বিজ্ঞাপন

‘সমঝোতা স্মারক সম্পর্কে সরকার মিথ্যাচার করছে’

July 1, 2024 | 8:10 pm

স্পেশাল করসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ভারতের সঙ্গে রেল করিডোরসহ বিভিন্ন সমঝোতা স্মারক সম্পর্কে সরকার জনগণের কাছে মিথ্যাচার করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (০১ জুলাই) বিকেলে চন্দ্রিমা উদ্যানে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।

জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের নবনিযুক্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীনের নেতৃত্বে আইনজীবীদের নিয়ে মির্জা ফখরুল জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন এবং প্রয়াত নেতার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘তারা (সরকার) আজ পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষের কাছে কখনো সত্য কথা বলে নাই। সব সময় প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছে, প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে মানুষকে তারা বোকা বানানোর চেষ্টা করেছে। আজকে যেসব সমঝোতা-চুক্তি সই করে এসেছে, তাতে অতি অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশকে ভারতের নির্ভরশীল করে ফেলবে।’

বিজ্ঞাপন

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সমঝোতার মধ্যে সবচেয়ে মারাত্মক রেল করিডোর। এই রেল করিডোর বাংলাদেশের কোনো কাজে লাগবে না। বাংলাদেশের মাটিতে তারা রেল লাইন ব্যবহার করবে। সেখানে বাংলাদেশের কোনো স্বার্থ রক্ষা হবে না। আকাশ, স্থল, নৌ-পথ— সবখানে তারা (সরকার) তাদেরকে (ভারত) পার্টানারশীপ দিয়ে দিয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘পার্টানারশীপে আমাদের কোনো আপত্তি নেই, কানেক্টিভিটিতে আমাদের আপত্তি নেই। বাংলাদেশ কি পেল, সেটাই হচ্ছে প্রধান। আমরা তো এখানে কিচ্ছু পাইনি।’

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশের যে অভিন্ন নদীগুলোর পানির ন্য্যায্য হিস্যা, সেই পানি আমি পাইনি, তিস্তা নদীর পানি আমরা পাইনি। আমাদের সীমান্তে হত্যা বন্ধ হচ্ছে না, আমাদের বাণিজ্য ঘাটতি আছে তার জন্যে সেখানে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। সেজন্য আমরা সমঝোতা-চুক্তি নিয়ে যেসব কথা বলছি, সেটা সত্য কথা বলছি। আমরা কোনো ষড়যন্ত্রের কথা বলছি না। আমরা বলছি, এই অবৈধ সরকারই চক্রান্ত করছে। তারা বাংলাদেশকে পরনির্ভরশীল করে ফেলছে।’

বিজ্ঞাপন

হলি আর্টিজেন দিবস নিয়ে প্রশ্ন করা হলে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘হলি আর্টিজেনের বিষয়টা আমরা কনডেম করেছি, যে-কোনো ধরনের জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে আমরা, আমরা আন্তর্জাতিক ও জাতীয় জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে। কিন্তু এরা যেটা করেছে, তারা জঙ্গিবাদের নাম করে বিরোধী পক্ষকে হয়রানি করেছে, তাদেরকে গ্রেফতার করেছে এবং তাদ্রেকে কারাগারের নিক্ষেপ করেছে।’

জাতীয়বাদী আইনজীবী ফোরামের নতুন সভাপতি অ্যাডভেকেট জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আমরা সুপ্রিম কোর্ট ও ঢাকা কোর্টের আইনজীবীরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজার এসেছি, আমরা আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেছি।’

তিনি বলেন, ‘দেশে আইনের শাসন, গণতন্ত্র ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতার জন্য আমরা আজকে শপথ নিয়েছি। অল্প কিছু দিনের মধ্যে আমরা চেষ্টা করবো বিচার বিভাগের মাধ্যমেই আমাদের নেত্রীকে মুক্ত করার জন্য এবং সেজন্য সব আইনজীবী প্রস্তুত হয়ে আছে। জাতীয়তাবাদী আইনজীবীরা ঐক্যবদ্ধ থেকে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।’

এ সময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সহ-সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন এবং মহাসচিব ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার, ব্যারিস্টার বদরুদ্দোজা বাদল, ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল, অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম, অ্যাডভোকেট ইকবাল হোসেন, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল, অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিওন প্রমুখ।

বিজ্ঞাপন

গত ৯ জুন জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি সাবেক এটর্নি জেনারেল এজে মোহাম্মদ আলী মারা গেলে সেই পদে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নাল আবেদীনকে মনোনয়ন দেয় বিএনপি। দায়িত্বভার নেয়ার পর তিনি দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে শ্রদ্ধা জানাতে এই অনুষ্ঠান।

সারাবাংলা/এজেড/এনইউ

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন