বিজ্ঞাপন

নেট বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তি মোবাইল ব্যাংকিং সেবায়

July 24, 2024 | 3:36 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: কোটা সংস্কার আন্দোলনের কারণে সারাদেশে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন মোবাইল ব্যাংকিংয়ের গ্রাহকরা। গত বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) রাত থেকে নেট সংযোগ বন্ধ থাকায় ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। তবে আজ বুধবার (২৪ জুলাই বুধবার) থেকে ব্যাংক খোলা রাখার সিদ্ধান্তের ফলে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতির আশা করা হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ব্যাপকভাবে জনপ্রিয়তা লাভ করেছে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা। প্রতিমাসে গড়ে দেড় লাখ কোটি টাকার লেনদেন হচ্ছে এর মাধ্যমে। দেশে বর্তমানে বিকাশ, রকেট, নগদসহ ১৩টি এমএফএস সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধিত অ্যাকাউন্ট ২২ কোটি ৬৫ লাখের বেশি।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, গত এপ্রিলে এ মাধ্যমে মোট ১ লাখ ৪৫ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়। আগের মাস মার্চে লেনদেনের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৫৪ হাজার কোটি টাকা।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যাংকের পাশাপাশি মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) সেবা প্রায় অচল হয়ে পড়েছে। গত বেশ কয়েকদিন ধরে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ থাকায় অ্যাপের মাধ্যমে এখন ব্যাংক থেকে এমএফএস অ্যাকাউন্টে টাকা নেওয়া পুরোপুরি বন্ধ ছিলো। কারও এমএফএস অ্যাকাউন্টে টাকা থাকলেও অনেক ধরনের বিল ইন্টারনেট ছাড়া পরিশোধ করা যাচ্ছিলো না। অনেক এজেন্ট পয়েন্ট থেকে ক্যাশ ইন বা ক্যাশ আউট করতে পারছিলো না। এর ফলে এ সেবায় ব্যাপক ভোগান্তি তৈরি হয়েছিলো। তবে আজ বুধবার থেকে ইন্টারনেট কিছুটা সচল ও ব্যাংক খোলা রাখার কারণে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হবে বলে মনে করছেন তারা।

বিজ্ঞাপন

গ্রাহকদের এমএফএস অ্যাকাউন্টে যে টাকা থাকে তা ই-মানি হিসেবে বিবেচিত। কোনো একটি এমএফএস কোম্পানি চাইলেই ই-মানি ইস্যু করতে পারে না। এসব প্রতিষ্ঠান কেবল গ্রাহকের জমা সমপরিমাণ ই-মানি বা পেমেন্ট ইনস্ট্রুমেন্ট ইস্যু করতে পারে। এই কার্যক্রম পরিচালনার জন্য এমএফএস প্রতিষ্ঠানকে কোনো একটি ব্যাংকে খুলতে হয় ‘ট্রাস্ট কাম সেটেলমেন্ট অ্যাকাউন্ট (টিসিএসএ)’। প্রতিদিন লেনদেন শেষে এই হিসাবে জমা এবং ই-মানি ইস্যুর হিসাব মেলাতে হয়। কোনো প্রতিষ্ঠান এর বেশি ইস্যু করলে তা জাল হিসেবে বিবেচিত।

জানা গেছে, কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে গত তিন দিন ছিল সাধারণ ছুটি। আজ কারফিউ শিথিলের মধ্যে বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত ব্যাংকগুলো কিছু শাখা খোলা রেখে সেবা দেয়া হয়। সাধারণত সাপ্তাহিক ও অন্যান্য ছুটির দিন অ্যাপ, এমএফএস, এটিএম বুথসহ ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে লেনদেনের চাপ বেশি থাকে।

গত বুধবার থেকে গতকাল পর্যন্ত কার্যত লেনদেন প্রায় বন্ধ ছিল। তবে বুধবার ব্যাংক, বিমা, পুঁজিবাজার ও অফিস-আদালত নির্দিষ্ট কিছু সময় খোলা থাকায় গ্রাহকদের মাঝে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জিএস/এমও

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন