বিজ্ঞাপন

নোয়াব সভাপতি একে আজাদের বক্তব্য শুনবেন আপিল বিভাগ

July 1, 2024 | 1:13 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সংবাদপত্রে কর্মরত সাংবাদিক ও কর্মচারীদের আয়কর বিষয়ে নিউজ পেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের (নোয়াব) সভাপতি একে আজাদের বক্তব্য শুনবেন আপিল বিভাগ।

বিজ্ঞাপন

আগামী ৪ আগস্ট তিনি নিজে উপস্থিত থেকে বা তার আইনজীবীর মাধ্যমে নোয়াবের বক্তব্য উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।

সোমবার (১ জুলাই) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের তিন সদস্যের বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে বাসসের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সমীরণ মল্লিক। অপরপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড সাধন কুমার বনিক।

বিজ্ঞাপন

২০১৯ সালের ১২ সেপ্টেম্বর এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে নবম ওয়েজ বোর্ড ঘোষণা করে সরকার।

সেই প্রজ্ঞাপনের সপ্তম অধ্যায়ের ৩ নম্বর শর্তে বলা হয়, ‘সকল শ্রেণির সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার কর্মরত সাংবাদিক, প্রেস শ্রমিক এবং প্রশাসনিক কর্মচারীদের বেতনের ওপর আরোপিত আয়কর সংশ্লিষ্ট সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার কর্তৃপক্ষ কর্তৃক প্রদেয় হবে।’

একই অধ্যায়ের ৭ নম্বর শর্তে বলা হয়েছে, ‘সকল শ্রেণির সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থার কর্মরত সাংবাদিক, প্রেস শ্রমিক এবং প্রশাসনিক কর্মচারীরা প্রত্যেক বছরে অথবা তার অংশ বিশেষ ছয় মাস বা এর অধিক সময় চাকরির জন্য সর্বশেষ প্রাপ্ত বেতনের ভিত্তিতে নির্ধারিত দুই মাসের মূল বেতনের সম পরিমাণ অর্থ গ্র্যাচুইটি হিসেবে প্রাপ্য হবেন।’ অথচ প্রজ্ঞাপনে ‘সংক্ষিপ্ত শিরোনাম, কার্যকরণ ও প্রয়োগ’ শিরোনামের দ্বাদশ অধ্যায়ের ৪ নম্বর শর্তে মন্ত্রিসভা কমিটির সুপারিশ তুলে ধরে বলা হয়, সাংবাদিক, কর্মচারীদের নিজেদের আয় থেকে আয়কর পরিশোধ করবেন এবং বছরে মূল বেতনের সমান একটি গ্র্যাচুইটি পাবেন।

বিজ্ঞাপন

নবম ওয়েজবোর্ডের এই সুপারিশ চ্যালেঞ্জ করে ২০২০ সালের ২৩ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট করেন বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুজ্জামান।

রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, তথ্যসচিব ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।

ওই রিটের প্রাথমিক শুনানির পর একই বছরের ২৫ নভেম্বর আদালত রুল জারি করেন।

রুলে আয়কর ও গ্র্যাচুইটি সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সুপারিশ কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছিল।

বিজ্ঞাপন

সে রুলের চূড়ান্ত শুনানির পর সুপারিশের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে ২০২২ সালের ৬ নভেম্বর রায় দেন হাইকোর্ট। পরে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে সরকারের পক্ষে আবেদন করা হয়।

এরপর গত বছরের ২৪ জুলাই হাইকোর্টের রায় স্থগিত না করে আপিল বিভাগে পাঠিয়ে দেন চেম্বার জজ আদালত। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের চেম্বার জজ আদালত এ আদেশ দেন।

এরপর গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সংবাদপত্রে কর্মরত সাংবাদিক ও কর্মচারীদের আয়কর মালিক দেবেন নাকি সাংবাদিকরা দেবেন এ বিষয়ে নিউজ পেপার্স ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনকে (নোয়াব) পক্ষভুক্ত করেন আপিল বিভাগ।

একইসঙ্গে নোয়াবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য শুনতে চেয়ে তাদের প্রতি নোটিশ জারি করেন আপিল বিভাগ। পাশাপাশি ২১ এপ্রিল পর্যন্ত এ মামলার কার্যক্রম মুলতবি রাখা হয়।

শুনানির ধারাবাহিকতায় আজ আপিল বিভাগ এ বিষয়ে নোয়াব সভাপতির বক্তব্য শুনার জন্য দিন ধার্য করে দিয়েছেন।

সারাবাংলা/কেআইএফ/ইআ

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন