বিজ্ঞাপন

রাজশাহী আইএইচটির ছাত্রলীগ সভাপতিসহ ৬ জন বহিষ্কার

July 5, 2024 | 6:11 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

রাজশাহী: রাজশাহী ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেকনোলজি (আইএইচটি) শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি মো. আল আমিন হোসেনকে এক বছরের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সিট-বাণিজ্য ও এক ছাত্রকে মারধরের অভিযোগে তাকে বহিষ্কার করা হয়। ফলে এ সময়ে তিনি ক্যাম্পাসে প্রবেশ ও ছাত্রাবাসে অবস্থান করতে পারবেন না। একই অভিযোগে তার পাশাপাশি আরও পাঁচ ছাত্রলীগ কর্মীকে ছয় মাসের শাস্তি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া দুজনকে তিরস্কার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে এই শাস্তি ১ জুলাই থেকে কার্যকর হয়েছে। যদিও আইএইচটি কর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকেলে নোটিশ আকারে বিষয়টি প্রকাশ করেছেন।

বিজ্ঞাপন

বহিষ্কৃতরা হলেন- আইএইচটি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি হলেন আল আমিন হোসেন (ডেন্টাল অনুষদ, ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষ), ছাত্রলীগ কর্মী মাসুদ পারভেজ (ডেন্টাল বি গ্যালারি, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ), ফারহান হোসেন (ডেন্টাল-বি গ্যালারি, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ), শাহরিয়ার নাফিজ (ল্যাব-এ গ্যালারি, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ), পারভেজ মোশাররফ (ল্যাব-এ গ্যালারি, ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ) ও নিলয় কুমার (রেডিওলোজি-এ গ্যালারি ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষ)। তাদের মধ্যে আল আমিন হোসেনকে এক বছরের জন্য ও বাকিদের ৬ মাসের জন্য বহিষ্কার করা হয়।

এছাড়া একই শিক্ষাবর্ষের সিফাতকে (ফার্মেসি) তিরস্কার করে ভবিষ্যতে এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার জন্য সর্বোচ্চ সতর্ক করা হয়েছে। প্রশাসনকে না জানিয়ে অন্য (ছাত্রলীগ সভাপতি) ব্যক্তির সাথে টাকা লেনদেনের জন্য একই শিক্ষাবর্ষের হাসানকে (ফার্মেসি) তিরস্কারের পাশাপাশি সর্বোচ্চ সতর্ক করা হয়েছে।

শাস্তির নোটিশে জানানো হয়, শাস্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছাত্রলীগের সভাপতি আল আমিন হোসেন প্রথম বর্ষের ছাত্র হাসানের কাছ থেকে হোস্টেলে সিট দেয়ার নামে টাকা নেন। অপর পাঁচ শিক্ষার্থী (ছাত্রলীগ সভাপতির কর্মী) হাসানকে মারধর করেন। এই মর্মে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে গত ৬ জুন একাডেমিক সভায় শাস্তির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে নোটিশটি গত ১২ জুন স্বাক্ষর করেছেন অধ্যক্ষ।

বিজ্ঞাপন

এর আগে ২৯ এপ্রিল আইএইচটির ফার্মেসি বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী মো. হাসানকে মারধর করা হয়। পরে আহত অবস্থায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় ১ মে থেকে আইএইচটি ক্যাম্পাস বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এছাড়া ঘটনা তদন্তে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়। তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

শাস্তিপ্রাপ্ত ছাত্রলীগ সভাপতি আল আমিন হোসেন জানান, নোটিশটি ক্যাম্পাস ছুটির কিছুক্ষণ আগে প্রকাশ করা হয় বলে জানতে পেরেছি। তবে ব্যক্তিগতভাবে শাস্তির কোনো চিঠি আমি পাইনি। যদিও ওই বিষয়টি (সিট বাণিজ্য ও শিক্ষার্থীকে মারধর) তখনই মিটমাট হয়েছে। কিন্তু বিভিন্ন সময়ে কলেজ প্রশাসনের বিরুদ্ধে নানা দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করায় আমাদের শাস্তির আওতায় আনা হয়েছে।

এ বিষয়ে আগামী রোববার অধ্যক্ষের সঙ্গে দেখা করে কথা বলবেন বলেও জানান তিনি।

বিজ্ঞাপন

আইএইচটি অধ্যক্ষ ডা. ফারহানা হক জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছিল। ওই কমিটির তদন্ত প্রতিবেদন জমার পর একাডেমিক কাউন্সিল সভা হয়। সভায় জড়িতদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার এই সিদ্ধান্ত হয়।

আর গেল কয়েক দিন অফিসিয়াল কাজের চাপ থাকায় এই সংক্রান্ত আদেশের নোটিশটি প্রকাশে দেরি হয় বলেও জানান তিনি।

সারাবাংলা/এনইউ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন