বিজ্ঞাপন

দুদকের মামলায় লা-মেরিডিয়ানের মালিক কারাগারে

July 10, 2024 | 11:09 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় হোটেল লা-মেরিডিয়ানের মালিক আমিন আহমেদকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১০ জুলাই) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামস জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।

এদিন আইনজীবীর মাধ্যমে আদালতে আত্মসমর্পণ করেন আমিন। এরপর তার আইনজীবী এহসানুল হক জামিন চেয়ে চেয়ে আবেদন করেন। অন্যদিকে দুদকের আইনজীবী জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

এর আগে, ২০২৩ সালের ৩ অক্টোবর দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক নুরুল হুদা বাদী হয়ে এ মামলা করেন। মামলার পর গত ৫ জুন দুদকের সহকারী পরিচালক নেয়ামুল হাসান গাজী আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

বিজ্ঞাপন

চার্জশিটভুক্ত অন্য আসামিরা হলেন- বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু, তার স্ত্রী শিরিন আক্তার, তার ভাই শেখ শাহরিয়ার পান্না, বাচ্চুর ছেলে শেখ রাফা হাই ও শেখ ছাবিদ হাই অনিক।

আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তারা মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। আগামী ১৫ জুলাই অভিযোগপত্রের গ্রহণযোগ্যতা বিষয়ে শুনানির জন্য আদালতে উপস্থাপন করা হবে।

মামলার অভিযোগপত্রে বলা হয়, ‘২০১২ সালের ৮ আগস্ট বেস্ট হোল্ডিংস গ্রুপের চেয়ারম্যান আমিন আহমেদের সঙ্গে গুলশান সাবরেজিস্ট্রি অফিসের অধীন ক্যান্টনমেন্ট বাজার এলাকার লালসরাইস্থিত মৌজার ৬ নম্বর প্লটের ৩০ দশমিক ২৫ কাঠা জমি ক্রয়ের জন্য সমঝোতা চুক্তিপত্র সম্পাদন করেন বাচ্চু। চুক্তি অনুযায়ী মূল্য ধরা হয় ১১০ কোটি টাকা। পরে চুক্তিপত্র অনুযায়ী ২০১২ সালের ১৬ অক্টোবর দুটি দলিল মোতাবেক ভূমির দলিল রেজিস্ট্রি করা হয়। যার মধ্যে ৮০৮৮৫ নম্বর দলিলে ১৮ কাঠা জমি রেজিস্ট্রি হয়। যার মূল্য ধরা হয় ৯ কোটি টাকা। এই দলিলের গ্রহীতারা হলেন শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু, তার ভাই শেখ শাহরিয়ার পান্না ও স্ত্রী মিসেস শিরিন আক্তার।’

বিজ্ঞাপন

অন্যদিকে ৮০৮৮৬ নম্বর দলিলে ১২ দশমিক ২৫ কাঠা জমি রেজিস্ট্রি করা হয়। যার মূল্য ধরা হয় ৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এই দলিলের গ্রহীতা আব্দুল হাই বাচ্চুর দুই ছেলে শেখ ছাবিদ হাই অনিক ও শেখ রাফা হাই। তাই দুটি দলিলে জমির মোট রেজিস্ট্রেশন মূল্য দাঁড়ায় ১৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা।

অথচ জমি কেনা বাবদ আসামি শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু ১৩৪টি পে-অর্ডারের মাধ্যমে সর্বমোট ৭৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা এবং নগদে ৩১ কোটি ৫০ লাখ, অর্থাৎ মোট ১১০ কোটি টাকা আসামি আমিন আহমেদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের অনুকূলে পরিশোধ করেন। যা আসামি আমিন আহমেদ বুঝে পেয়েছেন মর্মে স্বীকার করেন।

আসামি শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু তার স্ত্রী, ভাই ও সন্তানদের নামে ৯৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকা হস্তান্তার, স্থানান্তর, রূপান্তর, ছদ্মাবরণের মাধ্যমে অপরাধলব্ধ অর্থ গোপন করেছেন। আর ১১০ কোটি টাকায় কেনার করার পরও ১৫ কোটি ২৫ লাখ টাকায় দলিল করে আসামি শেখ আব্দুল হাই বাচ্চু সরকারের ৮ কোটি ৫২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা রাজস্ব ফাঁকি দিয়েছেন। আসামি আমিন আহমেদ আসামি শেখ আব্দুল হাই বাচ্চুর অবৈধ অর্থ বৈধতা দিতে সরাসরি সহায়তা করেছেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/কেআইএফ/পিটিএম

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন