বিজ্ঞাপন

‘অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হলে পুলিশ বসে থাকবে না’

July 11, 2024 | 4:43 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, কোটা ইস্যুতে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন অব্যাহত রেখে সীমা লঙ্ঘন করেছে। কোটাবিরোধী আন্দোলন ঘিরে অগ্নিসংযোগ, জানমালের অনিশ্চয়তা ও অনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি হলে পুলিশ বসে থাকবে না।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরের বার্ষিক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

আবেদন-নিবেদন ও আদালতের আদেশের পরও ছাত্ররা ফিরে না গেলে তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে কিনা; জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রথম কথা হলো, তারা শিক্ষিত ছেলে, তারা মেধাবী, তারা কেন রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যাবে? নিশ্চয়ই সবকিছু পর্যবেক্ষণ করে তারা ফিরে যাবেন। পুলিশের পদক্ষেপ কখন আসে, প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, ‘যখন অপারগ হয়ে যায়, অগ্নিসংযোগ করতে যায়, যখন ধ্বংস করতে যায়, যখন জানমালের নিশ্চয়তার অভাব হয়ে যায়, যখন অনৈতিকভাবে কোনো পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায়, তেমন কিছু হলে পুলিশ বসে থাকবে না।’

কোটাবিরোধীরা সরকারের নির্বাহী আদেশের অপেক্ষায় আছেন। তারা আজও রাস্তায় অবস্থান নিচ্ছেন। এতে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৮ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা বিলুপ্ত করার ঘোষণা দেন। দেশের বিচারবিভাগ সম্পূর্ণ স্বাধীন। আদালত থেকে যে নির্দেশনা এসেছিল—ছাত্ররা মনে করেছেন—তাদের যে চিন্তাভাবনা, সেটা থেকে তাদের দূরে সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, সে কারণে তারা রাস্তায় চলে এসেছেন।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি, এরা আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম, তারা খুবই মেধাবী, এদের চাহিদা আমরা শুনবো। কিন্তু শোনারও একটা সীমা বোধহয় থাকে, তারা বোধহয় সেটা অতিক্রম করে যাচ্ছেন। আজ বেশ কয়েকদিন হলো, তারা একই কাজ করছেন। এরইমধ্যে দেখেছেন, প্রধান বিচারপতি একটা নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি স্পষ্টভাবে বলেছেন যে নির্দেশ হাইকোর্ট দিয়েছেন, সেটা স্থগিত।’
পরবর্তীতে যে মামলা চলছে, সেই মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত এটা স্থগিত থাকবে। কাজেই হাইকোর্ট যে নির্দেশনা দিয়েছিল, সেটা অচল, সেটা এখন নেই।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এক্ষেত্রে আমার মনে হয়, ছাত্রদের এগুলো বোঝা উচিত যে রায় যখন নেই, তখন আন্দোলন করছেন কেন? আমার মনে হয়, আদালত যে নির্দেশনা দিয়েছেন, সেটা খুবই পরিষ্কার। ছাত্রদেরও অনুরোধ করা হয়েছে, তাদের যদি কিছু বলার থাকে, তাহলে আদালত তাদের কথা শুনবেন। তারা যেন আদালতে আসেন। রাস্তায় থেকে ছাত্রদের কষ্ট করার কোনো প্রয়োজন নেই।

তিনি বলেন, ‘তারা যেটা চেয়েছিলেন, সেই দিকেই যখন যাচ্ছে, তখন রাস্তায় থেকে তাদের কষ্ট করার দরকার নেই। আর আদালত সব ধরনের সুযোগ তাদের জন্য রেখেছেন। তাদের কথা শুনতে চাচ্ছে আদালত। রাস্তায় অবস্থান করার কোনো প্রয়োজন আছে বলে আমার মনে হয় না।’

বিজ্ঞাপন

ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) হার্ডলাইনে যাবে বলে ঘোষণা দিয়েছে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরামন্ত্রী বলেন, ‘গতকাল আপনারা যারা যাতায়াত করেছেন, তাদের কী রকম কষ্ট পেতে হয়েছে। আমি অনুরোধ করছি, কোমলমতি ছাত্ররা, যাদের নিয়ে আমরা গর্ব করি, তারা যেন এখানে কষ্ট না করে আদালতে গিয়ে নিজেদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন।’

পৃথিবীর অনেক দেশে এই ধরনের কোটা রয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী আরও বলেন, ‘অনগ্রসর কোনো জায়গাকে লক্ষ্য রেখে এই ধরনের কোটা ব্যবস্থা তৈরি করা হয়েছে।’

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এই ধরনের আন্দোলন হলে ঘোলা পানি তৈরির লোকের অভাব হয় না। আমরা যে তথ্য পাচ্ছি, অনেকেই তাদের ব্যবহার করার জন্য কাজ শুরু করে দিয়েছে, দৌড়ঝাঁপ শুরু হয়েছে। আমি মনে করি, আমাদের ছাত্রসমাজ তাদের কুমন্ত্রণা কানে নেবেন না। যেহেতু এটা মীমাংসার পথে চলে গেছে, তারা ব্লোকেড প্রত্যাহার করে ফিরে যাবেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআর/এনইউ

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন