বিজ্ঞাপন

মেয়ের পরকীয়ার বলি সাবেক এমপি খান মজলিসের পত্মী

July 2, 2024 | 6:38 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: বড় মেয়ে শামীমা তাহের পপির পরকীয়া সম্পর্কের কথা জেনে যাওয়ায় প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে মা সেলিমা খান মজলিসকে নির্মমভাবে হত্যা করে। পরে তিনি নিজেই আত্মহত্যার নাটক সাজিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দিতে চায়। গত তের বছর ধরে করা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্তে প্রকৃত ঘটনা বেরিয়ে এসেছে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (২ জুন) রাজধানীর ধানমন্ডিতে পিবিআই সদরদফতরে এক সংবাদ সম্মেলনে পিবিআই প্রধান বনজ কুমার মজুমদার এ সব তথ্য জানান।

জানা যায়, সাভারের নিজের বাড়িতে ঘাতকদের হামলার শিকার হন সাবেক সংসদ সদস্য খান মজলিসের স্ত্রী সেলিমা খান মজলিস। পরে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে নিলে মৃত্যুবরণ করেন। সেই সময়ের চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডটিকে আত্মহত্যা বলে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

ঘটনার এতদিন পরে পিবিআইয়ের তদন্তে উঠে এসেছে লোমহর্ষক এক কাহিনী। পিবিআই বলছে, বড় মেয়ে শামীমা তাহের পপির পরকীয়া প্রেমের বলি হয়েছেন সাবেক এই এমপি পত্নী। মেয়ের পরকীয়ার সম্পর্কের কথা জেনে যাওয়ায় প্রেমিক সুবলকে সঙ্গে নিয়ে মাকে পেশাদার খুনিদের মতো হত্যা করেন পপি।

বিজ্ঞাপন

পিবিআই প্রধান বলেন, ‘তদন্ত শুরু হলে আমরা ভিকটিমের বড় মেয়ে আসামি শামীমা খান মজলিশসহ বাকি দুই মেয়েকেও সন্দেহের মধ্যে রাখি। আমরা খোঁজ নিতে গিয়ে দেখি যে, ওই বাসায় কারা কারা আসতো। জানতে পারি একজন ইলেকট্রিশিয়ান মাঝে মাঝে ওই বাসায় আসতো। কিন্তু তার বহুদিন ওই বাসায় আসা-যাওয়া নেই। জানতে পারি, সে বিগত ৩০ বছর ধরে সাভার থানায় ইলেকট্রিশিয়ান হিসেবে কাজ করছে। সেইসঙ্গে পাশেই তার একটি মুদির দোকানও আছে। কিন্তু আমরা তদন্তের সময় যেসব কথা জানতে পারি তার মধ্যে ঘটনার সময় বাড়ির একটি সুইচ বোর্ড ভাঙা এবং দুইটা তার বের করে রাখার একটা বিষয় উঠে আসছিল। এর পর আমরা আসামি ইলেকট্রিশিয়ান সুবল কুমার রায়কে নিয়ে আসি।’

সুবলকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে বনজ কুমার মজুমদার বলেন, ‘ভুক্তভোগী সেলিমা খান মজলিসের বড় মেয়ে তার স্বামীকে নিয়ে নিচতলায় বসবাস করতেন। সেখানে সে নিয়মিত যাতায়াতের এক পর্যায়ে আসামি শামীমা খান মজলিসের স্বামীর সঙ্গে বিভিন্ন ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে ২০০১ সালে আসামি সুবল কুমার রায় এবং শামীমা খান পরকীয়ায় জড়ান। বিষয়টি ২০০৫ সালে জানাজানি হলে সুবলকে মারধর ও অপমান করা হয়। এর পর তিনি বাসা থেকে চলে যান। তাকে ওই বাসায় আসতে নিষেধ করা হয়। ২০০৮ সালে সুবল কুমার রায় বিয়ে করেন। ২০১১ সাল থেকে তিনি আবার সেই বাসায় যাতায়াত শুরু করেন। এই যাতায়াত দেখে ফেলায় সুবল ও শামীমা তাহের পপি মিলে সেলিমা খানকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা করে।’

হত্যার দিনের ঘটনা

বিজ্ঞাপন

যেদিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে সেদিন ভোরবেলা ফজরের নামাজের সময় ভিকটিম সেলিমা খান মজলিশ ছাদে উঠেছিলেন এবং সেখান থেকে দেখতে পান, সুবল চুপিচুপি তার বাড়ির দিকে আসছে। তিনি এটা দেখে চিৎকার করতে করতে নিচে নামছিলেন। তখন সুবল এবং শামীমা খান মজলিস মায়ের চিৎকার থামাতে ওপরে যান। মাকে থামানোর জন্য শামীমা তাহের পপি তাকে জাপটে ধরেন এবং পাশে থাকা একটি ফল কাটার চাকু দিয়ে গলার দুই পাশে তিনটি পোচ দেন। এরপর যখন তারা দেখেন তার মা মারা যাননি, তখন ইলেকট্রিক মিস্ত্রি সুবল বোর্ড ভেঙে সেখান থেকে দু’টি তার বের করে ভিকটিমের মাথায় শক দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। ফলে মৃত্যুর কারণ ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে উঠে আসে না। সুরতহাল রিপোর্ট অনুযায়ী ঘটনাটি ঘটে রান্না করে। কিন্তু ভুক্তভোগীকে শোবার ঘর থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এই ঘটনায় এখন সুবল, শামীমা তাহের পপি ও সেই সময় বাড়ির গৃহকর্মী আরতি সরকারকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই।

পিবিআই প্রধান নলেন, ‘এ ঘটনায় চার্জশিট দেওয়া হয়েছে আদালতে। এই মামলার হত্যা রহস্য উদঘাটিত হয়েছে।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইউজে/পিটিএম

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
ত্রুটিযুক্ত এয়ারক্রাফট শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শমিয়ানমারে সংঘাত: বিস্ফোরণের বিকট শব্দে টেকনাফবাসীর নির্ঘুম রাতফের সম্মেলনের তারিখ ঘোষণা, স্বপনের সামনে ২ নেতার পালটাপালটিএডিস লার্ভা পাওয়ায় স্কয়ার হাসপাতালকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাপদ্মা সেতু প্রকল্পের সমাপনী ঘোষণায় মাওয়া যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীনৌবাহিনীর নবীনদের কুচাকাওয়াজে ভারতীয় নৌপ্রধানশনিবার বিক্ষোভ, রোববার থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণাপথচারীকে ধাক্কা, পালানোর সময় বাইক উল্টে চালক নিহতসাংবাদিক কনক ও আইনজীবী মহসীনকে আপিল বিভাগে তলবকাস্টমস কমিশনার এনামুলের ৯ তলা বাড়ি ও ২ ফ্ল্যাট জব্দের নির্দেশ সব খবর...
বিজ্ঞাপন