বিজ্ঞাপন

দ্রুত কারফিউ তুলে দিতে কাজ করছে সরকার: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

July 24, 2024 | 5:47 pm

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সহিংসতা রোধে চলমান কারফিউ দ্রুত তুলে নেওয়া হবে এবং এ নিয়ে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

বিজ্ঞাপন

সহিংসতায় নাশকতাকারীদের আইনের মুখোমুখি করা হবে, এটা থেকে সরকার এক পা ও সরে দাঁড়াবে বলেও জানিয়েছেন মন্ত্রী।

বুধবার (২৪ জুলাই) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জামায়াত-বিএনপি একটি উদ্দেশ্য নিয়ে কোটা আন্দোলন নিয়ে সহিংসতায় জড়িয়েছে। আমরা কারফিউ দিতে বাধ্য হয়েছি। সেনাবাহিনীকে ডাকতে হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

পরিস্থিতিতি নিয়ন্ত্রণে উল্লেখ করে তিনি বলেন, আশা করছি দুই চার দিনের মধ্যে সব নিয়ন্ত্রণে আসবে। কারণ এ পরিস্থিতি দেশের মানুষ পছন্দ করে না।

তিনি বলেন, এখন কারফিউ শিথিল। কারফিউ রাখতে চাই না। থানা আক্রমণ করছে, পুলিশ মেরে ফেলছে, কেপিআইগুলো ধ্বংস করে দিচ্ছে। পুলিশ, র‍্যাব, আনসার, বিজিবি দায়িত্ব পালন করতে গেলে তাদের হত্যা করা হচ্ছে। সেজন্য আমরা বাধ্য হয়ে সান্ধ্য আইন বা কারফিউ জারি করেছি।

আপিল বিভাগের রায়ের কথা উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ৫ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধাদের যে কোটা, সেটাও কার্যকর হবে না, তার কারণ হলো আমরা যারা মুক্তিযোদ্ধা, তাদের সন্তানরা এরইমধ্যে ৩০ বছর পর হয়ে গেছে। কাজেই মুক্তিযোদ্ধার কোটা এখন কার্যকর হবে না। তারপর কেন আন্দোলন? আন্দোলনের সব দাবি মেনে নেওয়া হয়েছে। জামায়াত-বিএনপি একটা উদ্দেশ্য নিয়ে এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এরইমধ্যে আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যথার্থভাবেই বলেছেন যে বিচার বিভাগ স্বাধীন। ২০১৮ সালের আন্দোলনের সময় আমরা কোটা বিলুপ্ত করে দিয়েছিলাম। তারপরে সংক্ষুব্ধ হয়ে দুজন আদালতে একটি রিট আবেদন করেন। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে কোটা আবার চালু করতে হাইকোর্ট একটি নির্দেশনা দিয়েছিলেন।

বিজ্ঞাপন

মন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের বলেছিলেন যে তোমরা ফিরে যাও, সবগুলোই আমরা আদালতের মাধ্যমে নিষ্পত্তি করবো। ছাত্ররা সেটা না মেনে আন্দোলনে নামেন। আমরা দেখলাম, আন্দোলন সহিংসতায় রূপ নিয়েছে। চরম ধৈর্যের সঙ্গে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী, পুলিশ, বিজিবি ও আনসার সদস্যরা সেটা মোকাবিলা করেছে। আমরা এই আন্দোলনে নিষ্ঠুরতা দেখেছি, বর্বরতা দেখেছি, ধ্বংসলীলা দেখেছি। আমরা দেখেছি, সেতুভবন, বিটিভি ভবন পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বিটিভিতে শত বছরের আর্কাইভ নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের একটি অফিস পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, ওই অফিসের ওপড়ে ইন্টারনেটের ব্যবস্থাগুলোও ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। স্বপ্নের মেট্রোরেল ও এলিভেটেড এক্সপ্রেসে আঘাত করা হয়েছে। একটার পর একটা থানায় তারা আঘাত করতে যাচ্ছিল, তখন আত্মরক্ষার্থে পুলিশ গুলি করেছে।

তিনি বলেন, পেছন থেকে এই আন্দোলনে কারা মদদ দিয়েছিলেন, তা আপনারা নিশ্চয়ই টের পেয়েছেন। সেই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি। বাংলাদেশকে একটি অকার্যকর দেশে পরিণত করার জন্য পেছন থেকে যারা আন্দোলনে বুদ্ধি-পরামর্শ দিয়েছিল, ছাত্রদের বাদ দিয়ে তারা সামনে চলে এসেছে। এই আন্দোলনের মূল উদ্দেশ্য এখন সবার কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে।

এর আগে সাম্প্রতিক সহিংসতায় নিহত পুলিশ ও আনসার সদস্যদের পরিবারের কাছে সহায়তার চেক তুলে দেওয়া হয়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/জেআর/এনইউ

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন