বিজ্ঞাপন

চিকিৎসক খুন: সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রিমান্ডে

June 30, 2024 | 8:24 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরীতে কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় এক চিকিৎসক খুন হওয়ার মামলায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতার তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। আদালত একই মামলায় আরও একজনের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৩০ জুন) চট্টগ্রাম তৃতীয় মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম রুমানা আক্তারের আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এর আগে, বুধবার (২৬ জুন) চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ ড. বেগম জেবুন্নেছার আদালত গোলাম রসুল নিশান ও আরিফুল্লাহ রাজুকে জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছিলেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) চট্টগ্রাম চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রবিউল আলমের আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাবেক ছাত্রলীগ নেতা গোলাম রসুল নিশান ও তার সহযোগী আরিফুল্লাহ রাজুর পাঁচ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

বিজ্ঞাপন

বাদীর আইনজীবী রাসেল সরকার সারাবাংলাকে জানান, চিকিৎসক কোরবান আলী খুনের মামলায় নিশান ও রাজুর পাঁচ দিনের রিমান্ড চেয়েছিলেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আদালত উভয়পক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে গোলাম রসুল নিশানের তিন দিন ও আরিফুল্লাহ রাজুর দুই দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।

গত ৫ এপ্রিল বিকেলে নগরীর আকবর শাহ থানার ফিরোজ শাহ কলোনি এলাকায় হামলার শিকার হন দন্ত চিকিৎসক কোরবান আলী (৬০)। তিনি নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন। তার বাসা ফিরোজ শাহ কলোনিতে। ষোলশহর দুই নম্বর গেইট এলাকায় তার একটি ডেন্টাল ক্লিনিক ছিল।

কোরবান আলীর ছেলে আলী রেজার ভাষ্যনুযায়ী, গত ৬ ফেব্রুয়ারি কয়েকজন স্কুলছাত্রকে মারধর করতে দেখে ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশ ডেকে আনার ঘটনায় আলী রেজার সঙ্গে বিরোধ হয় এলাকার উঠতি বয়সী কিছু তরুণের। সেই বিরোধের জেরে ৫ এপ্রিল বিকেলে তাকে মারধর করতে দেখে ছেলেকে বাঁচাতে ছুটে যান কোরবান আলী। এ সময় তার ওপর হামলা হয়। তিনি মাথায় গুরুতর আঘাত পান। তখন থেকেই সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়া কোরবান আলীকে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং পরে নগরীর ওআর নিজাম রোডে বেসরকারি মেডিকেল সেন্টার ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। গত ১০ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

বিজ্ঞাপন

আলী রেজার অভিযোগ, হামলাকারীরা সবাই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি গোলাম রসুল নিশানের অনুসারী কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য ছিলেন।

এ ঘটনায় আলী রেজা বাদী হয়ে আকবর শাহ থানায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছিল।

মামলায় অন্য আসামিরা হলেন মাহির সামি, আকিব, বগা সোহেল, ফয়জুল আকবর চৌধুরী আদর, প্রিন্স বাবু, আরিফুল্লাহ রাজু, অপূর্ব, সাগর, রিয়াদ, সংগ্রাম ও শাফায়েত।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আইসি/একে

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন