সেমিফাইনালে ভারতের সামনে দাঁড়াতেই পারল না বাংলাদেশ

স্পোর্টস করেসপন্ডেন্ট

ব্যাটিংয়ের জন্য বেশ উপযোগী পিচে আগে ব্যাটিং করে ৮০ রানের বেশি তুলতে পারেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট নারী দল। তখনই আন্দাজ করা গেছে, বড় হারেই বিদায় নিতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। কিন্তু এতো বড় হার হয়ত ভাবেনি অনেকেই! নারী এশিয়া কাপের সেমিফাইনালে বাংলাদেশ নারী দলকে ১০ উইকেটে হারিয়েছে ভারতীয় নারী দল।

বাংলাদেশের ৮০ রানের টার্গেট ১১ ওভারেই পেরিয়ে গেছেন ভারতের দুই ওপেনার স্মৃতি মান্দানা ও শেফালি ভার্মা।২০১৮ সালে শিরোপা জেতা বাংলাদেশের যাত্রা থেমে গেল সেমিফাইনালে। ২০১৮ সালে এই ভারতকে হারিয়েই নারী এশিয়া কাপের শিরোপা জিতেছিল বাংলাদেশ।

আগামীকাল অপর সেমিফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে খেলবে স্বাগতিক শ্রীলংকা। সেই ম্যাচে জয়ী দলের বিপক্ষে শিরোপার লড়াই করবে ভারত।

শুক্রবার (২৬ জুলাই) শ্রীলংকার ডাম্বুলাতে বাংলাদেশের ৮০ রানের জবাব দিতে নেমে শুরু থেকেই মেরে খেলেছেন ভারতের দুই ওপেনার। বাংলাদেশি বোলিং আক্রমণকে সবচেয়ে বেশি নাকানিচুবানি খাইয়েছেন স্মৃতি মান্দানা।

ভারতের তারকা ওপেনার ৩৯ বলে ৯টি চার ১টি ছয়ে একাই করেছেন ৫৫ রান। শেফালি ভার্মা ২৮ বলে ২ চারে ২৬ রানে অপরাজিত ছিলেন। ১১ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে জয় নিশ্চিত করেছে ভারত।

এর আগে ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পরে বাংলাদেশ নারী দল। টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা। আগের ম্যাচে মালয়েশিয়ার বিপক্ষে আগে ব্যাটিং করে ১৯২ রান তুলেছিল। তাছাড়া আজকের ম্যাচের পিচটাও ব্যাটিংয়ের জন্য মন্দ নয়। ফলে বাংলাদেশের আগে ব্যাটিং নেওয়ার বিষয়টি অনুমিতই ছিল।

তবে ক্রিজে গিয়ে যেভাবে অউট হতে থাকলেন বাংলাদেশি ব্যাটাররা তা মোটেও প্রত্যাশিত ছিল না। প্রথম ওভারেই উইকেট হারানো বাংলাদেশ পঞ্চম উইকেট হারায় দলীয় ৩৩ রানে! সেখান থেকে আর কি-ই বা করার থাকে।

বরাবরের মতো আজও ব্যাট হাতে দাড়িয়ে গিয়েছিলেন অধিনায়ক নিগার সুলতানা। কিন্তু অপর প্রান্ত থেকে আস্থা দেওয়ার মতো কাউকে পাননি, নিজের ইনিংসটাও খুব বড় করতে পারেননি।

২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ৮০ রানে থেমেছে বাংলাদেশ। নিগারের ৫১ বলে ২ চারে ৩২ রানের ইনিংসটা বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ স্কোর। শেষ দিকে স্পিনার স্বর্ণা আক্তার ১৮ বলে ১৯ রান করেছেন। এছাড়া বাংলাদেশের পক্ষে আর কেউই দুই অঙ্কের কোটা পেরুতে পারেননি।

ভারতীয় নারী দলের হয়ে তিনটি করে উইকেট নিয়েছেন রেনুকা সিং ও রাধা যাদব।

সারাবাংলা/এসএইচএস