বিজ্ঞাপন

আপিল বিভাগের রায় ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলছে পিসিপি

July 24, 2024 | 4:15 pm

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

রাঙ্গামাটি: আপিল বিভাগের ১ম ও ২য় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে কোটা বিন্যাসের রায়কে ‘অগ্রহণযোগ্য’ বলে মন্তব্য করেছে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) ছাত্র সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ (পিসিপি)।

বিজ্ঞাপন

পাহাড়ের প্রাচীন ছাত্র সংগঠনটি বলছে, আপিল বিভাগ প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সরকারি চাকরিতে সাধারণ আসনে ৯৩ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটায় ৫ শতাংশ, প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গ কোটায় ১ শতাংশ এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটায় ১ শতাংশ আসন বরাদ্দ করে চূড়ান্ত রায় দেন। দেশে বসবাসরত ৫০টির অধিক ‘আদিবাসী’ জনগোষ্ঠীর জন্য মাত্র ১ শতাংশ কোটা বরাদ্দ রেখে হাইকোর্টের আপিল বিভাগের রায় অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করে পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ।

গত সোমবার পিসিপির কেন্দ্রীয় তথ্য, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অন্বেষ চাকমার পাঠানো বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের সবচেয়ে দরিদ্রতম ও অনগ্রসর অংশ হলো আদিবাসীরা। একদিকে ভিন্ন ভাষা, সংস্কৃতি ও জীবনধারা যেমন তাদেরকে মূল জনগোষ্ঠী থেকে সার্বিকভাবে পিছিয়ে রাখতে বাধ্য করেছে অপরদিকে রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়ন, শোষণ-নিপীড়ন জনজীবনকে অস্তিত্বের হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে।

যার ফলশ্রুতিতে তারা দেশের মূল জনগোষ্ঠীর সঙ্গে কোনোভাবেই উন্মুক্ত প্রতিযোগিতায় ঠিকে থাকতে পারছে না। মাত্র কয়েকটি জনগোষ্ঠী ব্যতিত অধিকাংশ আদিবাসী (ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী) জনগোষ্ঠী থেকে এখনো বিসিএসে প্রতিনিধিত্ব নেই এবং তাদেরকে রাষ্ট্রীয় কাঠামোর অন্তর্ভুক্তকরণের কোন নির্দেশনা হাইকোর্টের রায়ে প্রতিফলিত হয়নি। তাই মাত্র ১ শতাংশ কোটা ৫০টির অধিক জনগোষ্ঠীকে রাষ্ট্রের মূল স্রোতধারার সাথে অন্তর্ভুক্ত করার রাষ্ট্রীয়নীতি কোনোভাবেই যুক্তিযুক্ত ও গ্রহণযোগ্য হতে পারে না।

বিজ্ঞাপন

বিবৃতিতে সংগঠনটি আরও বলেছে, বাংলাদেশ বির্নিমাণে রাষ্ট্রের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে আদিবাসীদের অংশগ্রহণ অত্যন্ত প্রয়োজন। এই প্রয়োজন মেটানোর জন্যই প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর সরকারি চাকরিতে আদিবাসীদের জন্য ন্যূনতম ৫ শতাংশ কোটা পুনর্বহালের জন্য পাহাড়ী ছাত্র পরিষদ জোর দাবি জানাচ্ছে।

এদিকে, আপিল বিভাগের রায়ের দিন রোববার বিকালেই প্রসিত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউপিডিএফ সমর্থিত বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) আপিল বিভাগের রায়কে ‘অবিবেচনাপ্রসূত’ রায় বলে মন্তব্য করেছে।

পিসিপির কেন্দ্রীয় সভাপতি অঙ্কন চাকমা ও সাধারণ সম্পাদক অমল ত্রিপুরা পৃথক বিবৃতিতে বলেছেন, পাহাড়-সমতলে বসবাসরত ৫০টির অধিক পিছিয়ে পড়া সংখ্যালঘু জাতিসত্তার জন্য প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণী সরকারি চাকরিতে ১শতাংশ কোটা পর্যাপ্ত নয়। রায় ৫০টির অধিক জাতিসত্তার জন্য কোন বিবেচনায় মাত্র ১ শতাংশ কোটা সংরক্ষণের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, তা আমাদের বোধগম্য নয়। পিছিয়ে পড়া জাতির প্রতি এটি চরম বৈষম্য। আমরা এই রায় প্রত্যাখান করছি। অবিলম্বে পূর্বে নির্ধারিত ৫ শতাংশ কোটা পুনর্বহাল দাবি জানাচ্ছি।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/এনইউ

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন