বিজ্ঞাপন

প্লাস্টিকে ভরেছে নালা-নর্দমা: জনসচেতনতা বাড়ানোর তাগিদ

July 30, 2024 | 8:50 am

ওমর ফারুক হিরু, কক্সবাজার

কক্সবাজার: কক্সবাজার শহরের শেখ রাসেল সড়কের শেষ প্রান্তের জমে যাওয়া নালা পরিষ্কারের সময় দেখা যায় বাসাবাড়ির প্লাস্টিক জিনিস-পত্রসহ বিভিন্ন কোমল পানীয়’র প্লাস্টিকের বোতল বের করছেন পৌরসভার এক পরিচ্ছন্ন কর্মী। জমে যাওয়া নালা বড় অংশ জুড়ে রয়েছে অপচনশীল প্লাস্টিক।

বিজ্ঞাপন

রোববার (২৮ জুলাই) দুপুরের দিকে এই দৃশ্য দেখে ওই পথ দিয়ে যাওয়া আইনের ছাত্র ও স্থানীয় যুবক মো. মনিরুল ইসলাম মনি বলেন, ‘নালা জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হলেই কর্তৃপক্ষ বা পৌরসভাকে দায়ী করছি। এই দায় শুধু পৌরসভার নয় এই জন্য দায়ী অসচেতন জনগণ। যারা প্লাস্টিকের জিনিস ও বোতল নালা-নর্দমায় ফেলছে তাদের কমনসেন্সের অভাব। এভাবে করলে কখনো এই শহর পরিষ্কার থাকবে না। এই ধরণের অসচেতনদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার।’

এই প্রসঙ্গে সাংবাদিক এম বেদারুল আলম বলেন, প্লাস্টিক অপচনশীল বস্তু। সুতরাং যেখানে সেখানে প্লাস্টিক সামগ্রী না ফেলে নির্দিষ্ট স্থানে ফেলা উচিত। এ ব্যাপারে জনসচেতনাতা বাড়ানো জরুরি।

আরেক সচেতন যুবক সাইফুল আলম জানান, ‘আমি বলছি না পৌরসভা শতভাগ নালা-নর্দশা পরিষ্কার রেখেছে। কিন্তু এর জন্য কি শুধু পৌর কর্তপক্ষই দায়ী? এসবের জন্য অসচেতন লোকজনও দায়ী। অনেকে আছেন শুধু অভিযোগ করতেই ওস্তাদ। কিন্তু নিজেরাই প্লাস্টিক আর আর্বজনা ফেলে জমিয়ে রাখছে নালা। নগরবাসীর মাঝে সচেতনতা না আসলে কখনো এই শহর সুন্দর হবে না।’

বিজ্ঞাপন

শুধু শেখ রাসেল সড়কের নালা বলে কথা নয়, গেল কদিনের বৃষ্টিতে জমে যাওয়া নালা-নর্দমা থেকে ভেসে আসতে দেখা যায়, হাজার হাজার প্লাস্টিক জিনিসপত্র ও নানা ধরণের পানীয়ের বোতল। এছাড়া যখনই শহরের জমে যাওয়া নালা পরিষ্কার করা হয় তখনই দেখা যায়, প্লাস্টিকের স্তূপ বের হচ্ছে। এই দুর্ভোগ থেকে মুক্তির জন্য জনসচেতনতার কথা বলছে পৌরকর্তৃপক্ষ।

কক্সবাজার পৌরসভার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল আলম বলেন, শহর পরিষ্কার রাখতে জনসচেতনতার বিকল্প নেই। তবে আশার কথা হচ্ছে আগামী জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারিতে ওর্য়াল্ড ব্যাংকের সহায়তায় ‘প্লাস্টিক ওয়েস্ট ম্যানেজম্যান্ট’ এর একটি প্রকল্প শুরু হচ্ছে। রামু’র মিঠাছড়িতে শুরু হতে যাওয়া এই প্রকল্পের মাধ্যমে জনগণনের কাছ থেকে স্বল্প দামে প্লাস্টিক কিনে নেওয়া হবে। পরে পক্রিয়ার মাধ্যমে এই প্লাস্টিক থেকে প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র তৈরি হবে। এটি প্লাস্টিক অপসারণে বড় ভূমিকা রাখবে। তবে এই নগরীকে পরিরষ্কার রাখতে সচেতনতার বিকল্প নেই। আশা করা যায় জনসচেতনতার মধ্য দিয়ে এক সময় এই শহর হবে পরিষ্কার-পরিচ্ছনা পর্যটন নগরী।

এই প্রসঙ্গে কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী বলেন, জনগণের সহযোগিতা ছাড়া এই নগরীকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা কঠিন হয়ে যাবে। পৌরসভার পক্ষ থেকে এই শহর পরিষ্কার রাখার জন্য সার্বিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।

বিজ্ঞাপন

তিনি বলেন, এরই মধ্যে পাইলট প্রকল্প (পরীক্ষা মূলক) হিসেবে পৌরসভার ১, ৪, ১১ ও ১২ নাম্বার ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি গিয়ে আর্বজনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। পাশাপাশি জনগণকে সচেতন করা হচ্ছে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে নির্ধারিত ডাস্টবিনে আর্বজনা ফেলা হোক। এতে করে পৌরসভার আর্বজনা অপসারণে সুবিধা হয়। সবার সচেতনতার পাশাপাশি আন্তরিক সহযোগিতায় এক পরিচ্ছন্ন নগরী উপহার দেওয়া যাবে।

সারাবাংলা/এনইউ

Tags: , , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন