বিজ্ঞাপন

ব্যক্তি ও গোষ্ঠীস্বার্থে বাংলা ব্লকেড মানবাধিকারের চরম হরণ

July 16, 2024 | 4:21 pm

কাজী মাসুদুর রহমান

সম্প্রতি একের পর এক বিচিত্র সব ইস্যুতে দেশে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে।গেল দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে গত বছরে পুরো সময়টাতে চরম রাজনৈতিক উৎকন্ঠার মধ্য দিয়ে দেশ আবর্তিত হয়েছে।নির্বাচন পরবর্তী তেমন কোনো রাজনৈতিক অস্থিরতা না থাকলেও ঝিনাদহ ৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজিম আনার হত্যা দেশব্যাপি বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছিল।তার মধ্যে পুলিশের সাবেক আইজি বেনজির আহমেদের অস্বাভাবিক দুর্নীতির গোমরফাঁস জনমনে বেশ আস্থাহীনতার অস্থিরতা জন্ম দিয়েছে।এর রেশ কাটতে না কাটতেই এন বি আর কর্মকর্তা মতিউর রহমানের ছাগলকান্ড জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।এরই মধ্যে আবার দেশের সবচেয়ে ভরসার স্থল পিএসসি’র প্রশ্নফাঁস কান্ড সচেতন মহলকে বেশ ভাবিয়ে তুলেছে।পাশাপাশি দীর্ঘদিন ব্যাপী চলমান দ্রব্যমূল্যের অগ্নিউত্তাপ জনজীবনে, বিশেষকরে মধ্যবিত্ত,নিম্নমধ্যবিত্ত ও প্রান্তিক স্তরের মানুষের জীবনে অসহনীয় নাভিশ্বাস তুলে ছেড়েছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, মুষ্টিমেয় কিছু বিচ্ছু সিন্ডিকেটের দোর্দন্ড প্রতাপের কাছে সরকারের মতো এমন হস্তিকায় বিশাল রাস্ট্রযন্ত্র মৃয়মান প্রায়!ঠিক এমনই এক অস্থিরতার মধ্যে ফুঁসে উঠেছে আবার কোটা বিরোধী আন্দোলন।তাও আবার, সাধারণ জনগণকে জিম্মি করে। ব্যক্তি বা গোষ্ঠী স্বার্থে সাধারণ জনগণের এবং বিশেষ করে খেটে খাওয়া মানুষের জীবনকর্ম অবরুদ্ধ (blocked)করার বিশৃঙ্খল তৎপরতাকে ‘আন্দোলন’ নাকি ‘আস্ফালন’ বলে তা আলোচনার দাবী রাখে।

বিজ্ঞাপন

স্বাধীনতার পর জাতির পিতা পিছিয়ে পরা ক্ষুদ্রজাতি, অঞ্চল, লিঙ্গ ও সাধারণ মানুষের যৌথ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে দাঁড় করানোর জন্য কোটার পদ্ধতি চালু করেছিলেন।এছাড়া নিহত, আহত ও চিরবিকলাঙ্গ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারগুলোকে অগ্রগামী রাখার জন্য এবং অন্যান্য মুক্তিযোদ্ধাদেরও অকৃত্রিম বীরত্বপূর্ণ আত্মত্যাগের মহতী কৃতজ্ঞতা স্বরুপ তাদের সন্তানদের এই সুযোগ দান করেন।সে প্রেক্ষিতে ১৯৭২-১৯৭৬ সাল অবধি ২০% সাধারণ মেধা,বাকি ৮০% কোটাভিত্তিক মেধায় নিয়োগ দেওয়া হতো।১৯৭৬ সালে সাধারণ মেধার সংখ্যা ৪০% এ উন্নীত করা হয়।১৯৮৫ সালে ১ম ও ২য় শ্রেণির পদে ৪৫% সাধারণ মেধাভিত্তিক এবং ৫৫% অগ্রাধিকার তথা কোটা ভিত্তিক নিয়োগের সিদ্ধান্ত হয়। ৫৫% এর মধ্যে ৩০% মুক্তিযোদ্ধা, ১০% নারী, ১০% জেলা বা আঞ্চলিক, ৫% ক্ষুদ্র বা নৃজাতিগোষ্ঠী বিদ্যমান।পরে ১% প্রতিবন্ধী কোটা যুক্ত করায় তা ৫৬% এ দাঁড়ায়।প্রচলিত কোটা পদ্ধতি সংস্কারের দাবিতে ২০১৮ সালে ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’ এর ব্যানারে একশ্রেণির শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামেন।এ প্রেক্ষিতে ঐ বছরের ৪ অক্টোবর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সকল প্রকার কোটা বাতিলের পরিপত্র জারি করে।ঐ পরিপত্রের বিরুদ্ধে সাতজন মুক্তিযোদ্ধার সন্তান রিট দায়ের করেন।রিটের প্রেক্ষিতে উচ্চআদালত ৫ জুন রুল অ্যাবসলিউট বা যথাযথ ঘোষণা করে সবধরনের কোটা বহালের পক্ষে রায় দেন।উক্ত রায়ের বিরুদ্ধে ৪ জুলাই রাস্ট্রপক্ষ আপিল করেন।এভাবে কোটা ইস্যুটি সর্বোচ্চ আদালতে বিচারাধীন অবস্থাতেই ছিল।এমতাবস্থায় সম্প্রতি একশ্রেণির শিক্ষার্থীরা ঢাকায় কোটা সংস্কারের দাবীতে ধীরে ধীরে ফুঁসে উঠতে থাকে।এক পর্যায়ে তারা শাহবাগ সহ ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ ও কর্মব্যস্তময় জনপথ গুলো ঘন্টার পর ঘন্টা অবরুদ্ধ করে ফেলে।চরম ভোগান্তিতে পরে সাধারণ মানুষ।পরবর্তীতে এটি ‘বাংলা ব্লকেড’ নামে সারা দেশে ছড়িয়ে পরে। বিশেষ করে ব্যস্ততম ঢাকা সহ সমগ্র দেশের যাতায়াতের মূলদ্বার আটকে দেওয়া হয়।অসংখ্য শিশু,আবাল,বৃদ্ধ, বনিতা চরম দুর্বিষহ অবস্থার মধ্যে পরেন।অসুস্থ রোগীও নিদারুণ অমানবিকতার শিকার হন।মালামাল পরিবহনে চরম ব্যাঘাত ঘটে।এতে ব্যাপক প্রভাব পরে গণঅর্থনীতির ওপর।দিন আনা খেটে খাওয়া বহু মানুষের উননে তখন অন্ন চরেনি।

