বিজ্ঞাপন

বিদেশি ক্রেতাদের ‘সহানুভূতি’ চায় বিজিএমইএ

July 29, 2024 | 7:44 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতার পরিপ্রেক্ষিতে ক্ষতির মুখে পড়েছে রফতানি শিল্প তৈরি পোশাকখাত। বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের গুরুত্বপূর্ণ এই শিল্প এরইমধ্যে উৎপাদন ও রফতানি হারিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মার্কেটিং ও সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট। এরকম পরিস্থিতিকে এই শিল্পের জন্য ব্ড় ধরনের ধাক্কা মনে করছে পোশাক মালিকদের সংগঠনটি।

বিজ্ঞাপন

এ অবস্থায় উৎপাদন ও পণ্য রফতানিতে অনাকাঙ্ক্ষিত বিলম্বের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কাছ থেকে সহানুভূতি চেয়েছে সংগঠনটি। অপ্রত্যাশিত বিলম্বের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত পোশাক কারখানাগুলো যেন কোনো রকম চাপের মুখে না পড়ে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতেও আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের কাছে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

পাশাপাশি কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে দেশজুড়ে ব্যাপক সহিংসতা ও নাশকতায় তৈরি পোশাকখাতে প্রভাব এবং এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় নেওয়া পদক্ষেপ সম্পর্কে আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের অবহিত করেছে বিজিএমইএ।

সোমবার (২৯ জুলাই) উত্তরার বিজিএমইএ কমপ্লেক্সে বিশ্বের নামি-দামি পোশাক ক্রেতা প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিজিএমইএ নেতারা। এতে সভাপতিত্ব করেন বিজিএমইএ সভাপতি এস এম মান্নান (কচি)।

বিজ্ঞাপন

বৈঠক পরবর্তী সাংবাদিকদের সঙ্গে ব্রিফিংয়ে এস এম মান্নান (কচি) বলেন, ‘শিল্পের গতি দ্রুত পুনরুদ্ধারের জন্য বন্দর, কেন্দ্রীয় ব্যাংক, এনবিআরের সঙ্গে আলোচনা করেছি। সার্বিক পরিস্থিতি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। প্রয়োজনীয় সব রকম পদক্ষেপ নিচ্ছি বলে আমরা তাদের আশ্বস্ত করেছি।’

বিজিএমইএ সভাপতি বলেন, ‘চলমান পরিস্থিতিতে কারখানাগুলোর প্রতি সহানুভূতিশীল থাকতে ক্রেতাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছি। অপ্রত্যাশিত বিলম্বের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কারখানাগুলোর ওপর যেন বাড়তি কোনো চাপ তৈরি না হয় সে বিষয়ে বিশেষভাবে অনুরোধ করেছি।’

বিজিএমইএ সভাপতি এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘সভায় আমরা গত ১৮ জুলাই তারিখে শুরু হওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এবং তা নিয়ন্ত্রণে সরকারের পদক্ষেপগুলো তুলে ধরেছি। শিল্পের স্বাভাবিক কর্মকাণ্ড চলমান রাখতে এবং সাপ্লাই চেইন নিরবচ্ছিন্ন রাখতে আমরা বিজিএমইএ’র পদক্ষেপগুলো ক্রেতাদের কাছেও শেয়ার করেছি।’

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, ‘পোশাক শিল্পে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে আমরা প্রথমদিন থেকেই সরকারের সঙ্গে কাজ করে আসছি। আমরা প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছি। দ্রুততম সময়ে কারখানা চালু করা এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক’সহ শিল্পের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য অনুরোধ করেছি। সরকারের আন্তরিক ও ত্বরিৎ পদক্ষেপের ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় আমরা অত্যন্ত অল্প সময়ের মধ্যে পুনরায় কারখানাগুলো চালু করতে পেরেছি। এ জন্য আমরা প্রধানমন্ত্রী ও তার সরকারের কাছে আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ।’

বিজিএমইএ সভাপতি আরও বলেন, ‘ইন্টারনেট পরিষেবা দ্রুত চালু করার বিষয়ে আমরা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে নিয়মিতভাবে আলাপ-আলোচনা করেছি, যেন সীমিত পরিসরে হলেও অনতিবিলম্বে ইন্টারনেট চালু করা হয়। আমাদের অনুরোধে ও দেশের রফতানি বাণিজ্যের স্বার্থে সরকার দ্রুততার সঙ্গে ইন্টারনেট পরিষেবা পুনরায় চালু করেছে। যদিওবা তথ্য-প্রযুক্তির যুগে নজিরবিহীন এই পরিস্থিতিতে পোশাক কারখানা ও ক্রেতা প্রতিষ্ঠান’সহ সবাই দুর্ভোগে পড়েছিল। আমাদের কারখানাগুলো এখন উইনটার সিজনের অর্ডার নেগোসিয়েশনে যখন ব্যস্ত সময় পার করছিল, তখন এরকম একটি নৈরাজ্যকর ঘটনা দেশের অর্থনীতিতে আঘাত হেনেছে।’

তিনি বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে ব্যবসার পরিবেশ স্বাভাবিক করা, শিল্পে গতি ফিরিয়ে আনা ও বন্দর কার্যক্রমে যেন কোন ধীর গতি বা জটলা না হয়, সে বিষয়ে আমাদের কর্মতৎপরতার বিষয়গুলো আমরা তাদের কাছে তুলে ধরেছি। আমরা গতকাল নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি ও বন্দর পরিষেবাগুলোকে দ্রুততর করার জন্য এবং অনাকাঙ্ক্ষিত বিলম্বের ফলে আমদানি-রফতানিকারক যেন বন্দরে কোনো প্রকার ডেমারেজের শিকার না হয় সেই দাবিটি জানিয়েছি। তিনি আমাদের অনুরোধে নীতিগত সম্মতি দিয়েছেন।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি চলমান পরিস্থিতিতে কারখানাগুলোর প্রতি সহানুভূতিশীল থাকার জন্য ক্রেতাদের আহ্বান জানিয়েছি। অপ্রত্যাশিত বিলম্বের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত কারখানাগুলোর ওপর যেন বাড়তি কোনো চাপ তৈরি না হয় সে বিষয়ে আমি ক্রেতাদের প্রতি অনুরোধ করেছি।’

বিজ্ঞাপন

সারাবাংলা/ইএইচটি/একে

Tags: , , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন