July 11, 2024 | 12:36 pm
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা না করে রাজধানীর বংশালের মিরনজিল্লা হরিজন কলোনিতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা না করতে হাইকোর্টের দেওয়া স্থিতাবস্থা বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে দুই মাসের মধ্যে এ সংক্রান্ত রুল হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট বেঞ্চকে নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে।
হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
আদালতে হরিজনদের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারাহ হোসেন। এ ছাড়া ছিলেন অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, ব্যারিস্টার অনিক আর হক, আইনজীবী আইনুন নাহার সিদ্দিকা, মনজ কান্তি ভৌমিক ও উৎপল বিশ্বাস। আর দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মুরাদ রেজা।
এর আগে, গত ১৩ জুন বংশালের মিরনজিল্লা হরিজন কলোনিতে উচ্ছেদ অভিযানের ওপর এক মাসের জন্য স্থিতাবস্থা জারি করেন হাইকোর্ট। পাশাপাশি বসবাসের বিকল্প ব্যবস্থা না করে হরিজনদের উচ্ছেদ না করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন (ডিএসসিসি) কর্তৃপক্ষকে এই আদেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়।
হরিজন কলোনিতে উচ্ছেদ অভিযানের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে করা রিটের শুনানি শেষে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে হরিজনদের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন রিটকারী তিন আইনজীবী আইনুন নাহার সিদ্দিকা, মনজ কান্তি ভৌমিক ও আইনজীবী উৎপল বিশ্বাস।
রুলে বিকল্প আবাসনের ব্যবস্থা না করে উচ্ছেদ অভিযান কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। চার সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
এরপর হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে সিটি কর্পোরেশন। পরে চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশের বিষয়ে ‘নো অর্ডার’ দেন।
এর আগে, রাজধানীর আগা সাদেক লেনের মিরনজিল্লা হরিজন সিটি কলোনি উচ্ছেদের জন্য নোটিশ দেয় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন।
এটা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবী।
আইনজীবীরা জানান, ব্রিটিশ আমলে ভারতের তেলেগু এলাকা থেকে আসা এই হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজন শত বছরের বেশি সময় ধরে এই কলোনিতে বসবাস করে আসছেন।
মিরনজিল্লার সুইপার কলোনিতে বর্তমানে প্রায় চার হাজার লোক বাস করেন। এই কলোনির একটি অংশর আধুনিক কাঁচাবাজার নির্মাণ করতে চায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এ জন্য সেখানে থাকা স্থাপনা উচ্ছেদে গিয়েছিলেন সংস্থাটির কর্মকর্তারা। তারা হরিজন সম্প্রদায়ের তীব্র আপত্তি ও বাধার মুখে পড়েন। পরে তারা একটি দেয়াল ও কয়েকটি স্থাপনা ভেঙে চলে যান।
সিটি করপোরেশনের এই উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে সেখানে বিক্ষোভ করে হরিজন সম্প্রদায়ের লোকজন।
সারাবাংলা/কেআইএফ/আইই