অনেক অসুস্থ রোগীকেও জীবনের সাথে পাঞ্জা লড়তে হয়েছে। সাধারণ মানুষকে এমন মানবেতর পরিস্থিতিতে ফেলে এদের কোনো কোনো গ্রুপ রাজপথে ক্রিকেট, তাস, গোল্লাছুট খেলেছে যা দেশের মানুষ ঘৃণাভরে দেখেছে।প্রশ্ন উঠেছে তাদের শিক্ষার নৈতিক মানদন্ড নিয়ে। বিস্মিত বিষয় হলো, বিচারাধীন বিষয় হওয়া সত্ত্বেও আন্দোলনের নামে তাদের এহেন ঘৃণ্য অরাজকতা সন্দেহাতীত ভাবে দেশ ও জাতির মূলস্তম্ভ ‘বিচার বিভাগ’ কে সরাসরি চ্যালেঞ্জ করে বৈকি।বলাবাহুল্য, কোটা ইস্যুটি শুধুমাত্র সরকারি চাকুরীর ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।উল্লেখ্য, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ‘ স্ট্যাটিক্স অব অফিসার্স অ্যান্ড স্টাফ ‘ বইয়ের তথ্যানুসারে মন্ত্রণালয়, বিভাগ,অধিদপ্তর, পরিদপ্তর ও সরকারি অন্যান্য কার্যালয় গুলোতে ১৫ লাখ ৩০ হাজার ৯১০ জন বেসামরিক জনবলের পদ সংরক্ষিত আছে(ইতোমধ্যে সংযোজন/বিয়োজন না হলে)। ৬ষ্ঠ জাতীয় গণশুমারী অনুযায়ী বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যা হলো ১৬ কোটি ৫১ লাখ ৫৮ হাজার ৬১৬ জন।এই হিসাবে মোট জনসংখ্যার মাত্র ০.৯২৬% মানুষ সরকারি চাকুরির সুযোগ পায়।উল্লেখ্য, সরকারি চাকুরী প্রাপ্ত হলেই যে সে ‘ছাঁচে কাটা দুধে ধোয়া’ হয়ে যাবে-তা নয়। অপ্রিয় সত্য হলো, অবৈধ আয়ের সুযোগ থাকার কারণেও সরকারি চাকুরীতে অনেকেই আকৃষ্ট হয়।’সরকারি চাকুরী মানেই উপরি ইনকামের সুযোগ’- আমাদের সমাজে এটা এখন প্রবাদ বাক্যে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে ১ম ও ২য় গ্রেডের কর্মকর্তা পদে দুর্নীতির সুযোগ বেশি থাকায় দুর্নীতির প্রবণতা বেশিই পরিলক্ষিত হয় যা প্রমাণিত এবং ওপেন সিক্রেট। বলাবাহুল্য, সরকারি চাকুরিজীবিদের দুর্নীতির প্রবণতা কমাতে ২০১৫ সালে জাতীয় বেতনস্কেল বৃদ্ধির পাশাপাশি বাড়তি ৫% প্রতিবাৎসরিক প্রবৃদ্ধিও যোগ করা হয়।এতেও দুর্নীতি কমেনি বরং তা জ্যামিতিক হারে বেড়েছে! এ দুরাবস্থায় খোদ তৎকালীন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত(প্রয়াত) আক্ষেপ করে বলেছিলেন, ‘যাদের স্বভাব নষ্ট হয়ে গেছে তারা বদলাবে না।’

প্রসঙ্গত, কোটা বিরোধীদের মূল লক্ষ্য প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেনীর পদগুলোতে কোটা সংস্কারের যা পিএসসির আওতাধীন। সে হিসাবে মোট জনসংখ্যার আনুপাতিকে খুব কম সংখ্যক লোকই আন্দোলনকারীদের দাবীর বেনিফিশিয়ারি হবে। অর্থাৎ, খুব কমসংখ্যক জনসমষ্টি তাদের শ্রেণিভুক্ত হওয়ার সুযোগ পাবে।তাই এমন সামান্য সংখ্যক জনসংশ্লিষ্ট কোনো গোষ্ঠীর ব্যক্তিগত বা গোষ্ঠীগত স্বার্থে বাকি বৃহত্তর জনগোষ্ঠী তথা তাবৎদেশ অবরুদ্ধের কোপানলে জর্জরিত হবে, তাদের স্বার্থ চরিতার্থের হিংসাত্মক প্রভাবে জনজীবন বিপর্যস্ত এমনকি বিপন্ন হবে -তা কখনোই যৌক্তিক এবং গ্রহনযোগ্য হতে পারেনা। স্বীয়স্বার্থে জনজীবন বিপর্যস্ত করা অবশ্যই মানবাধিকার হরণের মতো গর্হিত অপরাধ। এটা আদৌ কোনো নৈতিক শিক্ষা হতে পারেনা। এটা শতভাগই অনৈতিক চর্চা।যেখানে সরকারই স্বপ্রণোদিত হয়ে এগোষ্ঠীর স্বার্থের পক্ষে উচ্চ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে আইনগত অবস্থান নিয়েছে, এমনকি শিক্ষার্থীদেরও দুইজন আদালতে রিট দায়ের করেছেন, সেখানে বিচারিক প্রক্রিয়াকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সাধারণ জনগণকে জিম্মি করা কখনোই আদর্শিক আন্দোলন হতে পারে।এটা শুধু আদালত অবমাননার সামিলই নয়, প্রশ্নাতীত গনবিরোধীও বটে।ইতোমধ্যে সর্বোচ্চ বা উচ্চতম আদালত হাইকোর্টের রায়ের ওপর চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা (status quo) জারি করেছেন যা আন্দোলনকারীদের দাবীর পক্ষেই গিয়েছে। এর পরই ইস্যুটির একটি ইতিবাচক স্থায়ী সুরাহা হবে বলে বিশেষজ্ঞগণ অভিমত দিয়েছেন। আইনজ্ঞদের মতে, এর ফলে কোটা বিরোধীদের দাবীর পক্ষে ২০১৮ সালে জারিকৃত সরকারি পরিত্রই বহাল থাকছে।এরই মধ্যে প্রধান বিচারপতি সহ সংশ্লিষ্ট আদালত শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বন্ধ করে ক্লাসে ফিরতে অনুরোধ করেছেন।একাধিকবার বিনয়ের সাথে অনুরোধ করেছেন সরকারও।এমনকি তাদের নিযুক্ত আইনজীবীও আদালতের সর্বশেষ অবস্থা পর্যালোচনা করে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের কোনো যৌক্তিকতা নেই মর্মে গণমাধ্যমে মমতামত প্রকাশ করেছেন।এতকিছুর পরেও তারা বর্তামানে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ এর ব্যানারে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তারা নিজেরাই আদালতে দ্বারস্থ হওয়ার পরেও রাজনৈতিক পথে সমাধান চাচ্ছে যা রীতিমতো অস্বাভাবিক বা অবৈধ চিন্তা। তাদের এই দুতিয়ালি(dubble standard) তৎপরতার নেপথ্যে কোনো গোষ্ঠীবর্গের কুরাজনৈতিক দুরভিসন্ধিমূলক যোগসাজশের সন্দেহ ঘনীভূত করে তুলেছে।সচেতন মহলের কাছে শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলন এখন রহস্যময় প্রহসনের আন্দোলনে পরিণত হয়েছে। অর্থাৎ ইস্যুটির মাধ্যমে রাস্ট্রের বিচারবিভাগ ও নির্বাহীবিভাগ কে কুপরিকল্পিত ভাবে পারষ্পরিক দ্বান্দ্বিক অবস্থানে নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের পাঁয়তারা চালানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে চিহ্নিত দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীরা আন্দোলনকারীদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বিবৃতি দিচ্ছে। তথাকথিত গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের নামে বিরাজনৈতিক ষড়যন্ত্র চরিতার্থে আগামী প্রহসনের আন্দোলনে তাদেরকে শরীক হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে এবং উদ্বুদ্ধ করছে।এমনকি, এরা আন্দোলনকারীদের নেপথ্যে আর্থিক পৃষ্ঠপোষকতা চালাচ্ছে মর্মে একাধিক গণমাধ্যমের তদন্তে উঠে এসেছে।উল্লখ্য, ২০১৮ সালের কোটা বিরোধী আন্দোলনেও এরকম নীলনকশা প্রতীয়মান হয়েছিল।তখন ‘বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ’এর ব্যানারে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সরল আবেগকে পুঁজি করে আন্দোলনের গর্ভ থেকে ‘বাংলাদেশ গণ অধিকার পরিষদ ‘ নামে একটি রাজনৈতিক দলের জন্ম হয়। পরবর্তীতে এটি চিহ্নিত ইতিহাস বিকৃতিবাজ ও জাতিসত্তা বিরোধী তথা দেশবিরোধী গোষ্ঠীর সহযোগী সহোদরে পরিণত হয়। পরবর্তীতে এদের নেতৃবর্গকে চির মুসলিম বৈরি- ইসরায়েলের কুখ্যাত মোসাদ গোয়েন্দাকর্তৃপক্ষের সাথে রহস্যময় যোগাযোগ স্থাপন করতে দেখা গেছে! স্বয়ং এদেশস্থ ফিলিস্তিন কূটনীতিক উক্তদলের প্রধানের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জিং অভিযোগ এনেছিলেন। কূটনীতিকের কাছে এ ঘৃণ্য ঘটনার ডকুমেন্টও সংরক্ষিত আছে মর্মে তারা বিবৃতি দিয়েছিলেন।

বিজ্ঞাপন

স্মর্তব্য, জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যার পর স্বাধীনতা বিরোধী খুনিচক্রগোষ্ঠী ‘৭৫ পরবর্তীতে ঐতিহাসিক মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রসূত সংবিধানের মৌলিকত্বে আঘাত হানে,পিতা হত্যার বিচার রোধের মাধ্যমে রাস্ট্রের মৌলিক স্তম্ভ বিচার বিভাগকে কলংকিত করে জন্ম দেয় বিচার হীনতার সংস্কৃতি, ইতিহাসের ঘৃণ্যবিকৃতি ও বাঙালি জাতিসত্তায় আঘাতের মাধ্যমে পথভ্রষ্ট করে জাতিকে। ‘৭৫- ‘৯৬ দীর্ঘ একুশ বছরে বিরাজনীতির গহীন আঁধারে বঙ্গবন্ধু কর্তৃক সৃষ্ট পূর্ব বাঙলার চিরায়ত ধ্রুপদী(classic) রাজনীতির করুণ কবর তাদের দ্বারা রচিত হয়েছিল। এতে রাজনীতির নামে যে অপনীতির সংস্কৃতি চালু হয়েছিল, সেই সংস্কৃতির আবহে রীতিমতো একটি প্রজন্ম বেড়ে উঠেছিল। সেই ভ্রষ্ট প্রজন্ম ও তাদের কুশীলবদের যৌথ পরিচালনায় তাদেরই কুরাজনৈতিক স্বার্থ চরিতার্থে বিগতদিনে কোটা ও নিরাপদ সড়ক ইস্যুতে কোমলমতি সরল শিক্ষার্থীদের তাসের জুয়ার ‘টিক্কা’, ‘গোলাম’ ও ‘বিবি’ এর মতো অপব্যবহার হতে দেখেছি। চলমান পরিস্থিতির নোনাঘোলা জলে যেন আবারো তারা চিহ্নিত কুচক্রীমহলের সেই জুয়ার তাসে পরিণত না হয়, সেই সুবোধ সুচেতনা তাদের মধ্যে জাগ্রত হোক -এই প্রত্যাশায় আমরা – শুভার্থীরা।

লেখক: কলামিস্ট

বিজ্ঞাপন
প্রিয় পাঠক, লিখতে পারেন আপনিও! লেখা পাঠান এই ঠিকানায় -
sarabangla.muktomot@gmail.com

মুক্তমত বিভাগে প্রকাশিত মতামত ও লেখার দায় লেখকের একান্তই নিজস্ব, এর সাথে সারাবাংলার সম্পাদকীয় নীতিমালা সম্পর্কিত নয়। সারাবাংলা ডটনেট সকল মতাদর্শের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তবে মুক্তমতে প্রকাশিত লেখার দায় সারাবাংলার নয়।

সারাবাংলা/এসবিডিই

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন