বিজ্ঞাপন

‘ফের নাশকতা হতে পারে, সতর্ক থাকবেন’

July 24, 2024 | 9:58 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: ফের নাশকতার আশঙ্কায় রাস্তায় গাড়ি নিয়ে বের হওয়া পরিবহন শ্রমিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে পরিবহন শ্রমিকদের আইডি কার্ড ও ড্রাইভিং লাইসেন্স ‘কারফিউ পাস’ হিসেবে ব্যবহার করা যাবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (২৪ জুলাই) বিকেলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে পরিবহন মালিকদের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এ কথা জানিয়েছেন।

জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা আবার নাশকতা করতে পারে। ঢাকায় যেসব স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ ও হামলা চালানো হয়েছে সেখানে গান পাউডার ব্যবহার করা হয়েছে। তাই পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের রাস্তায় গাড়ি চালানোর সময় সতর্ক থাকতে হবে। জরুরি অবস্থা চলার সময় পরিবহন শ্রমিকরা তাদের আইডি কার্ড বা ড্রাইভিং লাইসেন্স ‘কারফিউ পাস হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন।’

‘দেশের বিভিন্ন জায়গায় কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও চট্টগ্রামে পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত ছিল। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) থেকে চট্টগ্রামে বেশকিছু কলকারখানা চালু হয়েছে। বুধবার সব কলকারখানা চালু হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে পরিবহন মালিকদের পক্ষ থেকে ভোর ছয়টা থেকে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত কারফিউ শিথিল করার জন্য অনুরোধ করা হয়। এছাড়া রাস্তার পাশে খাবারের দোকান কারফিউর সময় উম্মুক্ত ও পণ্যবাহী গাড়িকে নিরাপত্তা দিয়ে গন্তব্যস্থলে পৌঁছে দেওয়ারও অনুরোধ করা হয় পরিবহন মালিকদের পক্ষ থেকে।

জবাবে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, ‘কারফিউ শিথিলের সময়সীমা বাড়ানোর আর কোনো সুযোগ নেই। পণ্যবাহী গাড়িগুলো যাতে দক্ষিণাঞ্চল থেকে উত্তরাঞ্চল যেতে কোনো অসুবিধে না হয় এজন্য আমরা অন্যন্য জেলা প্রশাসকদের সঙ্গে কথা বলে নিরাপত্তার ব্যবস্থা করব। আর পরিবহন শ্রমিকদের যাতে খাবারের অসুবিধা না হয় সেজন্য খাবারের দোকানগুলো যাতে কারফিউর আওতার বাইরে থাকে সে ব্যাপারে আমরা বসে সিদ্ধান্ত নেব।’

চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি ওমর হাজ্জাজ বলেন, ‘১৮ কোটি মানুষের দেশে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটবেই। এটা স্বাভাবিক। জেলা প্রশাসন থেকে আমাদের আশ্বস্থ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীরাও তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছে। সব কলকারখানা ইতিমধ্যে খুলেছে। তবে পণ্যবাহী গাড়ি যদি রাস্তায় চলতে না পারে তাহলে সংকট কাটবে না। তাছাড়া তাৎক্ষণিকভাবে সবার কাছে ‘কারফিউ পাস’ পৌঁছানো সম্ভব না। শ্রমিকও সংকট দেখা দিয়েছে। এ বিষয়ে প্রশাসনের বিশেষভাবে নজরদারি রাখা উচিত।

বিজ্ঞাপন

এদিকে জরুরি প্রয়োজনে জেলা প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের নম্বরে (০২-৪১৩৬০৬০৪) পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের যোগাযোগ করতে বলেছে আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।

এসময় চট্টগ্রাম বাস মালিক গ্রুপের সভাপতি মনজুরুল আলম মনজু, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কবির আহমেদসহ সেনাবাহিনী, বিজিবি, নৌ বাহিনী ও কোস্টগার্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে বুধবার দুপুরে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রামের যাত্রী ও পণ্যবাহী পরিবহন মালিক এবং শ্রমিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী।

বৈঠকে পরিবহন মালিকদের পক্ষ থেকে গাড়ি ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা ও রাস্তায় গাড়ি চলাচলে নিরাপত্তার দাবি জানান।

বিজ্ঞাপন

মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের দ্রুতসময়ের মধ্যে গাড়ি ভাঙচুরকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে আশ্বাস দেন।

সারাবাংলা/আইসি/এনইউ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন