বিজ্ঞাপন

৩০ জেলায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের হার ৫০ শতাংশের কম

July 1, 2024 | 9:33 am

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: দেশের ৩০ জেলায় তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়নের হার ৫০ শতাংশেরও কম। তামাক কোম্পানির বেপরোয়া আইন লঙ্ঘন এবং পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে সংশ্লিষ্টদের দায়িত্বহীনতার কারণে আইনের বাস্তবায়ন পরিস্থিতি আশানুরূপ নয়। আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে টাস্কফোর্স কঠোর ব্যবস্থা না নিলে দেশের তরুণদের মাঝে তামাকের ব্যবহার বেড়ে যাবে।

বিজ্ঞাপন

গতকাল রোববার (৩০ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি) ট্রাস্ট এবং বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট আয়োজিত ‘তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বাস্তবায়ন: জেলাভিত্তিক মূল্যায়ন প্রতিবেদন প্রকাশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।

বক্তারা বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোট ‘র সহায়তায় ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট দেশের ৩০টি জেলায় ‘জেলাভিত্তিক রিপোর্ট কার্ড’ তৈরি করেছে। রিপোর্ট কার্ডে বিদ্যমান তামাক নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত বিধি-বিধান বাস্তবায়নের বর্তমান পরিস্থিতির যে চিত্র উঠে এসেছে তা মোটেই আশাব্যঞ্জক নয়।

রিপোর্ট কার্ডে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে দেখা গেছে, দেশের ৩০টি জেলার মধ্যে ৩টি জেলা (১০ শতাংশ) সন্তোষজনক, ১২টি জেলা (৪০ শতাংশ) মাঝামাঝি অবস্থান, ৯টি জেলা (৩০ শতাংশ) অসন্তোষজনক, এবং ৬টি জেলা (২০ শতাংশ) ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তামাক নিয়ন্ত্রণে সন্তোষজনক অবস্থানে রয়েছে এমন জেলা হচ্ছে নাটোর, ঝিনাইদহ এবং বরিশাল। মাঝামাঝি অবস্থানে রয়েছে ঢাকা, কিশোরগঞ্জ, কুমিল্লা, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া, নওঁগা, মাগুরা, মেহেরপুর, দিনাজপুর, রংপুর, মৌলভীবাজার, ময়মনসিংহ। অসন্তোষজনক অবস্থানে রয়েছে নরসিংদী, গোপালগঞ্জ, পাবনা, কুষ্টিয়া, ঠাকুরগাঁও, সিলেট, পিরোজপুর, নেত্রকোনা, রাজশাহী।

ঝুঁকিপূর্ণ জেলাগুলোর মধ্যে রয়েছে জামালপুর, ব্রাক্ষণবাড়িয়া, কক্সবাজার, চাঁদপুর, চুয়াডাঙ্গা এবং গাইবান্ধা।

সার্বিক চিত্র বিশ্লেষনে প্রাপ্ত তথ্যের আলোকে তামাক নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে সন্তোষজনক অবস্থানে রয়েছে ঝিনাইদহ জেলা (৫০ শতাংশ) এবং সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থানে রয়েছে গাইবান্ধা জেলা (১৭ শতাংশ)।

বিজ্ঞাপন

ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট এর কর্মসূচি প্রধান সৈয়দা অনন্যা রহমানের সঞ্চালনায় সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ তামাক বিরোধী জোটের সমন্বয়কারী সাইফুদ্দিন আহমেদ। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সাবেক সমন্বয়কারী হোসেন আলী খোন্দকার, বাংলাদেশ ক্যান্সার সোসাইটি’র সভাপতি অধ্যাপক ডা. গোলাম মহিউদ্দিন ফারুক, জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও বিশিষ্ট আইনজীবী সৈয়দ মাহবুবুল আলম এবং এইড ফাউন্ডেশনের প্রকল্প পরিচালক সাগুফতা সুলতানা।

অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা এবং গণমাধ্যমের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/ইএইচটি/এমও

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন