বিজ্ঞাপন

আমার দিকে তাকান, অনেক কষ্ট নিয়ে বেঁচে আছি: প্রধানমন্ত্রী

July 28, 2024 | 3:25 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতা ও গুলিতে নিহত বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ছাত্র আবু সাঈদ, সাংবাদিক মেহেদী হাসানসহ ৩৪ পরিবারকে আর্থিক সহায়তা হিসেবে পারিবারিক সঞ্চয়পত্র ও নগদ অর্থ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৮ জুলাই) স্বজন হারানো ৩৪ পরিবারের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

আর্থিক সহায়তা গ্রহণকালে প্রধানমন্ত্রী দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহতদের পরিবারের সদস্যরা। প্রধানমন্ত্রীও তার আবেগ ধরে রাখতে ব্যর্থ হন। তিনিও আবেগাক্রান্ত হয়ে পড়েন।

অশ্রুজড়ানো কণ্ঠে ভুক্তভোগী পরিবার সদস্যদের সান্ত্বনা দিতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমার দিকে তাকান, আমি অনেক কষ্ট নিয়ে বেঁচে আছি।’

বিজ্ঞাপন

পরিবারগুলোর পাশে আছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী জানান, তাদের মতো কাছের মানুষদের হারানোর বেদনা তিনিও বহন করছেন।

স্বজন হারানো পরিবারের সদস্যদের উদ্দেশ্য করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি আপনাদের বেদনা বুঝি। আমাকে প্রতিনিয়ত বাপ-মা-ভাই হারানোর বেদনা নিয়ে চলতে হয়। বাপ-মায়ের লাশটাও দেখতে পারিনি, দেশে ফিরতে পারিনি। ৬ বছর পর দেশে এসেছি। তারপর যখন এসেছি সারাদেশ ঘুরেছি। কারণ আমার বাবা বলত, দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে হবে। আমি সেই কাজটাই করার চেষ্টা করছি।’

তিনি বলেন, ‘আমি আপনাদের মতোই একজন। বাবা-মা ভাই হারানো। কাজের আপনাদের কষ্ট আমি বুঝি। আমি আপনাদের পাশে আছি। আমার চেষ্টা থাকবে এই খুনের সঙ্গে যারা জড়িত তাদের খুঁজে খুঁজে বের করে শাস্তির ব্যবস্থা করা।’

বিজ্ঞাপন

আর্থিক সহায়তা বিতরণকালে প্রধানমন্ত্রীর পাশে স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে চলতি মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে সারাদেশে বিক্ষোভ, বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে। ১৮ ও ১৯ জুলাই সংঘাত-সংঘর্ষ ভয়াবহ রূপ ধারণ করে। দেশের বিভিন্ন স্থানে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন বিটিভিসহ হামলার শিকার হয় রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন স্থাপনা। রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে হতাহতের ঘটনা ঘটে।

এক পর্যায়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নিয়মিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি নামানো হয় বিজিবি। এরপর ১৯ জুলাই দিবাগত রাত ১২টা থেকে সারা দেশে কারফিউ জারি করে সরকার। বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তার জন্য নামানো হয় সেনা। তবে পরিস্থিতি উন্নতির দিকে যাওয়ায় ধীরে ধীরে কারফিউ শিথিল হচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/একে

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন