বিজ্ঞাপন

বজ্রপাত ঠেকাতে রাণীনগরে চলছে তালগাছ রোপণ

July 29, 2024 | 10:03 am

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট

নওগাঁ: দিন যতই যাচ্ছে ততই দেশে বজ্রপাতে নিহতের সংখ্যা ক্রমেই আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে। বজ্রপাত বেশি হওয়ার কারণ হিসেবে নির্বিচারে তালগাছ কাটাকে অনেকটাই দায়ী করা হচ্ছে। প্রতিদিনই পরিবেশবান্ধব তালগাছের সংখ্যা কমছে।

বিজ্ঞাপন

একসময় নওগাঁর বিভিন্ন সড়কের পাশে তালগাছের সারি চোখে পড়তো। কিন্তু সড়ক আধুনিকায়ন কাজের অজুহাতে কাটা পড়ছে সেই সব তালগাছগুলো। আবার তালগাছ সম্পর্কে সচেতনতার অভাবে গ্রামের বিভিন্ন স্থান থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা কাটছেন পরিবেশবান্ধব তালগাছ। যেহেতু তালগাছ খুবই ধীর গতিতে বড় হয় তাই আগামী প্রজন্মকে বজ্রপাতের হাত থেকে রক্ষা করতে এবং নিরাপদ বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রতি মৌসুমেই নিজেদের বসতবাড়ির পাশে, গ্রামীণ সড়ক ও মহাসড়কের পাশ দিয়ে নিজ উদ্যোগে কিংবা সরকারি অথবা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে বেশি বেশি করে তালবীজ কিংবা তালগাছ রোপনের কোন বিকল্প নেই বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা।

দেশ থেকে আশঙ্কাজনকহারে তালগাছের হারিয়ে যাওয়াকে প্রতিরোধ করতেই বেশ কয়েকবছর যাবৎ সরকারের পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দেশজুড়ে তালবীজ-তালগাছ রোপণের কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় নওগাঁর রাণীনগরে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উদ্যোগে রোপণ করা হচ্ছে তালগাছ।

সম্প্রতি রাজশাহী বিভাগের কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় উপজেলার ঝালঘড়িয়া-চকপারইল গ্রামীণ ১ কিলোমিটার সড়কের পাশ দিয়ে কৃষি বিভাগের বাস্তবায়নে ৪০০ তালগাছ রোপন কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে তালগাছ রোপণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রাহিদ সরদার। এসময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাইমেনা শারমীন, কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা হক, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম, পারইল ইউপি চেয়ারম্যান মাস্টার জাহিদুল ইসলামসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফারজানা হক বলেন, ‘তালগাছকে আমরা অবহেলার চোখে দেখে থাকি। অথচ একটি তালগাছের অনেক গুরুত্বপূর্ণ গুন রয়েছে। উল্লেখযোগ্য গুণ হচ্ছে তালগাছ বজ্রপাত নিরোধক। এছাড়া দিন যতই যাচ্ছে ততই তালশাঁস ও বিভিন্ন মুখরোচক পিঠা খেতে তাল ফলের চাহিদাও বৃদ্ধি পাচ্ছে। অপরদিকে একটি তালগাছ অনেক প্রজন্মকে ফল ও সেবা দিতে পারে। তালগাছকে অন্যান্য গাছের মতো তেমন একটা যত্নও নিতে হয় না। আমরা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে উপজেলার প্রতিটি এলাকার কৃষকদের তালগাছের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে সচেতন করছি।’

বিজ্ঞাপন

উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. রাহিদ সরদার বলেন, ‘দেশে তালগাছের সংখ্যা বাড়াতেই সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক প্রতি মৌসুমেই তালগাছ রোপণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখা হয়েছে। তবে শুধু সরকারের একার পক্ষ থেকেই নয় ব্যক্তি উদ্যোগ কিংবা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগেও যদি তালবীজ কিংবা তালগাছ রোপণ করা যায় তাহলে দ্রুতই দেশের প্রতিটি সড়ক তালগাছের সাড়িতে যেমন ভরে উঠবে তেমনি ভাবে বজ্রপাতের হাত থেকেও আমরা এবং আগামী প্রজন্ম রক্ষা পাবো।’

সারাবাংলা/এমও

Tags: , , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন