বিজ্ঞাপন

সিলেটে থামছেই না বৃষ্টি, বাড়ছে নদ-নদীর পানি

July 1, 2024 | 11:56 am

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

সিলেট: ভারতের চেরাপুঞ্জিতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় সিলেটের নদ-নদীর পানি আবারও পানি বাড়ছে। গতকাল রোববার (৩০ জুন) সকাল ৬টা থেকে পানি বাড়তে থাকায় বন্যা আতঙ্কে রয়েছেন সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষজন।

বিজ্ঞাপন

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট কার্যালয়ের তথ্যমতে, (রোববার, ৩০ জুন) সকাল ৬টা থেকে তিন ঘণ্টা পরপর সিলেটের প্রায় সব নদীর পানি ৩ থেকে ৫ সেন্টিমিটার করে বাড়ছে। এর ধারাবাহিকতা অব্যাহত রয়েছে সোমবার (১ জুলাই) পর্যন্ত। তাই ভারত থেকে বড় আকারে ঢল এলে সিলেটে তৃতীয় দফায় বন্যার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, সিলেটে গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল ৬টা থেকে রোববার সকাল ৬টা পর্যন্ত) বৃষ্টিপাত হয়েছে ২১.৬ মিলিমিটার।

ভারতের আবহাওয়া বিভাগের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় (শনিবার সকাল ৯টা থেকে রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত) ভারতের চেরাপুঞ্জিতে ১৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। এর আগে গত শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে রোববার সকাল ৯টা পর্যন্ত চেরাপুঞ্জিতে ১৪১ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। ফলে সিলেটের সবকটি নদ-নদীর পানি দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।

বিজ্ঞাপন

পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট কার্যালয়ের তথ্যমতে, জেলার সুরমা, সারি, সারিগোয়াইন, পিয়াইন (ডাউকি), ধলাইসহ সব নদ-নদীর পানি রোববার সকাল থেকে বাড়তে শুরু করে। কুশিয়ারা নদীর এক পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

এদিকে, বন্যা আতঙ্কে দিন কাটছে গোয়াইনঘাট উপজেলার পিয়ান নদীর কূলঘেঁষা জাফলং ইউনিয়নের নয়াগাঙ্গের পাড় এলাকার বাসিন্দাদের। গত বন্যায়ও এই এলাকার ৪টি পরিবারের ঘরবাড়িসহ সবকিছু পানিতে তলিয়ে যায়।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী দীপক রঞ্জন দাস বলেন, ‘সিলেটের বর্তমান বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হচ্ছিল। কিন্তু গত কয়েক দিন ধরে সিলেট ও ভারতেও বৃষ্টি হচ্ছে। ভারতের পাহাড়ি ঢলও আসছে। তাই রোববার সকাল থেকে জেলার সব নদ-নদীর পানি বাড়ছে। তবে কুশিয়ারা নদীর ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্ট ছাড়া সব নদীর পানি এখনো বিপৎসীমার নিচে আছে।’

বিজ্ঞাপন

তৃতীয় দফা বন্যার আশঙ্কা করে তিনি আরও বলেন, ‘দুই দফা বন্যায় সব হাওর-বাওড় ও নদী ইতোমধ্যে পানিতে পরিপূর্ণ। নিম্নাঞ্চলে পানি নামার জায়গা নেই। তাই এখন যদি ভারতের পাহাড়ি ঢল নামে তাহলে তা আমাদের জন্য বিপদজনক। তাই আবারও বন্যার ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে।’

সারাবাংলা/এমও

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন