বিজ্ঞাপন

১০ দিন পর ফিরল মোবাইল ইন্টারনেট

July 28, 2024 | 3:22 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে বন্ধ থাকার ১০ দিন পর চালু হয়েছে মোবাইল ইন্টারনেট। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক-টিকটকসহ বেশ কয়েকটি অ্যাপ ব্যবহার করা যাচ্ছে না। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কবে ব্যবহার করতে পারবেন তা জানা যাবে ৩১ জুলাইয়ের পর।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৮ ‍জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি ভবনে মোবাইল অপারেটরদের জাতীয় ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের (এমটব) সঙ্গে বৈঠক করেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিকেল ৩টা থেকে মোবাইল ইন্টারনেট চালুর ব্যাপারে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়।

মোবাইল ইন্টারনেট সেবার পাশাপাশি মোবাইল ফোন গ্রাহকরা ক্ষতিপূরণ হিসেবে ৩ দিন মেয়াদী ৫ জিবি ইন্টারনেট পাবেন বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী।

ব্রিফিংয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘খাজা টাওয়ারসহ মহাখালীতে তিনটি ডাটা সেন্টার রয়েছে। সেগুলোর মধ্যে একটিতে (ত্রাণ পুনর্বাসন কেন্দ্রের নিচতলায়) সন্ত্রাসীরা আগুন ধরিয়ে দেয়। চারদিকে ভীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এতে আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে ওই এলাকায় থাকা অন্য দুটি ডাটা সেন্টারের কর্মীরাও শাটডাউন করতে বাধ্য হন।’

বিজ্ঞাপন

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘১৭ ও ১৮ জুলাই নিরাপত্তাজনিত কারণে কিছু কিছু এলাকায় আমরা সীমিত পরিসরে ইন্টারনেট সেবা বন্ধ রেখেছিলাম। কিন্তু ১৮ জুলাই বিকেল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত তাণ্ডব চালানো হয়। সেসময় মহাখালীর ত্রাণ পুনর্বাসন কেন্দ্রের নিচতলায় একটি ডাটা সেন্টার সম্পূর্ণরূপে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। তথ্য-উপাত্ত ও প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণে দেখা যাচ্ছে যে, সেখানে বেশ কিছু চিহ্নিত সন্ত্রাসী পরিকল্পিতভাবে হামলা করে। যারা এরই মধ্যে গ্রেফতার হয়েছে এবং তাদের কাছ থেকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এরই মধ্যে তথ্য সংগ্রহও করেছে।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যাচ্ছে যে, পরিকল্পিতভাবে একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী সেখানে ডাটা সেন্টার পুড়িয়ে দেয়। ওই এলাকায় যে তিনটি ডাটা সেন্টার আছে, সেখানে সোর্স অব ইন্টারনেট ও পাওয়ার অর্থাৎ, ইলেকট্রিসিটির ক্যাবলগুলোও পুড়িয়ে দেওয়া হয়। তখন সেসব ডাটা সেন্টারে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে যারা কাজ করছিলেন, তারা ভীতিকর পরিস্থিতিতে ডাটা সেন্টার শাটডাউন করতে বাধ্য হন।’

কুয়াকাটার সাবমেরিন ক্যাবল সচল ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শুধু কুয়াকাটা সাবমেরিন ক্যাবল সচল ছিল। সেটা দিয়ে যত দ্রুত সম্ভব আমরা এয়ারপোর্ট, কূটনৈতিকপাড়া, বাণিজ্যিক এলাকা, গণমাধ্যম, হাসপাতাল, ব্যাংকসহ অতি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় ইন্টারনেট দিয়েছি।’

বিজ্ঞাপন

প্রসঙ্গত, পাঁচদিন বন্ধ থাকার পর ২৩ জুলাই রাতে পরীক্ষামূলকভাবে চালু হয় ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কুটনীতিক পাড়া, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বিদ্যুৎ, ফ্রিল্যান্সিং ও প্রযুক্তি এবং রফতানিমুখী খাত ওয়াইফাই সেবা পায়। তবে ফেসবুক, মেসেঞ্জারসহ কিছু মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করা যাচ্ছে না। এ ছাড়া ইন্টারনেটের গতিও ধীর রয়েছে।

এর পরদিন ২৪ জুলাই থেকে বাসা-বাড়িতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা চালু হলেও মোবাইল ইন্টারনেট সেবা বন্ধ ছিল।

কোটা আন্দোলন ঘিরে সংঘাত-সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে গত ১৬ জুলাই প্রথমে নির্দিষ্ট কিছু স্থানে এবং দেশজুড়ে সংঘাত ছড়িয়ে পড়লে পরদিন রাতে সারা দেশের মোবাইল ইন্টারনেট পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে ১৮ জুলাই রাতে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট পরিষেবাও বন্ধ হয়ে যায়।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন