বিজ্ঞাপন

স্পেন-ফ্রান্স দ্বৈরথে যে জিতবে সেই চ্যাম্পিয়ন?

July 9, 2024 | 2:02 pm

স্পোর্টস ডেস্ক

ইউরপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালই যেন অঘোষিত এক ফাইনাল। টুর্নামেন্টের প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি দুই ফেভারিট স্পেন ও ফ্রান্স। তাদের মধ্যকার দ্বৈরথের আগে উঁকি দিচ্ছে অন্যরকম এক পরিসংখ্যান। ইউরোর নকআউট পর্বে এই দুই দল মুখোমুখি হয়েছে মোট তিনবার এবং সে লড়াইয়ে যারাই জিতেছে, শেষ পর্যন্ত শিরোপা জয় করেছে তারাই।

বিজ্ঞাপন

এবারও কি তবে তেমনটাই দেখা যাবে? জার্মানির মিউনিখে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় মাঠে গড়াচ্ছে স্পেন ও ফ্রান্সের মধ্যকার সেমিফাইনালের ম্যাচটি। দুই দলের লড়াইয়ে জয়ীই তাহলে এবারেও কি হবে চ্যাম্পিয়ন?

তবে সেই উত্তর মিলবে ১৪ জুলাই ফাইনালের পরে। কিন্তু তার আগে নিশ্চিত এই দুই দলের একজন তো ফাইনাল খেলছেই। ইউরোর আঙিনায় নকআউট পর্বে দুই দলের প্রথম দেখা ১৯৮৪ সালে; অবশ্য সেটি ছিল ফাইনালে। স্পেনকে হারিয়ে ট্রফি উঁচিয়ে ধরেছিল ফ্রান্স।

নিজেদের প্রথম শিরোপা জয়ের পর দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তুলতে ফ্রান্সকে অপেক্ষা করতে হয় ১৬ বছর। ২০০০ সালে দুই দল মুখোমুখি হয়েছিল কোয়ার্টার ফাইনালে। স্পেনকে হারানোর পর সেবার দ্বিতীয় ও সবশেষ এই ট্রফির স্বাদ পেয়েছিল ফ্রান্স।

বিজ্ঞাপন

এরপর ২০১২ সালে এসে পাশার দান উল্টে যায়। সেবার কোয়ার্টার ফাইনালে ফ্রান্সকে ২-০ গোলে হারানোর পর ফাইনালে ইতালিকে উড়িয়ে নিজেদের নিজেদের তৃতীয় ও সবশেষ শিরোপা জিতে নেয় স্পেন। মিউনিখের এবারের সেমিফাইনাল ম্যাচটিকে তাই অনেকেই দেখছেন এবারের ট্রফির ‘নির্ণায়ক’ ম্যাচ হিসেবে।

নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবার ১৯২২ সালে মুখোমুখি হয় দুই দল। এরপর ১৯টি প্রীতি ম্যাচ খেলার পর দুই দল প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে লড়েছিল ১৯৮৪’র ইউরোর ফাইনালেই। মিশেল প্লাতিনি ও বেলোনের গোলে জিতেছিল ফ্রান্স।

এবার টুর্নামেন্টে খুব একটা ভালো সময় কাটছে না ফ্রান্সের। আক্রমণভাগে সময়ের সেরাদের একজন কিলিয়ান এমবাপে, অভিজ্ঞ অ্যান্টোনিও গ্রিজমান থাকলেও গোলমুখে দুর্বার হয়ে উঠতে পারছে না ফ্রান্স। দুজনের মধ্যে এমবাপে একটি গোল পেয়েছেন; সেটিও পোল্যান্ডের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে পেনাল্টি থেকে। আর গোটা টুর্নামেন্টে দলের পক্ষে তিনটি গোল আসলেও যার মধ্যে দুটিই এসেছে প্রতিপক্ষের আত্মঘাতী গোল থেকে। আর ওপেন প্লে’তে ফ্রান্সের নেই একটি গোলও।

বিজ্ঞাপন

তবে স্পেন আছে ফর্মের তু্ঙ্গে। পাঁচ ম্যাচের সবগুলো জিতে সেমিফাইনালে উঠে এসেছে লুইস দে লা ফুয়েন্তের দল। জার্মানির বিপক্ষে কোয়ার্টার-ফাইনালেই যা একটু ভুগতে হয়েছে তাদের, তবে ঠিকই ২-১ গোলের জয় তুলে নেয় ‘লা রোজা’রা।

আগের চার ম্যাচের মধ্যে শেষ ষোলোয় এবারের ইউরোয় চমক দেখানো জর্জিয়াকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দেওয়া, গ্রুপ পর্বে ক্রোয়েশিয়াকে ৩-০ এবং বর্তমান চ্যাম্পিয়নের মুকুট পরে আসা ইতালিকে তাদের আত্মঘাতী গোলে ১-০ ব্যবধানে হারানোর তৃপ্তিও তাদের সঙ্গী।

নান্দনিকতা আর আগ্রাসী ফুটবলের মিশেলে খেলা এই স্পেনের বড় শক্তির দিক, গোলের জন্যও নির্দিষ্ট কারো মুখাপেক্ষী নয় তারা। দানি ওলমো ও ফাবিয়ান রুইস করেছেন দুটি করে গোল। বিগত ম্যাচগুলোয় জালের দেখা পেয়েছেন দানি কারভাহাল, মিকেল মেরিনো, আলভারো মোরতা, রদ্রি, ফেররান তরেস, নিকো উইলিয়ামস। ফ্রান্স ম্যাচেও তাই ব্যবধান গড়ে দিতে পারেন যে কেউ। কিন্তু এরপরও পুরোপুরি নির্ভার নয় স্পেন।

জার্মানি ম্যাচে টনি ক্রুসের ট্যাকলে ইউরো শেষ হয়ে গেছে মাঝমাঠের নির্ভরতা পেদ্রির। কার্ডের নিষেধাজ্ঞায় তারা ফরাসিদের বিপক্ষে ম্যাচে পাবে না সেন্টার ব্যাক হবাঁন লু নহমাঁ ও নির্ভরযোগ্য ফুলব্যাক দানি কারভাহালকে। সেক্ষেত্রে নাচো, হেসসু নাভাসকে দিয়ে রক্ষণের কমতি পূরণে মনোযোগী হতে পারে স্পেন।

বিজ্ঞাপন

দুই কোচ দে লা ফুয়েন্তে ও দিদিয়ে দেশম হয়ত পরিসংখ্যান নিয়ে অতটা মনোযোগী থাকবেন না। অতীতে না ডুবে বর্তমানে থেকে কষবেন ছক। তবে সমর্থকদের ভাবনাতে নিশ্চিতভাবেই থাকবে ওই পরিসংখ্যান- মিউনিখে জিতলেই কিন্তু চ্যাম্পিয়ন!

সারাবাংলা/এসএস

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন