বিজ্ঞাপন

টানা ৮ দিন প্রক্সি, অবশেষ ধরা পড়ল ভুয়া পরীক্ষার্থী

July 1, 2024 | 9:47 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গায় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্নাস চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ার অপরাধে এক ভুয়া পরীক্ষার্থীকে আটকের পর এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার (১ জুলাই) চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজ কেন্দ্র থেকে তাকে আটক করা হয়। টানা আট দিন প্রক্সি দেওয়ার পর নবম তম পরীক্ষার দিনে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে শনাক্ত হয় ওই ভুয়া পরীক্ষার্থী। এ ঘটনায় কলেজ কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগ উঠেছে।

বিজ্ঞাপন

দণ্ডপ্রাপ্ত শামীম আহম্মেদ তুষার, জীবননগর উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের খোকনের ছেলে। তিনি যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অর্নাস তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী।

চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সহযোগী অধ্যাপক মামুন অর রশিদ বলেন, অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষায় ২১৫ নম্বর কক্ষে ইতিহাস বিভাগের শহীদুজ্জামান নামের এক পরীক্ষার্থীর পক্ষে শামীম আহম্মেদ তুষার নামে একজন প্রক্সি দিচ্ছিলেন। বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরীক্ষা চলাকালে তাকে শনাক্ত করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতে তাকে এক বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে। ইতোমধ্যে আমরা কলেজ কর্তৃপক্ষ মূল পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছি। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্দেশনা মোতাবেক প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পাঠানো হয়েছে।

পরীক্ষার হলে পরীক্ষার্থী কীভাবে মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করল, এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এসব কথা লেখার প্রয়োজন নেই।

বিজ্ঞাপন

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক নাঈমা জাহান সুমাইয়া জানান, তাৎক্ষণিকভাবে অভিযোগের প্রমাণ পাওয়ায় ভুয়া পরীক্ষার্থীকে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। আর যিনি প্রকৃত পরীক্ষার্থী তাকেও শনাক্ত করা হয়েছে। তার ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ কলেজ কর্তৃপক্ষ নেবে।

তিনি আরও জানান, গোপন খবর পেয়ে আমরা তাকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি প্রথমে অস্বীকার করে। সে সময় সে দৃঢ় কণ্ঠে ছিল। পরীক্ষার্থীর বাবার মোবাইল ফোন নম্বর চাওয়া হলে, ভুয়া পরীক্ষার্থী আসল পরীক্ষার্থীর নম্বর দেন। তার সঙ্গে কথা বললে আরও বেশি সন্দেহ হয়। তিনি যে ওই পরীক্ষার্থীর বাবা নন সেটি কথা শুনেই বোঝা যাচ্ছিল। তারপর ভালোভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে দুই জনের কথার অমিল পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ভুয়া পরীক্ষার্থী স্বীকার করে। এছাড়াও তার কাছে একটি মুঠোফোনও পাওয়া যায়।

চুয়াডাঙ্গা সরকারী কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান বলেন, এ ঘটনার ব্যাপারে তদন্ত হওয়া প্রয়োজন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনইউ

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন