আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ান: মির্জা ফখরুল

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দেশবাসী এবং রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান। বিএনপির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা মশিউর রহমান যাদু মিয়ার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে ভাসানী অনুসারী পরিষদ এ আলোচনা সভা আয়োজন করে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই সরকার জনগণের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। শিক্ষার্থীরা যে আহ্বান জানিয়েছেন, আমি মনে করি সারা দেশের মানুষের সেই আহ্বানে সাড়া দেওয়া উচিত। সব রাজনৈতিক দলেরও তাঁদের পাশে এসে দাঁড়ানো উচিত। এ দেশের মানুষ জেগে উঠছে। বিশ্বাস করি, জনগণ তাদের অধিকার আদায় করে নেবে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘এই সরকার গতকাল যা ঘটিয়েছে, তা বাংলাদেশে আমরা আগে কখনো দেখিনি। হাসপাতালের মধ্যে গিয়ে সরকারি দলের লোকজন ছাত্রদের ওপর আক্রমণ করেছে। এটা আমরা কখনো চিন্তাও করতে পারি না।’

মির্জা ফখরুল বলেন, গতকাল শুধু আন্দোলন নয়, সন্তানদের ওপর অন্যায়ভাবে, অযৌক্তিকভাবে আক্রমণ করা হয়েছে। কী ভয়াবহ আক্রমণ। শুধু ঢাকায় নয়, সারা দেশে হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘কোটা সংস্কারের আন্দোলনকে নস্যাৎ করে দেওয়ার জন্য আপনারা (সরকারি দলের নেতা-কর্মী) তাদের ওপর অস্ত্রশস্ত্র হাতে নিয়ে বাহিনীকে লেলিয়ে দিয়েছেন। কী ভয়াবহ নির্যাতন করে আজকে আপনারা তাদের দমন করার চেষ্টা করছে।’

গণতন্ত্রের দাবিকে পাশ কাটানোর জন্য সরকার একটার পর একটা ঘটনা ঘটিয়ে জনগণের দৃষ্টিকে অন্য দিকে নেওয়ার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন মির্জা ফখরুল।

তিনি বলেন, ‘এই সময় রুখে দাঁড়াতে না পারলে দেশ ও জাতির অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়বে। আওয়ামী লীগ এখন আর সেই আওয়ামী লীগ নেই। আওয়ামী লীগ একটা সম্পূর্ণ দেউলিয়া রাজনৈতিক দলে পরিণত হয়েছে। আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে আমলাদের ওপর এবং তাদের দলীয় বাহিনীর ওপর।’

ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান (মান্না), রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা বুলু, বিএনপি নেতা নূর মুহাম্মদ খান প্রমুখ।

সারাবাংলা/এজেড/এনইউ