বিজ্ঞাপন

‘কোটার নামে সরকারবিরোধী আন্দোলন করছে জামায়াত-শিবির’

July 17, 2024 | 9:51 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: কোটা সংস্কারের নামে জামায়াত-শিবির সরকারবিরোধী আন্দোলন করছে বলে অভিযোগ করেছেন নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (১৪ জুলাই) বিকেল ৪টার দিকে নগরীর ওয়াসা মোড়ের জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদে নগর আওয়ামী লীগের উদ্যেগে কোটাবিরোধী আন্দোলনে সংঘর্ষে ছাত্রলীগের কর্মীসহ নিহতদের স্মরণে অনুষ্ঠিত গায়েবানা জানাজার আগে তিনি এ অভিযোগ করেন।

কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে জামায়াত-শিবির নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে অভিযোগ করে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘সারা বাংলাদেশে কোটাবিরোধী আন্দোলনের নামে জামায়াত-শিবির নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চালাচ্ছে। তাদের হামলায় আমাদের কিছু কর্মী নিহত হয়েছেন। হাজারের বেশি ছাত্রলীগ ও যুবলীগ নেতাকর্মীদের হাত এবং পায়ের রগ কেটে দেওয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে এটাই প্রমাণ হয় যে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে জামায়াত-শিবির সরকারবিরোধী আন্দোলনে নেমেছে।;

তিনি আরও বলেন, ‘সরকার প্রথম থেকেই আন্দোলনকারীদের প্রতি সহানুভূতি দেখিয়েছে। রাস্তা অবরোধ করে, মানুষকে কষ্ট দিয়ে আন্দোলনকারীরা তাদের কর্মসূচি পালন করেছে। সরকার তবুও চুপ করে ছিল। সেটার সুযোগ নিয়েছে ঘাপটি মেরে বসে থাকা জামায়াত-শিবির ও বিএনপি। তারা কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করে সারাদেশে তাণ্ডব চালিয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আপনারা সবাই সজাগ থাকুন। ঐক্যবদ্ধ থাকুন। প্রধানমন্ত্রী যেকোনো সময় নির্দেশনা দিতে পারেন। নির্দেশনা পেলেই সবাইকে রাজপথে নেমে আসতে হবে।’

বিজ্ঞাপন

নগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, ‘অপ্রয়োজনীয় একটি ইস্যু নিয়ে রাস্তায় রাস্তায় তাণ্ডব শুরু করেছে বিএনপি-জামায়াতের সন্ত্রাসীরা। তাদের তাণ্ডবে অনেক সাধারণ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। আমাদের অনেক কর্মী আহত হয়েছেন। কোটা তাদের মূল ইস্যু নয়। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্য মাঠে নেমেছে। যুদ্ধ শুরু হয়েছে। যুদ্ধে জয়ী না হওয়া পর্যন্ত আমরা কেউ ঘরে ফিরব না।’

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, ‘ছাত্রলীগের সদস্যদের কোটা আন্দোলনকারীরা নির্মমভাবে কুপিয়েছে। সাধারণ ছাত্রদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে জামায়াত-শিবির তার রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের চেষ্টা করছে। অতীতেও তারা এরকম করেছে। কিন্তু বিজয় অর্জন করতে পারেনি। মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষকে তারা নির্বিচারে হত্যা করেছে। তাদের স্থান এ বাংলাদেশে কখনও হয়নি আর হবেও না।’

এসময় আরও বক্তব্য দেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সহসভাপতি ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, দক্ষিণ জেলার সভাপতি মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, উত্তর জেলার সভাপতি এম এ সালাম, সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান আতা ও চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আইসি/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন