বিজ্ঞাপন

গাজায় ধ্বংসস্তূপ থেকে ৬০ লাশ উদ্ধার, কিছু মরদেহ খেয়েছে কুকুরে

July 13, 2024 | 10:21 am

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

ঢাকা: ফিলিস্তিনের গাজা শহরের তাল আল-হাওয়া এবং এর আশপাশের এলাকায় ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে অন্তত ৬০ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ফিলিস্তিনি উদ্ধারকর্মীদের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।

বিজ্ঞাপন

খবরে বলা হয়, তাল আল-হাওয়া এলাকা থেকে ইসরায়েল সেনা প্রত্যাহারের পর সেখানে বেঁচে যাওয়া লোকদের উদ্ধার করতে গাজার জরুরি পরিষেবার কর্মীরা এগিয়ে আসেন। সিভিল ডিফেন্সের দলগুলো ধ্বংসস্তূপের নিচে বহু লোকের মরদেহ খুঁজে পায়, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।

গতকাল শুক্রবার (১২ জুলাই) গাজার সিভেল ডিফেন্সের মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল জানান, কিছু মরদেহ কুকুর খেয়ে ফেলেছে। অন্তত ৬০টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কয়েকটি মরদেহ ওই এলাকায় কবর দেওয়া হয় এবং বাকিগুলো উদ্ধারের পর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মাহমুদ বাসাল আরও বলেন, অনেক মরদেহ এখনও ধ্বংসস্তূপের নিচে রয়েছে। ইসরায়েলি সেনারা কাছাকাছি অবস্থান করায় উদ্ধার প্রচেষ্টা ব্যাহত হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

গত সোমবার (৮ জুলাই) ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বেসামরিক নাগরিকদের সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এরপর তাল আল-হাওয়া এলাকায় অভিযান চালায় তারা।

গাজা শহরের শুজাইয়া এলাকা থেকে ইসরায়েলি বাহিনী সরে যাওয়ার পর সেখানেও বেশ কয়েকজনের মরদেহের সন্ধান মিলে। সিভিল ডিফেন্সের দলগুলো ধ্বংসস্তূপ থেকে বেশ কয়েকজনের মরদেহ উদ্ধার করে। শুজাইয়া এলাকাটি বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

বিজ্ঞাপন

যুদ্ধের আগে গাজার এক চতুর্থাংশেরও বেশি বাসিন্দার আবাসস্থল ছিল গাজা শহর। ২০২৩ সালের শেষের দিক থেকে ক্রমাগত হামলায় শহরটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।

গাজার স্বাধীনতাকামী ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে নৃশংসতার অভিযোগ তুলে আন্তর্জাতিক পরিসরে তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিতের আহ্বান জানিয়েছে। হামাস এক বিবৃতিতে জানায়, ইসরায়েল গাজা শহরে বর্বর নির্যাতন চালিয়েছে।

হামাসের পক্ষ থেকে বলা হয়, দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় গাজা শহরের তাল আল-হাওয়া থেকে সন্ত্রাসী দখলদার বাহিনীকে প্রত্যাহারের পর তাদের কয়েক দিনের আক্রমণ ও তীব্র বোমা হামলার নৃশংসতা প্রকাশ পেয়েছে, গণহত্যা ও জাতিগত নির্মূলের মতো যুদ্ধাপরাধ। হামাস জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েল জাতিগত নিধনে যে যুদ্ধ চালাচ্ছে, তার অবসান ঘটাতে অবিলম্বে পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানায়।

গাজা ও ইসরায়েলের চলমান এ সংঘাতে ৩৮ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৮৮ হাজারের বেশি লোক আহত হয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

তবে গাজা ও ইসরায়েলের চলমান এই সংঘাত বন্ধের দাবি উঠেছে বিশ্বমহলে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, গাজা উপত্যকার যুদ্ধ এখন অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত।

যুদ্ধবিরতি কার্যকরে মার্কিন প্রশাসন কাজ করছে বলেও জানান বাইডেন। তিনি বলেন, যুদ্ধ বন্ধের লিখিত পরিকল্পনায় সম্মতি দিয়েছে ইসরায়েল ও হামাস।

এখন চূড়ান্ত চুক্তিতে পৌঁছাতে চলছে তৎপরতা। ইসরায়েলকে সমর্থন করলেও যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার সমালোচনা করেছেন তিনি।

জো বাইডেন বলেন, কয়েক মাস ধরেই জিম্মিদের বাড়ি ফেরাতে আর মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় গাজায় যুদ্ধবিরতি নিশ্চিতে কাজ করে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। ছয় সপ্তাহ আগে যে লিখিত পরিকল্পনা দিয়েছিলাম সেটি জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ, জি-সেভেনেও অনুমোদিত হয়। চুক্তি বাস্তবায়নে আমি বদ্ধপরিকর। এই যুদ্ধ এখন অবশ্যই বন্ধ হওয়া উচিত।

সারাবাংলা/একে

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন