বিজ্ঞাপন

কোটা আন্দোলন: সহিংসতা-প্রাণহানির বিচার বিভাগীয় তদন্ত হবে

July 17, 2024 | 7:53 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: কোটা সংস্কারের দাবিতে চলমান আন্দোলনে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন এলাকায় আন্দোলনকারী, ছাত্রলীগ ও পুলিশের মধ্যে ত্রিমুখী সংঘর্ষ ঘটেছে। এরই মধ্যে ছয়জন প্রাণও হারিয়েছেন এই সংঘাতে।

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে এসব ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করা হবে। যারা সংঘাত-সহিংসতায় জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।

বুধবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ কথা বলেন। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা নয়, দুষ্কৃতিকারীরা অনুপ্রবেশ করে এসব সহিংসতা-সংঘাত ঘটিয়েছে বলেও ভাষণে মন্তব্য করেন তিনি।

আরও পড়ুন- কোটা আন্দোলন: নিহতদের পরিবারকে সব সহযোগিতা করবে সরকার

বিজ্ঞাপন

চলমান আন্দোলনের প্রেক্ষাপট বক্তব্যে তুলে ধরেন সরকারপ্রধান। তিনি আরও বলেন, শিক্ষার্থীরা নতুন করে কোটা সংস্কারের আন্দোলন শুরু করলে সরকার যথেষ্ট ধৈর্য ও সহনশীলতা প্রদর্শন করেছে। আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে পুলিশও সহযোগিতা করেছে। কিন্তু কিছু মহল এই আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করার সুযোগ নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয় বলে মন্তব্য করেন তিনি।

শেখ হাসিনা বলেন, এর ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে যেসব ঘটনা ঘটেছে, তা খুবই বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক। অহেতুক কতগুলো মূল্যবান জীবন ঝরে গেল। যারা এসব কমকান্ডে জড়িত, তাদের বিচারের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করার কথাও বলেন তিনি।

আরও পড়ুন- সন্ত্রাসীরা আন্দোলনে ঢুকে নৈরাজ্য-সংঘাত করেছে: প্রধানমন্ত্রী

বিজ্ঞাপন

প্রধানমন্ত্রী তার ভাষণে বলেন, আমি দ্ব্যর্থহীনভাবে ঘোষণা করছি, যারা হত্যাকাণ্ড-লুটপাট ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়েছে, তারা যেই হোক, তারা যেন উপযুক্ত শাস্তি পায় সেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমি আরও ঘোষণা করছি, হত্যাকাণ্ডসহ যেসব অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে, সুষ্ঠু ও ন্যায় বিচারের স্বার্থে সেসব বিষয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, কাদের উসকানিতে সংঘর্ষের সূত্রপাত হলো, কারা কোন উদ্দেশ্যে দেশকে একটি অরাজক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিলো, তা তদন্ত করে বের করা হবে।

আরও পড়ুন- কোটা আন্দোলন— আদালতের ওপর আস্থা রাখতে বললেন প্রধানমন্ত্রী

চলমান আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে নিজেও উদ্বিগ্ন বলে জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বলেন, আমি আন্দোলনরত কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে অত্যন্ত উদ্বিগ্ন। এই সন্ত্রাসীরা যেকোনো সময় সংঘাতের পরিবেশ তৈরি করে তাদের ক্ষতিসাধান করতে পারে। তাই শিক্ষার্থীদের পিতা-মাতা, অভিভাবক ও শিক্ষকদের প্রতি আমার আবেদন, তারা যেন তাদের সন্তানদের নিরাপত্তার বিষয়ে সজাগ থাকেন। একইসঙ্গে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়ে বিশেষভাবে নজর রাখেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনআর/টিআর

Tags: , , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন