বিজ্ঞাপন

আমি ক্ষমাপ্রার্থী: শবনম ফারিয়া

July 18, 2024 | 8:34 pm

এন্টারটেইনমেন্ট ডেস্ক

কোটা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের মৃত্যুর খবরে বিচলিত শিল্পী সমাজ। তাদের ফেসবুকে এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। সে তালিকায় যুক্ত হয়েছেন অভিনেত্রী শবনম ফারিয়া। এতগুলো মৃত্যুর খবরে তিনি লিখেছেন, ‘আমি ক্ষমাপ্রার্থী’।

বিজ্ঞাপন

তিনি লিখেন, ‘আমি ক্ষমাপ্রার্থী! গত ৪ দিন আমি ২/৪টা স্টোরি দেয়া ছাড়া কোনও কিছু লেখার সাহস পাচ্ছিলাম না! আমি ভীতু, আমাকে গালি দেন। গালির জবাবে কিছু বলার মুখ আমার নাই।’

ব্যক্তিজীবনের সীমাবদ্ধতার কথা জানিয়ে লিখেন, ‘বাবা নাই, মায়ের বয়স ৭০ প্রায়, আমাকে নিয়ে আমার মা আর দুই বোনের কম পোহানি পোহাতে হয় নাই। নতুন করে আমাকে নিয়ে কোনও ঝামেলায় তারা পড়ুক, আমি চাই না! আমি চুপ থাকাই বেস্ট অপশন ভেবে ঘরে বসে আছি। মেয়ে মানুষ, তার ওপর মিডিয়াতে কাজ করতাম, আমাকে গালি দেয়া কিংবা খারাপ কথা বলার তো লাইসেন্সই আছে।’

শবনম ফারিয়া বিশ্বাস করেন দেশের এমন হত্যাকাণ্ড দেখে জীবিত মুক্তিযোদ্ধারাও বিব্রত এখন। কারণ, তাদের কোটা সম্মান জানাতেই আজ দেশের এই হাল। ফারিয়া বলেন, ‘তাদের (মুক্তিযোদ্ধা) সম্মান জানাতে গিয়ে এই ধরনের বর্বরতা! এইটা কেমন সম্মানরে ভাই?

বিজ্ঞাপন

এতোগুলো বাচ্চাকে জাস্ট মেরে ফেললো? আর কোন সমাধান ছিল না? মেরে ফেলা লাগবে, ওরা এত বড় সন্ত্রাসী ছিল?’

তার স্ট্যাটাসটি নিচে হুবহু তুলে ধরা হল:

“আমি ক্ষমাপ্রার্থী!
গত ৪ দিন আমি ২/৪টা স্টোরি দেয়া ছাড়া কোন কিছু লিখার সাহস পাচ্ছিলাম না ! আমি ভীতু , আমাকে গালি দেন । গালির জবাবে কিছু বলার মুখ আমার নাই ।

বিজ্ঞাপন

বাবা নাই , মার বয়স ৭০ এর কাছাকাছি, আমাকে নিয়ে আমার মা আর দুইবোনের কম পোহানি পোহাতে হয় নাই , নতুন করে আমাকে নিয়ে কোনো ঝামেলায় তারা পরুক , আমি চাই না! আমি চুপ থাকাই বেস্ট অপসন ভেবে ঘরে বসে আছি। মেয়ে মানুষ, তার উপর মিডিয়াতে কাজ করতাম, আমাকে গালি দেয়া কিংবা খারাপ কথা বলারতো লাইসেন্সই আছে।

আজকে চুপ থাকা বেশ কঠিন হয়ে যাচ্ছে, নিজের কাছে নিজের ছোট লাগছে, নিজেকে বড় বেশি মেরুদণ্ডহীন মনে হচ্ছে।

আজকে আমার নিজের ইউনিভার্সিটির ছোট ভাইয়েরা মারা গেছে! ভাই বিশ্বাস করেন আইইউবির স্টাডেন্টরা আমরা আসলেই ফার্মের মুরগি, আমরা ক্যাম্পাসে ৩০টাকা দিয়ে সিঙারা খাই, তাও প্রতিবাদ করি না যে এতো দাম কেন?

এরা সরকারি চাকরী কেউ করবে না ! ওরা রাস্তায় দেশের জন্য নামসে ! অন্য ভাইদের জন্য নামসে। ভাতৃত্ব , ইন্সটিটিউটসনাল প্রাইডের উর্ধ্বে।

বিজ্ঞাপন

তাই বলে আমাদের ছোট ভাই গুলোকে মেরে ফেলবে?
কেউ কোনো কিছুর দাবি করতে পারবে না?
মেরে ফেলা লাগবে? মেরে ফেলা সমস্যার সমাধান?
মানুষের জীবনের কোন দাম নাই?
ভাই আমি আসলেই রাজনীতি বুঝি না, বুঝতেও চাই না,
আমি শুধু বুঝতে চাই আমার ছোট ভাই গুলোকে কেন মারা হইলো?
আমি এর জবাব চাই ! আমি এর বিচার চাই।
মুক্তিযুদ্ধারা যারা বেঁচে আছেন , আমি নিশ্চিত তারা নিজেরাও এখন বিব্রত! তাদের সম্মান জানতে গিয়ে এই ধরনের বর্বরতা !!! এইটা কেমন সম্মান রে ভাই ?
এতোগুলো বাচ্চাকে জাস্ট মেরে ফেললো?
আর কোন সমাধান ছিল না ? মেরে ফেলা লাগবে, ওরা এত বড় সন্ত্রাসী ছিল?”

সারাবাংলা/এজেডএস

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন