বিজ্ঞাপন

ডাচদের হারিয়ে ইউরোতে টানা ২য় ফাইনালে ইংল্যান্ড

July 11, 2024 | 3:04 am

স্পোর্টস ডেস্ক

২০২৪ জার্মান ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে নেদারল্যান্ডসকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কেটেছে ইংল্যান্ড। এই নিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো ইউরোর ফাইনালে ইংলিশরা। এর আগে ২০২১ সালের ইউরোর ফাইনালে ওয়েম্বলিতে খেলেছিল ইংল্যান্ড। যদিও সেবার টাইব্রেকারে ইতালির কাছে শিরোপা স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল থ্রি লায়ন্সদের।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১০ জুলাই) জার্মানির ডর্টমুন্ডে সিগন্যাল ইদুনা পার্কে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মাঠে নামে ইংল্যান্ড। ম্যাচের শুরুতেই গোল হজম করে পিছিয়ে পড়ে ইংলিশরা। তবে অধিনায়ক হ্যারি কেইন পেনাল্টি স্পট থেকে দলকে সমতায় ফেরান। আর নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষে যোগ করা অতিরিক্ত সময়ের প্রথম মিনিটে গোল করে ইংলিশদের জয় এনে দেন ওলি ওয়াটকিন্স।

তাতেই ২-১ গোলের ব্যবধানের জয় নিয়ে ফাইনালের টিকিট কাটে ইংল্যান্ড।

ইউরোর প্রথম সেমিফাইনালে ফ্রান্সকে ২-১ গোলে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট কাটে স্পেন। বার্লিনে আগামী রোববার হবে ফাইনাল।

বিজ্ঞাপন

আর দ্বিতীয় সেমিফাইনালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে শুরুতেই পিছিয়ে পড়ে ইংল্যান্ড। ডেকলান রাইসের থেকে বল কেড়ে নিয়ে, কিছুটা এগিয়ে বক্সের বাইরে থেকে শট নেন তিনি। বুলেট গতির ওই শট ঠেকানোর কোনো সুযোগই পাননি গোলরক্ষক। আন্তর্জাতিক ফুটবলে ২১ বছর বয়সী সিমন্সের এটা দ্বিতীয় গোল।

গোল হজমের পরেই সমতায় ফেরার পথ খুলে যায় ইংল্যান্ডের। কেইন শট নিতে যাচ্ছে দেখে পা বাড়িয়ে দেন ডেনজেল ডামফ্রিস, শট নেওয়ার পরমুহূর্তে তার পায়ে লেগে প্রচণ্ড ব্যথা পান ইংলিশ অধিনায়ক। ভিএআর মনিটরে দেখে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। ডাচ ডিফেন্ডারকে দেখান হলুদ কার্ডও। পেনাল্টির সিদ্ধান্তটি নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে, তবে কেইন কোনো ভুল করেননি সুযোগ কাজে লাগাতে। নিখুঁত স্পট কিকে সমতা টানেন তিনি। চলতি আসরে এই নিয়ে তিনটি গোল করলেন কেইন।

টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্ব থেকে শুরু করে শেষ ষোলো কিংবা কোয়ার্টারের কোথাওই নিজেদের খেলা দিয়ে সমর্থকদের মন জয় করতে পারেনি ইংল্যান্ড। তবে এদিন শুরু থেকেই ছন্দের ঝলক দেখা যায়। গোল পেয়ে তারা যেন আরও উজ্জীবিত হয়ে ওঠে। ২৩তম মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো দলটি; বক্সে প্রতিপক্ষের বাধা এড়িয়ে গোলমুখে এগিয়ে গোলরক্ষকের পায়ের ফাঁক দিয়ে শট নেন ফিল ফোডেন, একবারে গোললাইন থেকে আটকান ডামফ্রিস।

বিজ্ঞাপন

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই দুই দল কিছুটা ধীরে খেলতে থাকে। প্রথমার্ধে গোলের জন্য মাত্র তিন শটের একটি লক্ষ্যে রাখতে পারা নেদারল্যান্ডস ৬৪তম মিনিটে দ্বিতীয়বার গোলরক্ষকের পরীক্ষা নিতে পারে। এবার অবশ্য পরাস্ত হননি জর্ডান পিকফোর্ড; ভার্জিল ভ্যান ডাইকের হাফ ভলি ঝাঁপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক।

বিরতির পর অবশ্য তেমন কোনো আক্রমণ শাণাতেই পারছিল না দুই দলের কেউই। তবে ৭৯তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণে জালে বল পাঠান বুকায়ো সাকা, কিন্তু অফসাইডের বাঁশি বাজে। এর পরপরই খেলায় গতি ফেরাতে একসঙ্গে কেইন ও ফোডেনকে তুলে নেন ইংল্যান্ড কোচ, বদলি নামেন দুই ফরোয়ার্ড পালমার ও ওয়াটকিন্স।

শেষ দিকে বদলি হিসেবে এসে ওয়াটকিন্স গোল করে ইংলিশদের জয় এনে দেন। ডান দিক থেকে পালমারের পাস বক্সে ধরে, শরীর ঘুরিয়ে সঙ্গে লেগে থাকা ডিফেন্ডারের বাধা এড়িয়ে কোনাকুনি শট নেন ওয়াটকিন্স। গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে দূরের পোস্ট দিয়ে বল খুঁজে নেয় ঠিকানা। বেঞ্চ থেকে মাঠে নেমে, ১০ মিনিটের একটু বেশি সময় খেলেই ম্যাচ সেরা হয়ে যান ওয়াটকিন্স।

দুই মিনিট যোগ করা সময় শেষে, ম্যাচ শেষের বাঁশি বাজতেই উল্লাসে ফেটে পড়ে সাউথগেটের দল। প্রথমবারের মতো বিদেশের মাটিতে কোনো মেজর টুর্নামেন্টের (বিশ্বকাপ ও ইউরো) ফাইনালে উঠল ইংল্যান্ড।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এসএস

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন