বিজ্ঞাপন

ডিবি হেফাজত থেকে ৬ সমন্বয়কের মুক্তির বিষয়ে আদেশ মঙ্গলবার

July 29, 2024 | 4:05 pm

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজত থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছয় সমন্বয়কের মুক্তির বিষয়ে আজ শুনানি হয়েছে। এ বিষয়ে আগামীকাল আরও শুনানি শেষে আদেশ দেবেন হাইকোর্ট।

বিজ্ঞাপন

সোমবার (২৯ জুলাই) বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জেআই খান পান্না, ব্যারিস্টার সারা হোসেন, ব্যারিস্টার অনীক আর হক, ব্যারিস্টার জ্যোতির্ময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর, শেখ মোহাম্মদ মোরশেদ ও ব্যারিস্টার মেহেদী হাসান চৌধুরী।

এর আগে আজ সকালে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশের গুলি না চালাতে এবং ডিবি হেফাজত থেকে কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছয় সমন্বয়কের মুক্তির দিতে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

বিজ্ঞাপন

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মানজুর আল মতিন প্রীতম ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা লিপি এ রিট দায়ের করেন।

রিটে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী প্রধানকে বিবাদী করা হয়েছে।

এর আগে গত ১০ দিন আগে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সহিংসতা ও বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এ সময় দুই শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

বিজ্ঞাপন

এদিকে গত কয়েকদিনে কোটা সংস্কার আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে গোয়েন্দা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।

বাংলাদেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতি নিয়ে রোববার (২৮ জুলাই) রাতে সরকারের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, কোটা সংস্কার আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে ছাত্র-ছাত্রীদের মৃত্যুর প্রতিটি ঘটনা, হত্যা, অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, নাশকতা ও নাশকতাজড়িত পরবর্তী সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য দায়ীদের যথাযথ তদন্তের মাধ্যমে জবাবদিহি করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

গত ১৮ জুলাই গঠিত সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারপতির নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিশন ইতোমধ্যেই এই বিষয়ে কাজ শুরু করেছে। এছাড়া হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার ঘটনায় বেশ কয়েকটি বিভাগীয় তদন্তও পরিচালিত হচ্ছে।

তবে সাম্প্রতিক সহিংসতায় এ পর্যন্ত ১৪৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, কখনো বলা হচ্ছে ৫০০ জনের মৃত্যু হয়েছে। আসলে মৃত্যু নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে। ছাত্র কতজন এখনও বিস্তারিত জানা যায়নি। আরও যাচাই করে তথ্য জানানো হবে।

নিহতদের মধ্যে কতজন নারী, কতজন পুরুষ কিংবা কোন পেশার মানুষ কতজন সেটি নির্ণয়ের কার্যক্রম চলছে বলে জানিয়েছেন আসাদুজ্জামান খান।

সারাবাংলা/কেআইএফ/এনইউ

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন