বিজ্ঞাপন

স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে দেশ

July 24, 2024 | 8:52 am

স্টাফ করেসপেন্ডেন্ট

ঢাকা: কোটাবিরোধী আন্দোলন থেকে ছড়িয়ে পড়া সহিংসতা ও পরবর্তীতে কারফিউ জারির মধ্যে দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। আজ বুধবার (২৪ জুলাই) কর্মব্যস্ততায় ফিরেছে দেশ। তিনদিন সাধারণ ছুটির পর আজ খুলেছে অফিস-আদালত।

বিজ্ঞাপন

চলমান কারফিউও আরও শিথিল করা হয়েছে আজ থেকে। খোলা হয়েছে সবধরনের দোকানপাট ও বিপণীবিতান। আজ থেকে সারাদেশে খুলেছে পোশাক কারখানা। সারাদেশে বাস চলাচলও শুরু হয়েছে। এর আগে বুধবার রাত থেকে দেশে পরীক্ষামূলকভাবে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সচল হয়েছে। এতে ইন্টারনেটের উপর নির্ভরশীল হাজার হাজার প্রতিষ্ঠান ও ফ্রিল্যান্সারের মাঝে স্বস্তি ফিরেছে।

ঢাকা মহানগর ও ঢাকা জেলা, গাজীপুর মহানগর ও গাজীপুর জেলা, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জে আজ বুধবার ও পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল থাকবে। অন্যান্য জেলার ক্ষেত্রে নিজ নিজ কর্তৃপক্ষ (জেলা প্রশাসক) এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। কারফিউ শিথিল থাকার সময় চলবে অফিস-আদালত। কারফিউ শিথিল থাকার সময় সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা সীমিত পরিসরে চলবে সরকারি-আধাসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত অফিস।

সকালে কারফিউয়ের সময় পোশাক কারখানায় প্রবেশের জন্য চলাচলের সময় শ্রমিক, মিড লেবেল ব্যবস্থাপনা কর্মী এবং ব্যবস্থাপনা পর্যায়ের কর্মকর্তাদের পরিচয়পত্র কারফিউ পাস হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে।

বিজ্ঞাপন

রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে বাস চালানোরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতি। বুধবার (২৪ জুলাই) কারফিউয়ের সময় বাদ দিয়ে বাকি সময় বাস চলবে বলে সারাবাংলাকে নিশ্চিত করেছেন সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ।

এর আগে গত সপ্তাহের বৃহস্পতিবার কোটা সংস্কারের দাবিতে ডাকা দেশব্যাপী কমপ্লিট শাটডাউনে অচল হয়ে পড়ে দেশ। এদিন সহিংসতাও ছড়িয়ে পড়ে দেশে। ঢাকা শহর আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষে বিভিন্ন এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। সহিংসতা ও সংঘর্ষ চলে শুক্রবারও। পরিস্থিতি সামাল দিতে শুক্রবার রাতে কারফিউ ঘোষণা করে সরকার। রোববার থেকে ঘোষণা করা হয় সাধারণ ছুটি। এতে স্থবির হয়ে পড়ে দেশ। শনিবার কারফিউ চলাকালীন কেবল দুই ঘণ্টা শিথিল রাখা হয়। এরপর ধীরে ধীরে শিথিলের সময় বাড়াতে থাকে সরকার। রোববার সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ কোটা বহাল করে হাইকোর্টের একটি রায় বাতিল করে দেওয়ার পর পরিস্থিতি আরও শান্ত হতে থাকে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আইই

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন