বিজ্ঞাপন

আন্দোলনকারী-ছাত্রলীগ সংঘর্ষ: শাহবাগ থানায় হচ্ছে একাধিক মামলা

July 16, 2024 | 4:31 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ঘের ঘটনায় একাধিক মামলার প্রস্তুতি চলছে। এসব মামলায় ছাত্রলীগ ও পুলিশের পক্ষ থেকে বাদী হচ্ছে বলে জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

ডিএমপির রমনার বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম বলেন, একাধিক মামলার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। মামলার প্রস্তুতির বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানায় খোঁজ নেওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল সোমবার দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত যেসব ঘটনা ঘটেছে, সেগুলোর তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে কিছু নামের তালিকা দিয়ে বেশ কয়েকটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। এসব অভিযোগ বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। একটু পরেই মামলা রুজু করা হবে। অন্যদিকে ভুক্তভোগী ছাড়াও পুলিশের ওপর হামলা ও কাজে বাধা দেওয়ায় পুলিশ বাদী হয়ে অভিযোগ প্রস্তুত করা হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএমপির গণমাধ্যম শাখার উপ কমিশনার ফারুক হোসেন বলেন, মামলা এখনো রুজু করা হয়নি। কাজ চলছে। মামলা হলে জানানো হবে।

বিজ্ঞাপন

উল্লেখ্য, রোববার (১৪ জুলাই) চীন সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কোটা সংস্কার আন্দোলন প্রসঙ্গে করা এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন ‘মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধার নাতিপুতিরা কিছুই পাবে না, তাহলে কি রাজাকারের নাতিপুতিরা সব পাবে?’

প্রধানমন্ত্রীর এ বক্তব্যে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা বা নাতিপুতি’ বলা হয়েছে অভিযোগ করে রোববার রাত থেকে প্রতিবাদ শুরু করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রাতে প্রথমে রোকেয়া হলের মেয়ে শিক্ষার্থীরা হল থেকে মিছিল নিয়ে বের হয়ে আসেন। তারা স্লোগান দেওয়া শুরু করেন ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’। এক পর্যায়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল থেকে ছেলে ও মেয়ে শিক্ষার্থীরা দলে দলে মিছিল নিয়ে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যের সামনে এসে বিক্ষোভ শুরু করেন। প্রায় দেড় ঘণ্টার বিক্ষোভ শেষে হলে ফিরে যান তারা।

একই ইস্যুতে গত সোমবার উত্তাল হয়ে ওঠে ঢাবিসহ দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়। দুপুরের দিকে ঢাবির রাজু ভাস্কর্যে এসে অবস্থান নেন কয়েকশ আন্দোলনকারী। এসময় তারা প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য প্রত্যাহার চেয়ে নানা স্লোগান দেন। তবে তাদের ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার’ স্লোগান নিয়ে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের আলাদা অনুষ্ঠানে তাদের স্লোগানের ভাষার তীব্র সমালোচনা করেন।

বিজ্ঞাপন

এরপর ছাত্রলীগ দুপুর ২টার দিকে বিজয় ৭১ হলসহ বিভিন্ন হলে আন্দোলনকারীদের বাধা দেন। এ খবরে আন্দোলনকারীরা ছুটে গেলে ছাত্রলীগের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। উভয়পক্ষ ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে। এ ঘটনায় গোটা ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

সারাবাংলা/ইউজে/এনইউ

Tags:

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন