বিজ্ঞাপন

বরিশালে শিক্ষার্থী-পুলিশ সংঘর্ষ, ১ কিমি এলাকা রণক্ষেত্র

July 17, 2024 | 8:24 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

বরিশাল: কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়েছে পুলিশ। নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও চৌমাথা এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষে পুলিশসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা পুলিশের উদ্দেশে ইটপাটকেল ছোড়ে। আর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ছোড় টিয়ারশেল।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। যা এখনো থেমে থেমে চলছে।

এদিন বিকেল ৪টার দিকে কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় পুলিশকে জলকামান ও সজোয়া যান আনতে দেখা গেছে। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ছোড়া ইটের আঘাতে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের (বিএমপি) উপ-কমিশনার আলী আশরাফ ভূঞা আহত হন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন গলিতে অবস্থান নিয়ে পুলিশের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। পুলিশও টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে শিক্ষার্থীদের প্রতিহতের চেষ্টা চালায়। এই শব্দে ওই এলাকায় ভীতিকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আশপাশের বাসাবাড়ির লোকজনও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগ দিয়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।

বিজ্ঞাপন

এর আগে, বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীরা ঢাকা-বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়কের নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল ও সিঅ্যান্ডবি সড়কের চৌমাথায় অবরোধ করেন। এ কারণে মহাসড়কের দুই পাশে আটকে পড়া যানবাহনের দীর্ঘ সারি দেখা যায়। ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। অনেকে পায়ে হেঁটে গন্তব্যে রওনা দেন। তবে রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্স ও লাশবাহী গাড়িসহ জরুরি সেবার যানবাহন চলাচলে কোনো বিঘ্ন ঘটাতে দেখা যায়নি শিক্ষার্থীদের। শিক্ষার্থীরা দাবি আদায়ে সড়ক অবরোধ করায় অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, যানবাহন ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে সড়কে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়েন করা হয়।

তবে বেলা ২টার দিকে পুলিশ তাদের হটাতে গেলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল থেকে চৌমাথা পর্যন্ত মহাসড়কের এক কিলোমিটার এলাকায় সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় একটি মোটরসাইকেলও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এতে সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় কয়েকজন শিক্ষার্থী ও পুলিশ আহত হয়েছে। তবে সঠিক সংখ্যা জানা যায়নি।

বিজ্ঞাপন

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তারা যৌক্তিক দাবি তুলে আন্দোলন করছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা রাজপথ ছাড়বেন না। এয়ারপোর্ট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন জানান, শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দিতে কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ব্যবহার করা হয়েছে।

এদিকে বেলা ১২টায় বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কার আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে ছয় জন নিহতের প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন। মেডিকেল কলেজের সামনে থেকে শুরু হয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে অধ্যক্ষের কার্যালয়ে গিয়ে শেষ হয়।

সারাবাংলা/পিটিএম

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন