বিজ্ঞাপন

গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস, ফ্যানে ঝুলছিল স্বামী-স্ত্রী

July 4, 2024 | 5:33 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

বাগেরহাট: জেলার সদর উপজেলায় গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় এক দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই ) ভোরে বাগেরহাট সদর উপজেলার চিতলী এলাকার একটি বাসা থেকে মরদেহ দু’টি উদ্ধার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

মৃতরা হলেন- আবু দাউদ শেখ (৪৯) ও তার স্ত্রী তোহেলি সুলতানা লাকি (৪৫)। নিহত দম্পতির এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে। মেয়ে জান্নাতুল ফেরদাউস একাদশ শ্রেণিতে এবং ছেলে মো. আল কাইয়ুম সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

জানা গেছে, বসতঘরের থেকে ফ্যানের সঙ্গে আলাদা ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় স্বামী-স্ত্রীকে দেখতে পান স্বজনরা। এ অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়ার পথে স্বামীর মৃত্যু হয়। আর উদ্ধারের আগেই মারা যান তার স্ত্রী।

ওই দম্পতির মেয়ে জান্নাতুল ফেরদৌস লামিয়া (১৭) জানান, তার বাবা আবু দাউদ শেখ স্থানীয় বাজারে ইট-বালির ব্যবসা করতেন। তাদের পিতা-মাতার সাথে কোন প্রকার কলহ ছিল না। গতকাল রাত ৩টা পর্যন্ত তারা একই রুমে গল্প করেছে। এরপর তার পিতা মাতা তাদের রুমে ঘুমাতে যা চলে যায়। সকালে তার ভাইয়ের পরীক্ষা থাকায় ঘুম থেকে উঠে পিতামাতার ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পায়।

বিজ্ঞাপন

মৃত দম্পতির ছেলে আল কাইয়ুম সিয়াম (১৩) জানায়, সকালে ঘুম উঠে তার বাবা-মা আবার ঘুমাতে যায়। কিছু সময় পর বাসার ছাদে কাজ করা মিস্ত্রিরা এসে কলিং বেল চাপতে থাকে। সে মনে করেছিল তার বাবা-মা উঠে মিস্ত্রিদের দরজা খুলে দেবে। কিন্তু দরজা না খোলায় সে তার বাবা-মার দরজায় এসে ধাক্কা দেয়। অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পর দরজা না খোলায় পাশের জানালার ফাঁক দিয়ে তার বাবা ও মাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে তার মায়ের গলায় ফাঁস লাগানো মৃতদেহ এবং বাবাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পায়। পরে এলাকাবাসী এসে তার বাবাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বাগেরহাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. সাইদুর রহমান জানান, পারিবারিক কলহের কারণে স্বামী-স্ত্রী আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট জেলা হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/পিটিএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন