বিজ্ঞাপন

পরিপত্র-রায় নয়, কমিশনের মাধ্যমে কোটা সংস্কারে স্থায়ী সমাধান দাবি

July 10, 2024 | 8:55 pm

ঢাবি করেসপন্ডেন্ট

প্রথম শ্রেণি থেকে শুরু করে চতুর্থ শ্রেণি পর্যন্ত সব ধরনের সরকারি চাকরির জন্য যৌক্তিক হারে কোটা রেখে সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা। এ ক্ষেত্রে তারা তিন ধরনের জনগোষ্ঠীর জন্য সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ কোটা রাখা যেতে পারে বলে অভিমত দিয়েছেন। বলেছেন, কমিশন গঠন করে স্থায়ীভাবে কোটাব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কার করতে হবে।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১০ জুলাই) সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগ চত্বরে কোটাবিরোধী আন্দোলনের মূল মঞ্চ আন্দোলনের সমন্বয়করা এসব কথা বলেন। এ সময় তারা বলেন, তাদের দাবি কেবল রাষ্ট্রের নির্বাহী বিভাগই পূরণ করতে পারে। তাই সরকারের প্রতি কোটা সংস্কারের জন্য কমিশন গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

শাহবাগ চত্বরের মূল মঞ্চে আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‘আমাদের এক দফা দাবিটি কেবল নির্বাহী বিভাগ, তথা সরকার পূরণ করতে পারে। তাছাড়া শুধু নবম বা দশম গ্রেড নয়, বরং সব গ্রেডেই বৈষম্যমূলক কোটা বাতিলের বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণিতে অনেক পদ রয়েছে। সেখানেও অনেক দুর্নীতি হয়। তাদের উপেক্ষা করে দেশকে এগিয়ে নেওয়া কখনোই সম্ভব নয়।’

আরও পড়ুন-

বিজ্ঞাপন

বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং পিছিয়ে থাকা জনগোষ্ঠী হিসেবে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য সব মিলিয়ে ৫ শতাংশ কোটা থাকতে পারে বলে মনে করছেন কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা। তবে সেক্ষেত্রেও মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-নাতনিদের জন্য কোটা রাখার বিপক্ষে তারা।

কোটাব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কারের দাবি জানিয়ে সারজিস বলেন, ‘স্বাধীনতার ৫৩ বছর পর এসে আমরা বিশ্বাস করি, কোটাব্যবস্থার একটি যৌক্তিক সংস্কার প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের মনোভাব (পালস) অনুযায়ী ৫ শতাংশ কোটা বিবেচনায় রেখে কমিশন গঠন করে এটি সংস্কার কর‍তে হবে।’

বিজ্ঞাপন

এর আগে ৯ম থেকে ১৩তম গ্রেডের সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে সরকার ২০১৮ সালে পরিপত্র জারি করেছিল। এক রিটের শুনানি নিয়ে গত ৫ জুন ওই পরিপত্রের মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা বাতিলের অংশটি স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এ নিয়ে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করেছিল, আবেদন করেছিলেন শিক্ষার্থীরাও।

পুরোপুরি বাতিল নয়, কোটাব্যবস্থার যৌক্তিক সংস্কার দাবি করছেন আন্দোলনকারীরা। ছবি: সারাবাংলা

আবেদন দুটির শুনানি নিয়ে বুধবার আপিল বিভাগ হাইকোর্টের রায়ে চার সপ্তাহের জন্য স্থিতাবস্থার আদেশ দিয়েছেন। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে আপিল বিভাগ বলেছেন, আগামী ৭ আগস্ট এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি নেবেন। আপিল বিভাগের এ আদেশের ফলে চার সপ্তাহের জন্য হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা থাকবে না, তথা ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল থাকবে।

আদালতের রায়ের প্রসঙ্গ টেনে সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা এখনো পূর্ণাঙ্গ রায়টি পাইনি। পূর্ণাঙ্গ রায়ে ২০১৮ সালের পরিপত্রটি বহাল বা অবৈধ হতে পারে। আমরা এর ওপর ভরসা করে থাকতে পারি না।’

আদালতের রায়ে ২০১৮ সালের পরিপত্র বহাল হলে আন্দোলন থামিয়ে দেওয়া হবে কি না— এমন প্রশ্নও রয়েছে। এ প্রসঙ্গে সারজিস আলম বলেন, ‘আপনারা দেখবেন, ২০১৮ সালের পরিপত্রে কোনো কোটার কথাই উল্লেখ নেই। সেক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধী কিংবা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কিংবা এমন কেউ যদি সংক্ষুব্ধ হয়ে পুনরায় রিট করেন, সেক্ষেত্রে আবারও সমস্যা তৈরি হতে পারে, ঠিক যেমনটি এখন হয়েছে। আমরা চাই, এই পরিপত্র পরিপত্র খেলার মাধ্যমে কয়েক বছর পরপর শিক্ষার্থীদের রাস্তায় নামিয়ে আনার ব্যাপারটির স্থায়ী সমাধান হোক।’

বিজ্ঞাপন

কোটাবিরোধীদের আন্দোলনে গত কয়েকদিনের মতো বুধবারও স্থবির হয়ে পড়ে ঢাকা। রাজধানীর সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছিলেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: সারাবাংলা

কোটা আন্দোলনের এই সমন্বয়ক আরও বলেন, ‘আমরা শঙ্কিত। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সংসদে দাঁড়িয়ে ঘোষণা দেওয়ার পর যে পরিপত্র জারি হয়েছিল সেটিও যদি ছয় বছর অবৈধ ঘোষণা হয়, তাহলে আমরা আর কোথায় আস্থা রাখব! তাই আমরা স্থায়ী সমাধান চাই।’

এ দিন আন্দোলনের মূল মঞ্চ থেকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ফের বাংলা ব্লকেড কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। আন্দোলনের আরেক সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে ব্লকেড কর্মসূচি শুরু হবে। সারা দেশের সব গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে এই কর্মসূচি চলবে।’

শিক্ষার্থীদের অনড় অবস্থানে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল জিপিও-জিরো পয়েন্ট এলাকাও। ছবি: সারাবাংলা

এর আগে বুধবার সকাল থেকেই বাংলা ব্লকেড কর্মসূচির অধীনে ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক দখলে নিতে থাকেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। শাহবাগ চত্বর, সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়, নিউমার্কেট, চানখাঁরপুল, জিপিও-জিরো পয়েন্ট, আগারগাঁও, তেজগাঁও, মহাখালী, ফার্মগেটসহ গুরুত্বপূর্ণ সব সড়ক অবরোধ করেন তারা। এতে ঢাকার বেশির ভাগ সড়কই স্থবির হয়ে পড়ে। ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়তে হয় রাজধানীবাসীকে।

এ দিন প্রথমবারের মতো অবরোধ করা হয় রেলপথও। ফলে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে সারা দেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। কেবল ঢাকা নয়, সারা দেশেই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকায় সড়ক-মহাসড়ক ও রেলপথ অবরুদ্ধ হয়ে থাকে দিনভর।

যে কারণে আন্দোলন

২০১৮ সাল পর্যন্ত সরকারি চাকরিতে মোট ৫৬ শতাংশ কোটা প্রচলিত ছিল। এর মধ্যে ৩০ শতাংশ ছিল বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তান-নাতি-নাতনি কোটা, ১০ শতাংশ নারী কোটা, ১০ শতাংশ জেলা কোটা, ৫ শতাংশ ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী কোটা ও ১ শতাংশ প্রতিবন্ধী কোটা। এই কোটা পদ্ধতি সংস্কার করে সব ধরনের কোটা ১০ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনার দাবিতে ওই বছর আন্দোলন শুরু করেন শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা।

‘ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদে’র ব্যানারে ওই আন্দোলন সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনের মুখে ওই বছরের ৪ অক্টোবর পরিপত্র জারি করে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে (নবম থেকে ১৩তম গ্রেড) সব ধরনের কোটা বাতিল করে সরকার। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি-১ শাখা থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ৯ম গ্রেড (আগের প্রথম শ্রেণি) ও ১০ম থেকে ১৩তম গ্রেড (আগের দ্বিতীয় শ্রেণি) পদে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে মেধা তালিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দিতে হবে। ওই পদগুলোতে সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি বাতিল করা হলো।

শিক্ষার্থীদের অবরোধে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে। ছবি: সারাবাংলা

ওই পরিপত্র চ্যালেঞ্জ করে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের পক্ষ থেকে ২০২১ সালের জুন মাসে হাইকোর্টে রিট করা হয়। রিটের শুনানি নিয়ে ২০২১ সালের ৬ ডিসেম্বর বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করেন। ৯ম থেকে ১৩ম গ্রেড পর্যন্ত মুক্তিযোদ্ধা কোটা সংরক্ষণের সিদ্ধান্ত বাতিল করে জারি করা পরিপত্র কেন আইনি কর্তৃত্ব বহির্ভূত ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা রুলে জানতে চান আদালত। গত ৫ জুন ওই রিটেরই রায়ে পরিপত্রের বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কোটা বাতিলের অংশটি হাইকোর্ট অবৈধ ঘোষণা করেন।

এরপরই শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রত্যাশীরা আবার ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে’র ব্যানারে নতুন করে কোটাবিরোধী আন্দোলন শুরু করেন। এর অংশ হিসেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের প্রায় সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েই শিক্ষার্থীরা জুলাইয়ের প্রথম দিন থেকে সড়কে রয়েছেন।

সর্বশেষ কী ঘটল আদালতে

হাইকোর্ট থেকে সরকারের ২০১৮ সালের পরিপত্রের একাংশ বাতিল করে যে রায় তার বিরুদ্ধে আপিল করেছিল রাষ্ট্রপক্ষ। গত রোববার (৪ জুলাই) সেই আপিলের শুনানি হওয়ার কথা ছিল আপিল বিভাগে। তবে সেদিন আদালত আদালত শুনানি নেননি। পরে শুনানি নেওয়ার কথা জানান। তবে আপিল বিভাগ শুনানি না নেওয়ায় হাইকোর্টের রায়ই বহাল থাকে। ফলে শিক্ষার্থীরাও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।

এর মধ্যে আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকেও কোটা বাতিলের বিষয়ে আবেদন করা হয় আদালতে। আজ বুধবার (১০ জুলাই) আপিল বিভাগ রাষ্ট্রপক্ষের আপিল ও শিক্ষার্থীদের আপিলের শুনানি একসঙ্গে নিয়ে হাইকোর্টের রায়ে স্থিতাবস্থা জারি করেন চার সপ্তাহের জন্য। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের আপিল বেঞ্চ এ বিষয়ে আগামী ৭ আগস্ট শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করে দেন।

সড়কের পাশাপাশি বুধবার সারা দেশে রেলপথও অবরোধ করা হয়। ছবি: সারাবাংলা

আপিল বিভাগের দেওয়া এই স্থিতাবস্থার ফলে আগামী চার সপ্তাহ পর্যন্ত হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত থাকবে বলে জানিয়েছেন রিটকারীর পক্ষের আইনজীবী মনসুরুল হক চৌধুরী ও শিক্ষার্থীদের পক্ষের আইনজীবী শাহ মঞ্জুরুল হক। তারা বলছেন, এর ফলে আপাতত সরকারি চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা অনুসরণ করতে হবে না।

এ আদেশের পর আপিল বিভাগ শিক্ষার্থীদের প্রতি নিজ নিজ শ্রেণিকক্ষে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানদের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন, তারা যেন শিক্ষার্থীদের শ্রেণিক্ষে ফিরিয়ে নিতে উদ্যোগ নেন। তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, কোটাব্যবস্থার স্থায়ী সংস্কার না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না। তারা এ বিষয়ে নির্বাহী বিভাগের আদেশ এবং এই মুহূর্তে আদেশ না হলেও অন্তত প্রতিশ্রুতি দাবি করে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন।

জুলাইয়ে যা ঘটল আন্দোলনে

কোটাবিরোধী আন্দোলনে ১ জুলাই থেকে বিকেলে দুই-আড়াই ঘণ্টার জন্য শাহবাগ অবরোধ শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ঢাকায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, তিতুমীর কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও বিক্ষোভ, সমাবেশ, মিছিলের মাধ্যমে আন্দোলন করছিলেন। দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়েও ছড়িয়ে পড়ে আন্দোলন।

চতুর্থ দিনে গিয়ে আন্দোলন তীব্রতা পায়। এ দিন সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শাহবাগ চত্বর অবরোধ করে রাখেন আন্দোলনকারীরা। পরের দুই দিন শুক্র-শনিবার জনসংযোগের পর রোববার (৭ জুলাই) ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনসহ ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি ঘোষণা দেন তারা। সে দিন দুপুরের পর থেকে শাহবাগ, সায়েন্স ল্যাবরেটরি, নিউমার্কেটসহ রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সব সড়ক অবরোধ করেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। তাদের কর্মসূচিতে সন্ধ্যা পর্যন্ত কার্যত অচল হয়ে পড়ে ঢাকা শহর।

সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায় মেট্রোরেলের ওপর ব্যাপক চাপ পড়েছে বুধবার দিনভর। ছবি: সারাবাংলা

বাংলা ব্লকেড কর্মসূচির আওতায় ঢাকার বাইরেও সব সড়ক-মহাসড়কে অবস্থান নিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। পরদিন সোমবারও (৮ জুলাই) একই কর্মসূচি অব্যাহত ছিল। সেদিনও দুপুরের পর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকা স্থবির হয়ে পড়ে। ঢাকার বাইরেও বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন সড়ক-মহাসড়কগুলোতে যান চলাচল বন্ধ থাকে কয়েক ঘণ্টা। পরে মঙ্গলবার বিরতি দিয়ে আজ বুধবার সকাল থেকেই বাংলা ব্লকেড কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। আজ সকাল ১১টার পর থেকেই তারা নিজ নিজ বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ করেন।

আরও পড়ুন-

সারাবাংলা/আরআইআর/টিআর

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন