বিজ্ঞাপন

মতিউর ও তার স্ত্রী-সন্তানদের সম্পদের হিসাব চায় দুদক

July 2, 2024 | 5:56 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের আলোচিত সদস্য মতিউর রহমান, তার দুই স্ত্রী ও সন্তানদের সম্পদের বিবরণী জমা দিতে নোটিশ দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২ জুলাই) দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো পৃথক চিঠিতে তাদের সম্পদের হিসাব চেয়ে নোটিশ দেওয়া হয়। দুদক সচিব খোরশেদা ইয়াসমিন গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দুদক সচিব বলেন, ‘অনুসন্ধান শেষে কমিশনের সিদ্ধান্তক্রমে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট মো. মতিউর রহমান, প্রথম স্ত্রী লায়লা কানিজ, প্রথম পক্ষের সন্তান আহমেদ তৌফিকুর রহমান অর্নব, প্রথম পক্ষের সন্তান ফারজানা রহমান ইন্সিতা এবং দ্বিতীয় স্ত্রী শাম্মী আখতার শিভলীর নামে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ২৬(১) ধারা ও দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা, ২০০৭ বিধি ১৭(১) অনুযায়ী সম্পদ বিবরণীর নোটিশ জারি করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘আদেশ পাওয়ার ২১ কার্যদিবসের মধ্যে নির্ধারিত ছকে সম্পদ বিবরণী দাখিলে ব্যর্থ হলে কিংবা মিথ্যা সম্পদ বিবরণী দাখিল করলে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ এর ৫(২) ধারা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বিজ্ঞাপন

দুদকের নোটিশে বলা হয়েছে, প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে অনুসন্ধান করে দুদকের স্থির বিশ্বাস জন্মেছে যে, আপনারা জ্ঞাত আয়বহির্ভূত স্বনামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ সম্পদ/সম্পত্তির মালিক হয়েছেন। নিজ ও আপনাদের ওপর নির্ভরশীল ব্যক্তির নামে-বেনামে অর্জিত যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পদ, দায়-দেনা, আয়ের উৎস ও তা অর্জনের বিস্তারিত বিবরণী কমিশনে দাখিল করবেন।

এর আগ, গত ৩০ জুন দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে পাঠানো চিঠিতে মতিউর রহমান, তার স্ত্রী ও সন্তানদের নাম উল্লেখ করে ঢাকা, নরসিংদী ও মুলাদির সাব-রেজিস্ট্রার অফিস ও ভূমি অফিস, রাজউক, জয়েন্ট স্টক কোম্পানিসহ বিভিন্ন দফতরে পৃথক পৃথক চিঠি দেওয়া হয়।

আলোচিত মতিউর রহমানের দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের তথ্য অনুসন্ধানে গত ২৩ জুন তিন সদস্যের টিম গঠন করে দুদক। সংস্থাটির উপপরিচালক আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্ব টিম কাজ করছে। গত ৪ জুন তার বিরুদ্ধে দুদকে অভিযোগ জমা হওয়ার পর কমিশনের পক্ষ থেকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানা গেছে। গত ২৪ জুন মতিউর রহমান, তার স্ত্রী লায়লা কানিজ ও ছেলে আহম্মেদ তৌফিকুর রহমান অর্নবের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

এনবিআর সদস্য ও কাস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট অ্যাপিলেট ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রেসিডেন্ট মতিউর রহমানের বিরুদ্ধে গত দুই যুগে চার বার দুর্নীতির অভিযোগ উঠে। এসব অভিযোগ পৃথকভাবে অনুসন্ধান করে দুদক। প্রতিবারই দুদক থেকে অব্যাহতি পান তিনি। বর্তমানে তাকে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগে বদলি করা হয়েছে।

এর আগে, গত ৩০ জুন দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে মতিউর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা সম্পদের খোঁজে সরকারি বিভিন্ন দফতরে নথিপত্র চেয়ে চিঠি দেয় দুদক।

সারাবাংলা/জিএস/পিটিএম

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
ফের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা, স্বপনের সামনে ২ নেতার পালটাপালটিএডিস লার্ভা পাওয়ায় স্কয়ার হাসপাতালকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাপদ্মা সেতু প্রকল্পের সমাপনী ঘোষণায় মাওয়া যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীনৌবাহিনীর নবীনদের কুচাকাওয়াজে ভারতীয় নৌপ্রধানশনিবার বিক্ষোভ, রোববার থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণাপথচারীকে ধাক্কা, পালানোর সময় বাইক উল্টে চালক নিহতসাংবাদিক কনক ও আইনজীবী মহসীনকে আপিল বিভাগে তলবকাস্টমস কমিশনার এনামুলের ৯ তলা বাড়ি ও ২ ফ্ল্যাট জব্দের নির্দেশচীনে নারী পাচারের অভিযোগে কারাগারে ভাই-বোনসহ ৩ জনবেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে জবাবদিহিতার আওতায় আনার সুপারিশ সব খবর...