বিজ্ঞাপন

কোটা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় মামলা

July 13, 2024 | 1:57 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: যানবাহন ভাঙচুর, পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা এবং মারধরের অভিযোগে কোটা আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। রাজারবাগ পুলিশ লাইন্স এর পরিবহন শাখার চালক খলিলুর রহমান বাদী হয়ে শুক্রবার (১২ জুলাই) রাতে শাহবাগ থানায় মামলাটি করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা বহু সংখ্যককে আসামি করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

ডিমপির গণমাধ্যম শাখার অতিরিক্ত উপ কমিশনার কে এন রায় নিয়তি সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলায় ১৮৬০ সালের পেনাল কোড আইনের ১৪৩, ১৪৭, ১৪৯, ১৫২, ৩৪১, ৩২৩, ৩৩২, ৩৫৩, ৪২৭, ৫০৬ ধারা সংযুক্ত করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে বেআইনি জনতায় সংঘবদ্ধ হয়ে দাঙ্গা সৃষ্টি, সরকারি কর্তব্য কাজে বাধা দেওয়া, স্বেচ্ছায় আঘাতদান, গতিরোধ, দাঙ্গা দমনকারী কর্তব্যরতদের প্রতি আক্রমণ ও বাধা প্রদান ক্ষতিসাধন ও ভয়ভীতি প্রদানের অভিযোগ আনা হয়েছে।

মামলায় বাদী উল্লেখ করেছেন, তিনি এপিসি কার নিয়ে বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) শাহবাগ মোড়ে অবস্থান করছিলেন। এ সময় কোটা আন্দোলনকারী সংঘবদ্ধ হয়ে এপিসি কারের ক্ষতিসাধন করে। এতে ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এ ছাড়া পুলিশের ওপর ইটপাটকেল ছুড়ে তাদের সাধারণ জখম করা হয়। পাশাপাশি আন্দোলনকারীরা সরকারি কাজে বাধা দিয়েছেন। আন্দোলনকারীদের হামলায় অনেক পুলিশ সদস্য আঘাতপ্রাপ্ত হন।

মামলার বাদী আরও উল্লেখ করেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের ওপর হামলা এবং শাহবাগ থানায় ছাত্রদের ধরে নিয়ে গেছে বলে গুজব ছড়িয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করার চেষ্টা করে এবং পুলিশকে মারার জন্য তেড়ে আসে ও পুলিশকে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদান করে শাহবাগ মোড় ত্যাগ করে।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করছেন শিক্ষার্থীরা।

বিজ্ঞাপন

আন্দোলনের অংশ হিসেবে ‘বাংলা ব্লকেড’ চলাকালে গত বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। এদিন, কুমিল্লা ও ঢাকার আগারগাঁওয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি চলাকালে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।

সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণার সংক্ষিপ্ত রায় গত বৃহস্পতিবার প্রকাশ করেছেন হাইকোর্ট। সংক্ষিপ্ত রায়ে বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, নাতি-নাতনিদের জন্য কোটা পুনর্বহাল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। একই সঙ্গে জেলা, নারী, প্রতিবন্ধী ব্যক্তি, ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর জন্য কোটা বজায় রাখতে বলা হয়। সরকার প্রয়োজনে কোটার অনুপাত পরিবর্তন, হ্রাস বা বৃদ্ধি করতে পারবে। আর এই রায় সরকারের ওপর কোনো বাধা সৃষ্টি করবে না। কোনো পাবলিক পরীক্ষায় কোটা পূরণ না হলে সরকার সাধারণ মেধাতালিকা থেকে শূন্য পদ পূরণ করতে পারবে।

হাইকোর্টের রায়ের পরও আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। সংসদের জরুরি অধিবেশন ডেকে কোটা আইন পাসের দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইউজে/একে

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন