বিজ্ঞাপন

ভাবিকে হত্যার দায়ে দেবরের ফাঁসি

June 30, 2024 | 10:17 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

যশোর: যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলায় ভাবি জিনিয়া ইয়াসমিন তুলিকে হত্যার দায়ে দেবর বিমান বাহিনীর সাবেক করপোরাল প্রভোস্ট মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিনকে মৃত্যুদণ্ড সাজা দিয়েছেন দিয়েছেন আদালত। জিনিয়া হত্যা মামলার বাকি দুই আসামি স্বামী জুলফিকার আলী ও শাশুড়ি ফরিদা বেগম বেকসুর খালাস পেয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

রোববার (৩০ জুন) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক সুরাইয়া সাহাব এই রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডিত মোহাম্মদ শাহাবুদ্দিন বাঘারপাড়া উপজেলার পান্তাপাড়া গ্রামের মৃত মোশারফের ছেলে।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৩ এপ্রিল স্বামী জুলফিকার আলীর সঙ্গে মোবাইলে কথা বলছিলেন তুলি। এ সময় দেবর শাহাবুদ্দিন তার ঘরে প্রবেশ করলে শাশুড়ি ফরিদা তার ঘরের দরজা আটকে দেন। এরপর শাহাবুদ্দিন ছুরি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে তুলিকে জখম করেন। এ সময় তুলির চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে গেলে শাহাবুদ্দিন ও তার মা পালিয়ে যান। প্রতিবেশীরা তুলিকে উদ্ধার করে প্রথমে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ভর্তি করেন। পরে তাকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পরদিন মৃত্যু হয় তুলির।

এ ঘটনায় তুলির বাবা ঝিকরগাছা উপজেলার মোবারকপুর গ্রামের শহিদুল বাদী হয়ে মামলা করেন। মামলার তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই রফিকুল ইসলাম হত্যায় জড়িত হিসেবে তুলির দেবর, শাশুড়ি ও স্বামীকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র জমা দেন। প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, তুলির স্বামী জুলফিকার আলীর দ্বিতীয় বিয়ের বিষয়কে কেন্দ্র করে পারিবারিক কলহের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়েছে, যেখানে স্বামীর প্রত্যক্ষ মদত ছিল।

বিজ্ঞাপন

আদালতের অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন, দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে সাক্ষ্য প্রমাণে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তুলির দেবর মো. শাহাবুদ্দিনকে ফাঁসি ও এক লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দিয়েছেন বিচারক। পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। তবে অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় বাকি দুই আসামি তুলির স্বামী জুলফিকার আলী ও শাশুড়ি ফরিদা বেগম বেকসুর খালাস পেয়েছেন।

এ রায়ে পরিপূর্ণ সন্তুষ্ট নয় মামলার বাদী পক্ষ। নিহত তুলির ভাই নূর আলম জানান, জুলফিকার আলী ও তার মা সরাসরি এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন। অভিযোগপত্রেও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সে তথ্য স্পষ্ট করেছেন। ওই দুই আসামির শাস্তি নিশ্চিত করতে উচ্চ আদালতে যাবেন বলে জনান তিনি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন