট প্রকল্পের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে ভবিষ্যতে নগরীতে আরও পে-পার্কিং স্পট চালু করা হবে। ইতোমধ্যে নগরীর ঝুলন্ত তারের জঞ্জাল সরাতে তিন ওয়ার্ডে ঝুলন্ত তারকে মাটির নিচে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।’
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ইউনুছ বলেন, ‘নগরীতে গাড়ি পার্কিং করা নিয়ে যে বিশৃঙ্খলা তা পে-পার্কিংয়ের মাধ্যমে লাঘব হবে বলে আশা করি। আধুনিক সিগন্যাল সিস্টেম চালু হলে যানজট কমবে। মেয়র মহোদয় সাহস করে হকার উচ্ছেদের উদ্যোগ নিয়েছেন। কিন্তু হকার উচ্ছেদের পর দেখা যাচ্ছে, ফের রাস্তা দখল হয়ে যাচ্ছে৷ এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় একযোগে কাজ করতে হবে।’
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মাসুদ আহাম্মদ, চসিক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম, প্যানেল মেয়র গিয়াস উদ্দিন, আফরোজা কালাম, সচিব আশরাফুল আমিন, কাউন্সিলর আবুল হাসনাত মো. বেলাল, আবদুস সালাম মাসুম, আতাউল্লাহ চৌধুরী, শাহীন আক্তার রোজী, রুমকি সেনগুপ্ত, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা লতিফুল হক কাজমী, মেয়রের একান্ত সচিব আবুল হাশেম, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী শাহীন উল ইসলাম চৌধুরী, প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা হুমায়ুন কবির চৌধুরী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী ফরহাদুল আলম, বি-ট্র্যাক সলিউশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এম তানভীর সিদ্দিকী, প্রকল্প প্রধান সাফায়েত আবদুল্লাহ ও হেড অব সেলস সিরাজ উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
সারাবাংলা/আইসি/পিটিএম