বিজ্ঞাপন

ছাদ থেকে ফেলে ছাত্রলীগ কর্মীদের নির্যাতনে আরও এক মামলা

July 28, 2024 | 6:09 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

চট্টগ্রাম ব্যুরো: কোটা সংস্কারের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘাতের মধ্যে চট্টগ্রাম নগরীর মুরাদপুরে ছাত্রলীগ কর্মীদের ছাদ থেকে ফেলে নির্যাতনের অভিযোগে আরও একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এ নিয়ে সংঘাত, প্রাণহানি ও নাশকতার ঘটনায় নগরীতে এ পর্যন্ত ২০টি মামলা দায়ের হলো।

বিজ্ঞাপন

নগরীতে ২০টি এবং জেলায় ১১টিসহ ৩১ মামলায় এ পর্যন্ত ৮৯৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে নগরীতে ৫১৬ জন এবং জেলায় ৩৮১ জন।

রোববার (২৮ জুলাই) চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) ও জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এসব তথ্য দেওয়া হয়েছে।

নগর পুলিশের পাঁচলাইশ জোনের সহকারী কমিশনার আরিফ হোসেন সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, গত ১৬ জুলাই আন্দোলনে সংঘর্ষের মধ্যে নগরীর মুরাদপুরে ছাত্রলীগ কর্মীদের ছাদ থেকে ফেলে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে। ভুক্তভোগী ছাত্রলীগের এক কর্মী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন। মামলায় ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৩০ থেকে ৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

গত ১৬ জুলাই নগরীর মুরাদপুরে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’র ব্যানারে অবস্থান কর্মসূচির চলাকালে ছাত্রলীগের সঙ্গে কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষ বাধে। সংঘর্ষের পর প্রাণভয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মুরাদপুরের বেলাল মসজিদের পাশে মিরদাদ ম্যানশন নামে একটি পাঁচ তলা ভবনের ছাদে গিয়ে আশ্রয় নেন। কোটাবিরোধী শিক্ষার্থীদের একাংশ ছাদে উঠে ছাত্রলীগ নেতাদের মারধর করেন।

প্রাণভয়ে ছাত্রলীগ নেতারা ছাদ থেকে পানির পাইপ বেয়ে নিচে নামার চেষ্টা করলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা তাদের লক্ষ্য করে পাথর ছুড়তে থাকেন। পরে ছাত্রলীগ নেতারা নিচে পড়ে গেলে আন্দোলনকারীরা তাদের পিটিয়ে রক্তাক্ত করে। এ ঘটনায় ৩০ জনের বেশি ছাত্রলীগের নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

সিএমপির অতিরিক্ত উপকমিশনার (মিডিয়া) কাজী মো. তারেক আজিজ সারাবাংলাকে জানান, কোটা সংস্কারের আন্দোলনে হত্যা, দাঙ্গা, সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও নাশকতার ২০ মামলায় রোববার সকাল পর্যন্ত আরও ৪০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ নিয়ে গত ১৩ দিনে গ্রেফতারের সংখ্যা দাঁড়াল ৫১৬ জনে।

বিজ্ঞাপন

কোটা সংস্কারের দাবিতে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের ধারাবাহিক আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ১৬ জুলাই থেকে টানা চারদিন চট্টগ্রামে দফায় দফায় সংঘাতে ছয় জন নিহত হন। আহত হন শতাধিক।

এসব ঘটনায় নগরীতে দায়ের হওয়া ২০টি মামলার মধ্যে পাঁচলাইশ থানায় সাতটি, কোতোয়ালি থানায় চারটি, চান্দগাঁও থানায় চারটি এবং খুলশী, বাকলিয়া, হালিশহর, আকবর শাহ ও ডবলমুরিং থানায় একটি করে মামলা দায়ের হয়েছে।

এদিকে চট্টগ্রাম জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) আবু তৈয়ব মো. আরিফ হোসেন সারাবাংলাকে জানান, কোটা সংস্কারের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সংঘাত ও পরবর্তী সময়ে নাশকতার অভিযোগে চট্টগ্রাম জেলার বিভিন্ন থানায় গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন থানায় হওয়া ১১টি মামলায় ৩৮১ জন গ্রেফতার হয়েছেন।

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/আইসি/এমও

Tags: ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন