বিজ্ঞাপন

রেকর্ড ভেঙেছে জুন, উষ্ণতম বছরের পথে ২০২৪

July 9, 2024 | 8:50 am

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

বৈশ্বিক উষ্ণতায় প্রতি বছরই আগের বছরের রেকর্ড ভাঙার প্রতিযোগিতায় নেমেছে যেন। সবশেষ তথ্য বলছে, সদ্যগত জুন মাস ছিল ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণতম। এই মাসটির তাপমাত্রা পরিস্থিতি আগের সব রেকর্ড ভেঙেছে।

বিজ্ঞাপন

কেবল জুন মাস নয়, তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে গবেষকরা বলছেন, ২০২৪ সাল পুরোটাই হতে পারে উষ্ণতম বছর। অর্থাৎ বার্ষিক গড় তাপমাত্রায় এটি অতীতের যেকোনো বছরকে ছাড়িয়ে যাবে বলে আশঙ্কা রয়েছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) কোপার্নিকাস ক্লাইমেট চেঞ্জ সার্ভিস (সিথ্রিএস) তাদের সবশেষ মাসিক বুলেটিন প্রকাশ করেছে সোমবার (৮ জুলাই)। সেই বুলেটিনেই এসব তথ্য ও আশঙ্কার কথা তুলে ধরা হয়েছে।

সিথ্রিএসের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালের জুন মাস আগের সব মাসের রেকর্ড ভেঙেছিল। এরপর থেকে এ বছরের জুন পর্যন্ত টানা ১৩ মাসের প্রতিটিই তাপমাত্রায় আগের রেকর্ড ভেঙেছে। অর্থাৎ প্রতিটি মাসই আগের যেকোনো বছরের ওই মাসের তুলনায় ছিল বেশি উষ্ণ।

বিজ্ঞাপন

টানা তাপমাত্রা বৃদ্ধির এই প্রবণতায় ২০২৪ সালও বছরের হিসাবে সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন কিছু বিজ্ঞানী। তারা বলছেন, তাপমাত্রা যেভাবে অস্বাভাবিক মাত্রায় বাড়ছে, তাতে এটি অস্বাভাবিক কিছু হবে না।

বার্কলে আর্থের গবেষক জেকে হাউসফেদার বলেন, দেড় শ বছরের বেশি সময় ধরে তাপমাত্রার রেকর্ড রাখা হচ্ছে। সেসব রেকর্ড বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০২৩ সাল ছিল পৃথিবীর উষ্ণতম বছর। তবে এ বছর যে গরম পড়েছে, তাতে মনে হচ্ছে ২০২৪ সালের জন্য ২০২৩ সালের গড় তাপমাত্রাকে ছাড়িয়ে যাওয়ার আশঙ্কা প্রায় ৯৫ শতাংশ।

একই আশঙ্কার কথা বলছেন ইম্পেরিয়াল কলেজ লন্ডনের গ্র্যানথাম ইনস্টিটিউটের জলবায়ু বিজ্ঞানী ফ্রেডেরিক ওটো। এর পেছনে তিনি ‘এল-নিনো’র প্রভাব দেখছেন। ওটো বলেন, ২০২৪ সাল ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণতম বছর হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা আছে। এর কারণ এল নিনো। এটি প্রাকৃতিক, যা আসবে-যাবে, আমরা ঠেকাতে পারব না। তবে আমরা জ্বালানি তেল, গ্যাস ও কয়লা পোড়ানো বন্ধ করতে পারি।

বিজ্ঞাপন

এ বছরে বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাবে ব্যাপকভাবেই নাজেহাল হয়েছে বিশ্ব। গত মাসে মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র হজব্রত পালনের সময় সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে গরমে। ভারতেও এ বছর রেকর্ডভাঙা তাপমাত্রা দেখা গেছে। ১ মার্চ থেকে ১৮ জুন পর্যন্ত সময়ে দেশটিতে ৪০ হাজারের বেশি হিট স্ট্রোকের ঘটনা রেকর্ড হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে কমপক্ষে ১১০ জন প্রাণ হারিয়েছেন তাপমাত্রার প্রভাবে।

বাংলাদেশও নিস্তার পায়নি এ বছরের ভয়াবহ তাপমাত্রা থেকে। এ বছরই প্রথম এপ্রিল মাসের পুরোটা সময়জুড়েই দেশের কোনো না কোনো বিভাগের ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে গেছে। এপ্রিল-মাসজুড়ে অন্তত সাতবার তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করতে হয়েছে আবহাওয়া অধিদফতরকে।

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন