বিজ্ঞাপন

‘তিরস্কার’ শাস্তি মাফ পেলেন সাবেক ইউএনও রুহুল আমীন

July 15, 2024 | 9:14 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: পদবি গোপন করে নিজের ও স্ত্রীর নামে পুরস্কারের জন্য আবেদন করা হাটহাজারি উপজেলার সেই ইউএনও রুহুল আমীনের শাস্তি ‘তিরস্কার’ মাফ করেছে সরকার।

বিজ্ঞাপন

গত ১১ জুলাই রুহুল আমীনকে লঘুদণ্ড তিরস্কার দেওয়ার আদেশ বাতিল করে তাকে দায় থেকে মুক্তি দিয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে চট্টগ্রামের বাংলাদেশ চা বোর্ডের সচিব (সিনিয়র সহকারী সচিব)।

রুহুল আমীনকে ‘তিরস্কার’ শাস্তি দিয়ে গত ৩ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছিল।

সাবেক ইউএনও পদবি গোপন করে নিজের ও স্ত্রীর নামে পুরস্কারের জন্য আবেদন করেন রুহুল আমীন। পুরস্কার গ্রহণের সুযোগ না থাকায় পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ে ভুয়া তথ্য দিয়েছেন। মিথ্য তথ্য দিয়ে সংবাদও প্রকাশ করিয়েছেন। এসব প্রমাণিত হওয়ায় চট্টগ্রামের হাটহাজারীর সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রুহুল আমীনকে শাস্তি হিসেবে ‘তিরস্কার’ দেওয়া হয়। এখন সেই শাস্তিও মাফ করে দেওয়া হলো।

বিজ্ঞাপন

শাস্তি মওকুফের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ২০২২ সালে হাটহাজারীর ইউএনও থাকার সময় রুহুল আমীন নিজ পদবি গোপন করে নিজের ও স্ত্রীর নামে ‘বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার-২০২২’ এর জন্য আবেদন করেন। এ পুরস্কার প্রদানসংক্রান্ত উপজেলা কমিটির সভাপতি হিসেবে ওই আবেদন জেলা ও বিভাগীয় কমিটির কাছে সুপারিশ করেন।

এতে আরও বলা হয়, বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার প্রদানের নীতিমালা অনুযায়ী হাটহাজারী উপজেলা পরিষদকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় ‘গ’ শ্রেণিতে পুরস্কারের জন্য চূড়ান্তভাবে মনোনীত করার পরও তিনি হীন ব্যক্তিস্বার্থে পুরস্কারের জন্য বিজয়ী নির্ধারণ প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছেন। ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ না হওয়ায় ও বদলিজনিত কারণে চূড়ান্ত পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে ব্যক্তিগতভাবে পুরস্কার গ্রহণের সুযোগ না থাকায় ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি মিথ্যা তথ্য এবং জাল কার্যবিবরণীসহ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিবের কাছে ২০২২ সালের ২৮ মে পুরস্কারের আবেদন প্রত্যাহার করে পত্র দিয়েছেন। ওই মিথ্যা তথ্য ও জাল দলিল সরবরাহ করে একাধিক জাতীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ করানোর মাধ্যমে মন্ত্রণালয় ও সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করেছেন এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিব্রত করেছেন।

এ জন্য রুহুল আমীনের বিরুদ্ধে ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮’ অনুযায়ী ‘অসদাচরণ’র অভিযোগে বিভাগীয় মামলা করা হয়। সেই মামলার তদন্তে তার বিরুদ্ধে আনা ‘অসদাচরণ’র অভিযোগ প্রমাণিত হয়। তবে তিনি বেশ কয়েকটি বাগান সৃষ্টি করে জনস্বার্থে ইতিবাচক কাজ করেছেন বলে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হলেও তাকে সর্বনিম্ন দণ্ড বা লঘুদণ্ড ‘তিরস্কার’ দেওয়া হয় বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়।

বিজ্ঞাপন

সেখানে আরো বলা হয়, এ দণ্ড মওকুফের জন্য তিনি গত ৬ মে রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপতি তার আবেদন মঞ্জুর করে তাকে দেওয়া শাস্তি ‘তিরস্কার’ মওকুফ করেছেন।

সারাবাংলা/জেআর/পিটিএম

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন