বিজ্ঞাপন

দাম বেড়েছে পেঁয়াজ-কাঁচা মরিচের, সবজির বাজারও ঊর্ধ্বমুখী

July 12, 2024 | 5:15 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: সপ্তাহের ব্যবধানে রাজধানীর বাজারে কাঁচা মরিচ ও পেঁয়াজের দাম আরও বেড়েছে। গত সপ্তাহে কাঁচা মরিচ ২৮০-৩০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও সপ্তাহ শেষে শুক্রবার (১২ জুলাই) তা বেড়ে ৩২০-৩৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। আর পেঁয়াজের দামও কেজিপ্রতি ২০ টাকা বেড়ে ১২০-১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

এ ছাড়া করলা, টমেটো, কাঁকরোল, বরবটি, শসা, বেগুনসহ আরও কয়েকটি সবজির দাম কেজিপ্রতি ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। অন্যদিকে ডিম, ব্রয়লার মুরগি ও মাংসের দাম‌‌‌ গত সপ্তাহের মতোই উচ্চ মূল্যে স্থিতিশীল।

রাজধানীর আগারগাঁও, শ্যামলী ও মোহাম্মদপুর কৃষি বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার পশ্চিম আগারগাঁওয়ে সবজি কিনতে আসা হালিম মিয়া নামের এক পরিবহন শ্রমিকের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, কাঁচা মরিচ, পেঁয়াজের দাম গত সপ্তাহের চেয়ে গত সপ্তাহের চেয়ে কেজি প্রতি ২০ টাকা বেশি দামে চাচ্ছে দোকানিরা। বাধ্য হয়ে আমাদের কিনতে হচ্ছে। দাম বেশি কেন জিজ্ঞেস করলে দোকানিরা বলেন, আমাদের বেশি দামে কিনতে হয়েছে, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

এদিন শ্যামলীর সবজি বিক্রেতা আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার সারাবাংলাকে বলেন, এ সপ্তাহে কাঁচামরিচ, করলা, বরবটি, শসা, বেগুনসহ প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। মূলত বৃষ্টির কারণে উৎপাদন ও সরবরাহ দুটোই বিঘ্নিত হওয়ায় বাজারে সবজির দাম বেড়েছে।

এদিন মোহাম্মদপুর কৃষি বাজারে সবজি কিনতে আসা চন্দন কুমার নামে বেসরকারি এক চাকরিজীবীর সঙ্গে কথা হয়। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, গত সপ্তাহে করলা কিনেছি ১২০ টাকা কেজি। আর আজ তা হয়ে গেছে ১৬০ টাকা। কাঁচা মরিচ পেঁয়াজ, আদার দামও বেড়েছে। লাফিয়ে লাফিয়ে শাক সবজির দাম বাড়ছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, আমাদের যারা সীমিত আয়ে চলতে হয়। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে আমাদের খাদ্য তালিকাও কাটছাঁট করতে হয়। এতে আমাদের শুধু কষ্টই বাড়ে বলে আক্ষেপ করেন তিনি।

এদিন মোহাম্মদপুর কৃষি বাজারের সবজি বিক্রেতা শফিকুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, গত কিছুদিন ধরে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাতের কারণে কাঁচা মরিচের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এর প্রভাব বাজারেও পড়তে শুরু করেছে। ফলে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে অন্যান্য সবজিরও ক্ষতি হয়েছে। যে কারণে এখন বেশিরভাগ সবজির দাম ঊর্ধ্বমুখী।

এদিন টমেটো ২০০-২২০ টাকা, করলা ১৬০-উস্তা ১৪০-১৫০, টাকা, গোল বেগুন ১২০, লম্বা বেগুন ১০০ টাকা, কাঁকরোল ১০০, শসা ১০০ টাকা, কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। ঝিঙ্গা ৮০-৯০, চিচিঙ্গা ৭০-৮০, ধুন্দল ৬০-৭০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০-৭০ টাকা, পটল ৬০-৭০ টাকা, মিস্টি কুমড়া ৫০ টাকা, পেঁপে ৫০-৬০ টাকা, আলু ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। লেবু (মাঝারি আকারের) ২০-৩০ টাকা হালি বিক্রি হতে দেখা যায়। জালি কুমড়া (প্রতি পিস) ৬০-৭০ টাকা, পাতি লাউ (প্রতি পিস) ৭০-৮০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতি আঁটি লাউশাক ৩০ টাকা ও পুঁইশাক ৪০ টাকা আঁটি দরে বিক্রি হতে দেখা যায়।

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার বাজারে গত সপ্তাহের চেয়ে কেজি প্রতি ২০ টাকা বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দাম। আজ দেশি পেঁয়াজ ১১০-১৩০ টাকা, রসুন ২৪০-২৫০ টাকা, আদা ৩২০-৩৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।

এদিন মোহাম্মদপুর কৃষি বাজারে এক কেজি বা তার চেয়ে বেশি ওজনের রুই মাছ ৩৫০-৪০০ টাকা কেজি, পাবদা ৪৫০-৫০০ টাকা কেজি, সিং ৪৫০-৫৫০ টাকা, গুলশা ৬৫০-৭০০ টাকা, চিংড়ি মাঝারি ৭০০-৭৫০ টাকা কেজি দরে হতে দেখা যায়।

বাজারে সীমিত আয়ের মানুষ সাধারণত তেলাপিয়া, পাঙাস, সিলভার কার্প ও চাষের কই মাছ বেশি কেনেন। মাঝারি আকারের এসব মাছও কেজিপ্রতি ২৫০ টাকার আশপাশে বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে ফার্মের লাল ডিম ১৫০ টাকা ডজন এবং ফার্মের মুরগির সাদা ডিম ১৪০-১৪৫ টাকা ডজন দরে বিক্রি হতে দেখা যায়। এদিন হাঁসের ডিম ৮০ টাকা হালি এবং কোয়েল পাখির ডিম ৫০ টাকা ডজন দরে বিক্রি হচ্ছে।

আজ ব্রয়লার মুরগির ১৯০-২০০ টাকা, সোনালিকা ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এদিন বাজারে গরুর মাংস গত সপ্তাহের মতোই কেজি প্রতি ৭৩০-৭৫০ টাকা এবং খাসি ১০৫০-১১০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

এ ছাড়া অন্যান্য শাক-সবজির দাম গত সপ্তাহের মতোই আছে। বাজার ঘুরে এমনটাই দেখা গেছে। তবে সব ধরনের শাক-সবজি ও মাছ-মাংসের দাম বাজারভেদে ২০-৩০ টাকা পর্যন্ত কমবেশি হতে পারে।

সারাবাংলা/কেআইএফ/এনইউ

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন