July 1, 2024 | 1:54 pm
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ফ্রান্সের পার্লামেন্ট নির্বাচনের প্রথম দফায় জয় পেয়েছে মেরিন লে পেনের অতি ডানপন্থি দল ন্যাশনাল র্যালি (আরএন)। ইউরোপীয় ইউনিয়নের নির্বাচনে জয় পাওয়ার মাত্র তিন সপ্তাহের ব্যবধানে এবার ফ্রান্সের পার্লামেন্টেও এগিয়ে গেল অতি ডানপন্থিরা। এবারের পার্লামেন্ট নির্বাচনে গত তিন দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোট কাস্ট হয়েছে।
নির্বাচনের প্রথম দফায় লে পেনের শিবির সুস্পষ্ট বিজয় অর্জন করেছেন। তবে ফ্রান্সের আইন অনুযায়ী এখনও পার্লামেন্টের রূপ চূড়ান্ত হয়নি। আগামী ৭ জুলাই দ্বিতীয় দফার ভোটে অর্থাৎ রান অফের পর চূড়ান্ত জয়-পরাজয় নিশ্চিত হবে।
এবার প্রথম দফার নির্বাচনে পার্লামেন্টে রেকর্ড ৬৬.৭ শতাংশ ভোট কাস্ট হয়েছে, যা ১৯৯৭ সালের পর সর্বোচ্চ। ইতিমধ্যেই প্রথম রাউন্ডের পর জাতীয় পরিষদে আরএনের ৩৭ জন সদস্য চূড়ান্তভাবে বিজয়ী হয়েছেন। অন্যদিকে, বামপন্থি নিউ পপুলার ফ্রন্টের ৩২ জন সদস্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। কারণ তারা প্রথম দফায়ই অর্ধেকেরও বেশি ভোট পেয়েছেন, ফলে তাদের আর রান অফে লড়তে হবে না।
ন্যাশনাল র্যালির প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী জর্ডান বারডেলা সমর্থকদের উদ্দেশে প্রথম দফার বিজয়ী ভাষণ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ফ্রান্সের জনগণ আমাদের ভোট দিলে আমি সকল ফরাসি জনগণের জন্য প্রধানমন্ত্রী হতে চাই।
রোববার (৩০ জুন) প্রথম ধাপের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হয়। দিন শেষে দেখা যায়, ন্যাশনাল র্যালি ও তার জোটসঙ্গীরা মিলে ৩৩.২ শতাংশ ভোট পেয়েছে। অন্যদিকে বামপন্থি জোট নিউ পপুলার ফ্রন্ট (এনএফপি) পেয়েছে ২৮.১ শতাংশ ভোট।
প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোর মধ্যপন্থি দলের নেতৃত্বাধীন জোট এনসেম্বলে অ্যালায়েন্স তৃতীয় অবস্থানে। তারা পেয়েছে ২১ শতাংশ ভোট। এর পরে রয়েছে রক্ষণশীল দল লা রিপাবলিকান ও তাদের জোট সঙ্গীরা। তারা পেয়েছে ১০ শতাংশ ভোট।
ভোট পাওয়ার এই হারের চিত্রের ওপর ভিত্তি করে অতি ডানপন্থিরা জাতীয় পরিষদে ২৩০ থেকে ২৮০টি পর্যন্ত আসন পেতে পারে। তবে ফ্রান্সের পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ৫৭৭টি আসনের জাতীয় পরিষদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে দরকার হয় ২৮৯টি আসন।
দুই রাউন্ডের ভোট এবং রেকর্ড সংখ্যক ত্রিমুখী প্রতিযোগিতার কারণে এবারের জাতীয় পরিষদের চিত্র কী হবে তার চূড়ান্ত ধারণা পাওয়া কঠিন হয়ে পড়েছে। মূলত রান অফের আগে দলগুলোর মধ্যে বোঝাপড়া, হর্স ট্রেডিং, কিছু নির্বাচনী এলাকায় জোট গঠন বা জোটের ভাঙনের উপর নির্ভর করবে ৭ জুলাই নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল। তবে এটা নিশ্চিত যে, অতি ডানপন্থি নেতা লে পেন ফ্রান্সের রাজনীতিতে তার প্রভাব ব্যাপক মাত্রায় বিস্তার করেছেন। তিন সপ্তাহের মধ্যে দুটি নির্বাচনে জয় পেয়ে তিনি ফ্রান্সের রাজনীতিতে এখন প্রতিষ্ঠিত হয়ে গেলেন বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
সারাবাংলা/আইই