বিজ্ঞাপন

জল-যানজটে একাকার ঢাকা, মানুষের ভোগান্তি চরমে

June 30, 2024 | 9:17 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সকাল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে রাজধানী ঢাকা জল আর যানজটে একাকার। সন্ধ্যা নাগাদ প্রধান সড়ক ছাপিয়ে অলি-গলিতেও যানবাহনের জট লেগে ছিল। সেইসঙ্গে নিচু রাস্তায় পানি জমে পথচারীদের দুর্ভোগ বাড়িয়েছে। বৃষ্টির মধ্যেই এইচএসসি পরীক্ষা থাকায় পরিস্থিতি আরও খারাপ রূপ নিয়েছে। বিকেল ৫টায় অফিস শেষ হলেও রাত পর্যন্ত যানজট লেগেছিল বিভিন্ন সড়কে।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৩০ জুন) রাজধানীসহ সারাদেশে শুরু হয়েছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। যে কারণে মূল যানজট শুরু সকাল থেকেই। সেইসঙ্গে ছিল তুমুল বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে পথে যেমন যানজট তেমনি ছিল জলজট। বিকেলে যদিও বৃষ্টি কিছুটা কমে যায়। কিন্তু যানজট থাকে রাত পর্যন্ত। সন্ধ্যা ৭টার পরে রাজধানীর বাণিজ্যিক এলাকা মতিঝিলের প্রবেশ পথে ঠাসা ছিল গাড়ি। চেষ্টা করেও গাড়ির জট ছাড়াতে পারছিলেন না ট্রাফিক পুলিশ।

মতিঝিলে দায়িত্বরত ট্রাফিক বিভাগের পুলিশ কর্মকর্তা মোখলেচুর রহমান সারাবাংলাকে বলেন, ‘অফিস ছুটি হওয়ার পরই এই এলাকায় জ্যাম লেগে গেছে। একেকটা সিগন্যাল ২০ মিনিট ৩০ মিনিট পার হলেও ছাড়া যাচ্ছে না। মতিঝিল শাপলা চত্বর থেকে ইত্তেফাক মোড় পর্যন্ত গাড়ি যেন নড়ছে না।’

বিজ্ঞাপন

বলাকা গাড়ির চালক জাহাঙ্গীর সারাবাংলার এই প্রতিবেদককে বলেন, ‘গাজীপুর-যাত্রাবাড়ী পথে অন্যদিন কমপক্ষে চার থেকে পাঁচ ট্রিপ দিতে পারলেও আজ তিন ট্রিপ দিতেই দিন শেষ। মতিঝিলেই বসে আছি এক ঘণ্টা। সামনের পথে কী আছে কে জানে।’ সিএনজিচালক আশিক বলেন, ‘পানির কারণে দুই বার সিএনজি বিকল হয়েছে। টেনেটুনে শুকনো স্থানে নিয়ে নিজেই সারিয়েছি। এখন আবার পড়েছি জ্যামে।’

ভয়াবহ যানজটের চিত্র দেখা গেছে রাজধানী প্রায় প্রতিটি প্রধান সড়কে। মতিঝিল, পল্টন, কাকরাইল, শাহবাগ, মিরপুর রোড, শান্তিনগর, মৌচাক, মালিবাগ, রামপুরা, বাড্ডা, বনানী, গুলশান, মিরপুর, শেওড়াপাড়া সড়কেও। ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম সূত্র বলছে, সকাল থেকেই পুরো রাজধানী জুড়ে ছিল গাড়ির চাপ। সকালে অফিস সময় শেষ না হতেই এইচএসসি পরীক্ষা শেষের জ্যাম। সেই অবস্থা শেষ না হতেই অফিস ছুটি।

বিজ্ঞাপন

মূল সড়কে শুধু যানজট-ই নয়, সঙ্গে রয়েছে জলজট। জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে বিকল হয়ে পড়েছে যানবাহন। কাকরাইল মোড়ে ভিক্টর পরিবহন নষ্ট হয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে। বাসটির হেল্পার সজিব সারাবাংলাকে বলেন, ‘পানি ঢুকেছিল ইঞ্জিনে। যে কারণে স্টার্ট বন্ধ হয়ে গেছে। যাত্রীদের নামিয়ে দিয়েছি। এখন মেকার এসে ঠিক হলে পরে চালানো যাবে।’ এ ছাড়া পুলিশ লাইন রোডেও সিএনজি, লেগুনার ইঞ্জিনে পানি ঢুকে বিকল হয়ে পড়ে থাকতে দেখা গেছে।

এদিকে সড়কের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির পানি জমে থাকায় সবচেয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন পথচারীরা। মতিঝিল এলাকায় কথা হয় ইয়াসমিন আক্তারের সঙ্গে। মতিঝিলে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডে কাজ করেন তিনি। সারাবাংলাকে ইয়াসমিন বলেন, ‘বাসা কাছেই। যে কারণে সবসময় হেঁটেই যাওয়া-আসা করি। কিন্তু আজকের পরিস্থিতিতে হাঁটার পথ নেই।’

এদিকে আবহাওয়া অধিদফতর বলছে, বৃষ্টির এই পরিস্থিতি থাকতে পারে আরও তিন দিন। ফলে আগামী কয়েকদিন রাজধানীর এই জল ও যানজট মানুষকে বিড়ম্বরায় ফেলতে পারে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন