বিজ্ঞাপন

‘জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধে সরকার শিগগিরই পদক্ষেপ নেবে’

July 30, 2024 | 1:50 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ১৪ দলীয় জোটের চেয়ারপারসন, সেখানে ১৪ দলের শরিক দলগুলোর বক্তব্য, তথ্য ও উপাত্ত বিশ্লেষণ, দলটির অতীত ও বর্তমান কর্মকাণ্ড, বিভিন্ন সময় দেওয়া আদালতের রায় ইত্যাদি বিবেচনায় জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধে ১৪ দল সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন ওই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে সরকার। আর বাস্তবায়নের পদ্ধতি কি হবে তার আইনগত দিক দেখে শুনে সরকার শিগগিরই পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।’

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের যৌথসভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন গতকাল (সোমবার) ১৪ দলের সভায় জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার বিষয়ে সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হয়েছে। যা আমরা গত রাতেই গণভবন গেট থেকে অবহিত করেছি। জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করা জন্য বিভিন্ন দিক থেকে দীর্ঘদিন যাবত রাজনৈতিক দল, সামাজিক সংগঠন, মুক্তিযোদ্ধা, নাগরিক সমাজ দাবি তুলে আসছে। শহিদ জননী জাহানারা ইমামের নেতৃত্বে একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি, সেসময় গঠিত গণআদালত, অতীতে গণজাগরণ মঞ্চের দাবিও ছিল জামায়াত-শিবির নিষিদ্ধ করা। এছাড়া দেশের সর্বোচ্চ আদালতের এক রায় জামায়াতের নিবন্ধন বাতিলের হাইকোর্টের রায় বহাল রাখে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন বাংলাদেশের গণপ্রতিনিধিত্ব আইন অনুযায়ী রাজনৈতিক দল হিসেবে নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধন না থাকলে কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিতে পারে না। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর হিটলারের নাৎসি পার্টি রাজনীতি করতে পারেনি জার্মানিতে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কর্তৃক জামায়াত ইসলাম দল হিসেবে যুদ্ধাপরাধের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বলে উল্লেখ আছে। নানা সময় তাদের প্রকাশ্যে ও গোপনে নানা অপতৎপরতা, নাশকতা, ষড়যন্ত্র ও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া গেছে এবং দেশের জনগণও সেটা অবগত।’

বিজ্ঞাপন

ওবায়দুল কাদের বলেন, গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ১৪ দলীয় জোটের চেয়ারপারসন, সেখানে ১৪ দলের শরিক দলগুলোর বক্তব্য, তথ্য ও উপাত্ত বিশ্লেষণ, দলটির অতীত ও বর্তমান কর্মকাণ্ড, বিভিন্ন সময় দেওয়া আদালতের রায় ইত্যাদি বিবেচনায় জামায়াত-শিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধে ১৪ দল সর্বসম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখন আমরা আইনগত দিকগুলো ভালোভাবে দেখে নিতে চাই। যাতে কোন ফাঁক-ফোকর দিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশে এ অপশক্তি আর কোন সুযোগ না পায়।’

দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘দলীয়ভাবে ঢাকা মহানগরসহ সব মহানগর, সব জেলা, সদর, সব উপজেলা, থানা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যন্ত আমাদের নেতাকর্মীদের বিরাজমান পরিস্থিতিতে কারফিউ মেনে চলার কথা জানানো হচ্ছে। দলীয়ভাবে বর্তমান পরিস্থিতিতে সতর্ক থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হচ্ছে। এটা আমাদের সভাপতি বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নির্দেশ। গুজব ও আতঙ্ক সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে হবে। গুজব সৃষ্টিকারীদের তথ্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে জানাতে হবে।’

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সাম্প্রতিক সহিংসতা ইস্যুতে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কাছে সবাই নিরীহ। তাহলে কারা নারকীয় ধংসযজ্ঞ চালিয়েছে? কারা নারকীয় বর্বরতা চালিয়েছে? সারা দেশ দেখেছে কী করেছেন আপনারা।
এ ঘটনাপ্রবাহে আমরা আক্রান্ত, আক্রমণকারী নই। এখন আক্রান্তদের অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। নিরস্ত্র ব্যক্তিরা সশস্ত্রদের দ্বারা আক্রান্ত হয়েছেন।’

বিজ্ঞাপন

আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে কারা সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ দিয়েছে প্রশ্ন রেখে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কোথা থেকে নির্দেশ এসেছে, উসকানি এসেছে, কোথায় কোথায় বৈঠক হয়েছে, কারা অর্থ দিয়েছে সবই আমরা জানি। আমাদের কাছে তথ্য আছে। সব ষড়যন্ত্র জাতির সামনে দিবালোকের মতো স্পষ্ট। এখন আবোলতাবোল বলে জাতিকে বিভ্রান্ত করার সুযোগ আর নেই।’

যৌথ দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের নেতারাসহ ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

সারাবাংলা/এনআর/এমও

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন