বিজ্ঞাপন

ইউক্রেন নিয়ে ন্যাটোর অভিযোগ প্রত্যাখ্যান চীনের

July 11, 2024 | 11:34 pm

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে চলমান যুদ্ধে চীনকে অন্যতম নিয়ামক হিসেবে অভিহিত করেছিল ন্যাটো। তবে চীন পশ্চিমাদের সামরিক এই জোটের এমন বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে।

বিজ্ঞাপন

বেইজিং উলটো অভিযোগ করেছে, ন্যাটো নিজেই অন্যদের ক্ষতি করে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চায়। এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ন্যাটো যেন এমন ‘বিশৃঙ্খলা’ না আনে, সে বিষয়েও সতর্ক করে দিয়েছে।

চীনকে নিয়ে ন্যাটোর ওই বক্তব্যের পরদিন বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান এ বিষয়ে কথা বলেন। এপি ও বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, চীনের এমন বক্তব্য জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া ও ফিলিপাইনের মতো এশীয় দেশগুলোর মধ্যে সম্পর্ক জোরদারের বিরোধিতা করার দৃঢ় সংকল্পের প্রতিফলন।

নিয়মিত ব্রিফিংয়ে চীনের মুখপাত্র লিন জিয়ান বলেন, ইউক্রেন ইস্যুতে চীনের ওপর ন্যাটোর দায় চাপানো একেবারেই অযৌক্তিক। এর পেছনে অশুভ উদ্দেশ্য রয়েছে। ইউক্রেন ইস্যুতে চীনের অবস্থান বরাবরই সুষ্ঠু ও বস্তুনিষ্ঠ।

বিজ্ঞাপন

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ দেশটির ইউরোপীয় মিত্রদের সঙ্গে কখনোই একমত হয়নি চীন। এই যুদ্ধকে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসান হিসেবেও কখনো উল্লেখ করতে সম্মত হয়নি। ন্যাটো মনে করছে, রাশিয়ার সঙ্গে মিত্রতার সম্পর্কের কারণেই চীনের অবস্থান এত নমনীয়।

ওয়াশিংটনে এক শীর্ষ সম্মেলনে দেওয়া বিবৃতিতে ন্যাটো বলেছে, রাশিয়ার সঙ্গে ‘সীমাহীন অংশীদারিত্ব’ ও রাশিয়ার প্রতিরক্ষা শিল্পের জন্য ব্যাপক সমর্থনের মাধ্যমে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে চীন অন্যতম সহায়ক শক্তি হয়ে উঠেছে।

ন্যাটের এমন বক্তব্যের বিপরীতে লিন জিয়ান বলেন, রাশিয়ার সঙ্গে চীনের বাণিজ্যিক সম্পর্ক রয়েছে। এ সম্পর্ক সম্পূর্ণ রূপে বৈধ ও যৌক্তিক এবং তা বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সব নিয়ম মেনেই পরিচালিত হয়। ফলে এই সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ নেই। বরং ন্যাটোই নিজেদের নিরাপত্তার জন্য অন্যদের নিরাপত্তার ক্ষতি করে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোর সঙ্গে ন্যাটোর ক্রমবর্ধমান সম্পর্ক নিয়েও উদ্বেগ জানিয়েছে চীন। অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া এ সপ্তাহে ন্যাটো শীর্ষ সম্মেলনে তাদের প্রতিনিধি পাঠিয়েছে।

এ বিষয়ে ইঙ্গিত করে চীনের মুখপাত্র বলেন, চীন ন্যাটের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছে, ন্যাটো যেন চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক না গলায় এবং চীনের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন না করে। একই সঙ্গে ইউরোপে গোলমাল তৈরির পর এশিয়ায় এসে যেন ন্যাটো আবার বিশৃঙ্খলা না করে।

সারাবাংলা/টিআর

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন