বিজ্ঞাপন

ফ্রান্সকে হারিয়ে ১২ বছর পর ফাইনালে স্পেন

July 10, 2024 | 2:56 am

স্পোর্টস ডেস্ক

শেষবার ২০১২ সালে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল খেলেছিল স্পেন। এরপর এক যুগ কেটে গেলেও আর ফাইনাল খেলা হয়নি স্প্যানিশদের। তবে ২০২৪ জার্মান ইউরোতে এসে ঘুচল অপেক্ষার অবসান। সেমিফাইনালে ফ্রান্সকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কাটল স্প্যানিশরা।

বিজ্ঞাপন

মিউনিখে মঙ্গলবার (৯ জুলাই) রাতে রন্ডল কোলো মুয়ানির গোলে স্পেনের বিপক্ষে শুরুতে লিড নেয় ফ্রান্স। তবে এরপরেই ঘুরে দাঁড়ায় স্প্যানিশরা। প্রথমে লামিন ইয়ামালের দুর্দান্ত এক গোলে সমতায় আর তার মিনিট পাঁচেক পরে দানি অলমোর গোলে লিড নেয় স্প্যানিশরা। শেষ পর্যন্ত লিড ধরে রেখে ২-১ গোলের ব্যবধানে জিতে ফাইনালের টিকিট কাটে স্পেন।

মাস্ক খুলে ফেললেন কিলিয়ান এমবাপে। গতিময় ফুটবলে আক্রমণভাগের নেতৃত্বও দিলেন; কিন্তু গোল পেলেন না। বরং ১৬ বছর বয়সেই পাদপ্রদীপের আলোয় উঠে আসা লামিন ইয়ামাল সব আলো কেড়ে নিলেন। চমৎকার এক গোলে দলকে পথ দেখালেন তিনি। পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা সামলে, ফ্রান্সকে হারিয়ে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠল স্পেন।

রোমাঞ্চকর লড়াইয়ে তিনটি গোলই হয়েছে ২৫ মিনিটের মধ্যে। রান্দাল কোলো মুয়ানির গোলে পিছিয়ে পড়া স্পেন সমতায় ফেরে ইয়ামালের গোলে। তাদের জয়সূচক গোলটি করেন দানি অলমো।

বিজ্ঞাপন

ম্যাচের শুরুতেই নিজেদের খেলার ধরন স্পষ্ট করে জানিয়ে দেন স্প্যানিশরা। ফ্রান্সকে সমীহ করলেও দমে খেলবে না স্পেন সেটা ম্যাচের প্রথম মিনিটেই দেখিয়ে দিল। দারুণ আক্রমণে ফ্রেন্সদের প্রেস করে বল নিয়ে আক্রমণে স্পেন। যদিও শুরুতে স্পেনকে পাল্টা জবাবও দিল ফ্রান্স।

ম্যাচে আট মিনিটের মাথায় উসমান দেম্বেলের কাছ থেকে বল পেয়ে নাভাসের মার্কিংয়ের ফাঁদ এড়িয়ে এমবাপে অসাধারণ একটি ক্রসে বল বাড়ান কোলো মুয়ানির উদ্দেশে। নিঁখুত হেডে বল জালে জড়াতে বেগ পেতে হয়নি এই ফরোয়ার্ডের। পুরো টুর্নামেন্টে এখন পর্যন্ত এটিই ছিল ওপেন প্লেতে করা ফ্রান্সের প্রথম গোল। এই গোলে মিশেল প্লাতিনি ও জিনেদিন জিদানের পর তৃতীয় ফ্রেন্স খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ ও ইউরোর সেমিফাইনালে গোল করলেন মুয়ানি।

তবে গোল হজম করেই ঘুরে দাঁড়ায় স্প্যানিশরা। নিজেদের ঘুছিয়ে নিয়ে দারুণ প্রেসিংয়ে ফ্রেন্সদের চেপে ধরে স্পেন। একের পর এক আক্রমণ করে যাচ্ছিল স্পেন। গোল আসতেও দেরি হয়নি স্প্যানিশদের। ২১ মিনিটে ইয়ামালের জাদুতে সমতায় স্পেন। আক্রমণের ধারায় ইয়ামাল বলটি পান বক্সের কিছুট বাইরে। ২৫ মিটার দূর থেকেই চার ডিফেন্ডারের মধ্য থেকেই শট নেন ইয়ামাল। বাঁ পাশের ওপরের কোনা দিয়ে বল জালে জড়ান ইয়ামাল।

বিজ্ঞাপন

এই গোলে ইউরোতে নতুন এক ইতিহাসও লিখলেন ১৬ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। ইয়ামাল এখন ইউরোতে ১৬ বছর বয়সে গোল করা একমাত্র ফুটবলার। পাশাপাশি এই গোলে ইউরো ও বিশ্বকাপ মিলিয়ে সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতা হলেন ইয়ামাল (১৬ বর ৩৬২দিন)। এর আগে ১৯৫৮ বিশ্বকাপে ১৭ বছর ২৩৯ দিনে গোল করেছিলে ফুটবল সম্রাট পেলে।

ম্যাচে সমতায় ফেরার পরে নিয়ন্ত্রণ নেয় স্পেন। আর ইয়ামালের গোলের পাঁচ মিনিট পরে ম্যাচের ২৫ মিনিটে তাদের এনে দেয় দ্বিতীয় গোলটিও। দুর্দান্ত এক আক্রমণে নাভাসের শট প্রতিহত হলে সেটি দারুণভাবে সেই বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে শট নেন মিডফিল্ডার দানি অলমো। যা কুন্দের গায়ে জালে জড়ালে ২–১ গোলে এগিয়ে যায় স্পেন।

দ্বিতীয়ার্ধেও নিজেদের খেলার ধরণে কোনো পরিবর্তন আনেনি স্পেন। অন্যদিকে ফ্রান্স তাদের গতিময় আক্রমণে স্প্যানিশ ডিফেন্সকে চ্যালেঞ্জে জানাচ্ছিল বারবার। তবে দ্রুত পাল্টা জবাব দিচ্ছিল স্পেনও। পরপর দুইবার আক্রমণে গিয়ে স্প্যানিশ সমর্থকদের অন্তরাত্মা কাঁপিয়ে দেন ফ্রেন্স ফরোয়ার্ডরা। যদিও বারবার নিরাশ হতে হচ্ছিল তাঁদের। ৬০ মিনিটে দেম্বেলের শট কোনোরকমে ফেরান স্প্যানিশ গোলরক্ষক উনাই সিমন। এ সময় সমতা ফেরাতে মরিয়া ফ্রান্স বেশ চাপে রাখে স্পেনকে।

শেষ দিকে কিলিয়ান এমবাপে বেশ কয়েকবার নিজের ঝলক দেখালেও আর দলকে সমতায় ফেরাতে পারেননি। তাতেই শেষ পর্যন্ত ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে স্পেন।

বিজ্ঞাপন

আগামী রোববার বার্লিনের ফাইনালে তিনবারের চ্যাম্পিয়ন স্পেন মুখোমুখি হবে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে বিজয়ীর।

সারাবাংলা/এসএস

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন