বিজ্ঞাপন

দুই যুগেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি সীমান্তবর্তী সড়কে

July 26, 2024 | 9:21 am

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

নওগাঁ: নওগাঁর পত্নীতলা ও মহাদেবপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী কাটাবাড়ি মোড় হতে বিলছাড়া স্কুল মাঠ পর্যন্ত গ্রামীণ রাস্তার বেহাল দশা। মাটির রাস্তা তৈরির দুই যুগ পেরিয়ে গেলেও এখনো ইট-পাথরের ছোঁয়া লাগেনি এই সড়কে। আশপাশের গ্রামীণ সড়কগুলো পাকা হলেও অজানা কারণে এই রাস্তার উন্নয়ন হয়নি। খরা মৌসুমে যাতায়াত করা গেলেও বর্ষা মওসুমে ভোগান্তি চরমে।

বিজ্ঞাপন

দুই উপজেলার সীমান্তবর্তী দুটি ইউনিয়নের ৮/১০টি গ্রামের বাসিন্দাদের প্রতিনিয়তই দুর্ভোগের মধ্যে চলাচল করতে হচ্ছে। এ ছাড়াও ১টি উচ্চ বিদ্যালয় ১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ১টি মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা কমিউনিটি ক্লিনিকের সেবাগ্রহীতারা এই রাস্তায় চলাচল করে বর্ষা মওসুমে রাস্তার কাদায় অনেকে স্কুলে যেতে পারে না ফলে শিক্ষা ব্যাহত হয়, এমন জনগুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ মেঠো পথে দ্রুত ইট-পাথরের ছোঁয়া চান স্থানীয় বাসিন্দারা।

জানা যায়, প্রতিনিয়ত শত শত পথচারীরা এই গ্রামীণ সড়ক দিয়ে পত্নীতলা ও মহাদেবপুর উপজেলা শহরে যাতায়াত করে থাকেন। রাস্তার কারণে যাতায়াতের জন্য কোনো যানবাহন চলাচল করতে চান না আর যানবাহন তো দূরের কথা পায়ে হেঁটে চলাই মুশকিল হয়ে পড়ে। হঠাৎ করে কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে জরুরি ভিত্তিতে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কোনো উপায় নেই। এছাড়া দূর-দূরান্ত থেকে রাতে কেউ এই অঞ্চলে আসতে পারে না।

অপরদিকে ধান ও অন্যান্য ফসল উৎপাদনে বিখ্যাত এ অঞ্চলের কৃষকরা চলাচলের জন্য কোনো আধুনিক সড়ক না থাকায় উৎপাদিত কৃষি পণ্য বাজারে নিয়ে যেতে খরচ অনেক বেশি হওয়ার কারণে নায্যমূল্য থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছেন বছরের পর বছর। দেশের অনেক গ্রাম এখন শহরের সুবিধা পাচ্ছে, এমন দুর্ভোগ থেকে দ্রুত মুক্তি চায় এ অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষ।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় বাসিন্দা ছাত্তার হোসেন বলেন, ‘এই অঞ্চলে আমরা যারা বসবাস করি তারা মনে হয় ছিটমহলের বাসিন্দা। যার কারণে আমরা স্বাধীন ভূমিতে থেকেও আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থা থেকে বঞ্চিত। বর্ষা মৌসুমে এই মেঠোপথ দিয়ে চলাচল করতে কী পরিমাণ ভোগান্তি পোহাতে হয় তা আমরা ছাড়া কেউ বুঝবে না।’

অপর বাসিন্দা আব্দুল খালেক বলেন, ‘আধুনিক চলাচল ব্যবস্থার অভাবে আমরা এ অঞ্চলের মানুষরা এখনো আদিম যুগে বসবাস করছি। বাংলাদেশের মানুষ এখন ডিজিটাল পেরিয়ে স্মার্ট নাগরিক সেবা ভোগ করছে আর আমরা এই এলাকার মানুষ যেন সেই আশি ও নব্বই দশকের এনালগ যুগেই পড়ে আছে।’

মহাদেবপুর উপজেলা প্রকৌশলী সৈকত দাস বলেন, ‘মহাদেবপুরের অংশের দেড় কিলোমিটার রাস্তার জন্য কাগজপত্র নওগাঁ পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন হলে টেন্ডার হবে।’

বিজ্ঞাপন

পত্নীতলা উপজেলা প্রকৌশলী ইমতিয়াজ জাহিরুল বলেন, ‘ওই রাস্তাটা সামনে টেন্ডার হবে। প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে, প্রকল্প অনুমোদন হলে আমাদের দিকের কাজ শুরু হবে।’

সারাবাংলা/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন